শেরপুরের আদিবাসীদের মধ্যে শিক্ষায় এগিয়ে হাজংরা

 


শেরপুরের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মধ্যে শিক্ষায় সবার চেয়ে এগিয়ে আছে হাজংরা জনগোষ্ঠীর পুরুষদের মধ্যে ৭৯ দশমিক শতাংশ এবং নারী ৬৮ দশমিক শতাংশ শিক্ষিত। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) কর্তৃক পরিচালিতশেরপুর জেলায় বসবাসরত আদিবাসী জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থা জরিপ ২০২৪’-এর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএস সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে জরিপ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্পটির পরিচালক ফারহানা সুলতানা।

প্রতিবেদনে বলা হয়শেরপুরে ২০ হাজার ৮৪০ আদিবাসী মানুষ বাস করে। প্রত্যেক পরিবারে দশমিক ৮৪ শতাংশ মানুষ বাস করে। এরমধ্যে ১৫ থেকে অধিক বয়সের মানুষের মধ্যে কর্মসংস্থানের হার ৫১ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং বেকারত্বের হার দশমিক ৮০ শতাংশ। অন্যদিকে জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৬৪ দশমিক শূন্য শতাংশ শিক্ষিত। এর মধ্যে পুরুষ ৬৯ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং নারী ৫৯ দশমিক শূন্য শতাংশ শিক্ষিত।

শেরপুর সদর উপজেলায় কর্মসংস্থানে যুক্ত পুরুষ ৭৬ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং নারী ১৯ দশমিক শূন্য শতাংশ। অন্যদিকে শেরপুরের আদিবাসীদের কর্মসংস্থানের হার ১৫ থেকে বেশি বয়সের মানুষের মধ্যে ৫১ দশমিক ৮৪ শতাংশ।

এর মধ্যে ঝিনাইগাতি উপজেলায় কর্মসংস্থানে যুক্ত পুরুষ ৭৩ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং নারী ৪৯ দশমিক ২১ শতাংশ। নকলা উপজেলায় কর্মসংস্থানে যুক্ত পুরুষ ৭৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং নারী ২০ দশমিক ৯২ শতাংশ। নালিতাবাড়ি উপজেলায় কর্মসংস্থানে যুক্ত পুরুষ ৬৩ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং নারী ২৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

শ্রীবরদী উপজেলায় কর্মসংস্থানে যুক্ত পুরুষ ৭৪ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং নারী ২৯ দশমিক ২১ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শেরপুর জেলায় আদিবাসীদের মধ্যে বেকার হার দশমিক ৮০ শতাংশ। এর মধ্যে ঝিনাইগাতি উপজেলায় বেকার পুরুষ দশমিক শূন্য শতাংশ এবং নারী বেকার দশমিক ৪৬ শতাংশ। নকলা উপজেলায় পুরুষ বেকার দশমিক শূন্য শতাংশ এবং নারী দশমিক শূন্য শতাংশ।

নালিতাবাড়ি উপজেলায় পুরুষ বেকার দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং নারী দশমিক ৬১ শতাংশ। শেরপুর সদর উপজেলায় বেকার পুরুষ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং নারী দশমিক ১০ শতাংশ। শ্রীবরদী উপজেলায় বেকার পুরুষ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং নারী দশমিক ৮৪ শতাংশ।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে পরিসংখ্যান তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

গাইবান্ধায় সাঁওতাল নারী ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন

 


এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাইশ্লোগানকে সামনে রেখে সামাজিক-সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য মর্যাদা রক্ষায় সাঁওতাল নারী ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) গাইবান্ধা জেলা পরিষদের সহযোগিতায় আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদ জনউদ্যোগের আয়োজনে জেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের তালতলা মাঠে তারুণ্যের উৎসব উদযাপিত হয়। বর্ণিল এই আয়োজনে নারীদের ফুটবল প্রতিযোগিতা সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে সাঁওতালরা তাদের সংস্কৃতি তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের সদর উপজেলার আহবায়ক গোলাম রব্বানী মুসা।

প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রউফ তালুকদার, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতান, কাটাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জোবায়ের হাসান শফিক মাহমুদ, পরিবেশ আন্দোলন গাইবান্ধার আহ্বায়ক ওয়াজিউর রহমান রাফেল, সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাসকে, জনউদ্যোগ গাইবান্ধার সদস্য সচিব প্রবীর চক্রবর্তী, ফুটবল কোচ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সাঁওতালসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর খেলাধুলা, সংস্কৃতি বিকাশে সরকারসহ বিভিন্ন সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে। অন্যান্য জনগোষ্ঠীর অপেক্ষায় সাঁওতাল নারীরা আরও প্রান্তিক অবস্থানে রয়েছেন। মূল স্রোতধারায় ফিরিয়ে নিয়ে আসতে ধরনের উদ্যোগ প্রশংসনীয়।

সাঁওতাল নারীদের ফুটবল খেলায় মাদার তেরেসা ফুটবল একাডেমি পাল্লো কিশোরী ক্লাব অংশ নেয়। খেলায় মাদার তেরেসা ফুটবল একাডেমি - গোলে জয়লাভ করে। খেলা পরিচালনায় ছিলেন এম..এইচ মানিক।

 

© all rights reserved - Janajatir Kantho