শেরপুরের গারো পাহাড় পাদদেশে আগামী ৩১ অক্টোবর ও পহেলা নভেম্বর বারোমারী সাধু লিওর খ্রিষ্টান ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হবে ‘ফাতেমা রাণী মা মারিয়ার’ তীর্থোৎসব। এ উৎসব উপলক্ষে বৃহত্তর ময়মনসিংহের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে বইছে আনন্দ-উচ্ছ্বাস। শেষ মুহুর্তে চলছে তীর্থোৎসবের জোর প্রস্তুতি।
বর্ণিল সাজে সাজানো হচ্ছে তীর্থস্থান।
লাখো পুণ্যার্থীর এই উৎসব ঘিরে নেওয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আয়োজকদের
আশা, লাখো পুণ্যার্থীর মিলন ঘটবে এ উৎসবে।
এবারের তীর্থোৎসবে প্রধান অতিথি
হিসেবে থাকবেন ঢাকা মহাধর্ম প্রদেশের সহকারী বিশপ সুব্রত গমেজ।
শুধু শেরপুর নয়, দেশ-বিদেশের
প্রায় লাখো পুণ্যার্থী এই তীর্থযাত্রায় অংশ নেন। তীর্থ উৎসবে মহাখ্রিষ্টযাগ, গীতি আলেখ্য,
আলোর মিছিল, নিশিজাগরণ, নিরাময় অনুষ্ঠান, পাপ স্বীকার, জীবন্ত ক্রুশের পথসহ নানা ধর্মীয়
অনুষ্ঠান হয়ে থাকে।
ভক্তদের আগমন বাড়ায় বর্তমানে
এই তীর্থস্থানে প্রায় ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪৮ ফুট উচ্চতার ফাতেমা রানীর মা মারিয়ার মূর্তি
নির্মাণ করা হয়েছে। এই স্থানটি খ্রিষ্টভক্তদের জন্য একটি পবিত্র ধর্মীয় স্থান।
তীর্থ উৎসবের সমন্বয়কারী ফাদার
তরুণ বনোয়ারি বলেন, প্রতিবছরের মত এ বছরও আমরা বার্ষিক তীর্থ উৎসব আয়োজন করতে যাচ্ছি।
তীর্থ উৎসব ঘিরে নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ করেছি। তারা আমাদের নিরাপত্তার
জন্য সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
জানা গেছে, বারমারি সাধু লিওর
ধর্মপল্লিতে ১৯৯৮ সাল থেকে ফাতেমা রানীর তীর্থ উৎসব হচ্ছে। ১৯৪২ সালে প্রায় ৪২ একর
জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ধর্মপল্লিটি। প্রতিবছরের অক্টোবরের শেষ
বৃহস্পতি ও শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয় ফাতেমা রানীর তীর্থ উৎসব।