চবিতে আদিবাসী সংস্কৃতি ও ভাষা বৈচিত্র্য উৎসব

রঁদেভূ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আদিবাসী শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক সংগঠন রঁদেভূর উদ্যোগে চতুর্থবারের মতো আদিবাসী সংস্কৃতি ও ভাষা বৈচিত্র্য উৎসব-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ‘শেখড়ের টানে তারুণ্যের আহ্বানে, সংস্কৃতির সুর হোক ভাষার জয়গানে’ স্লোগানকে সামনে রেখে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি চবি ক্যাম্পাসের উন্মুক্ত মঞ্চে দুপুর ২টায় শুরু হয়।

এতে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট লেখক ও ভাষা গবেষক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর সিরাজ উদ দৌল্লাহ, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আনন্দ বিকাশ চাকমা, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক জেসী ডেইজি মারাক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রভাষক শাং থুই প্রু ও ইংরেজি প্রভাষক নৈরঞ্জনা চাকমা।

রঁদেভূ শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক পহেলা চাকমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি সজীব তালুকদার।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, "আদিবাসী শিশুদের প্রথমে মাতৃভাষা নিয়ে পাঠদান করার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। আদিবাসীদের মাতৃভাষা তখনই টিকে থাকবে যখন আমাদের প্রজন্মান্তরে সেটি যথাযথ ব্যবহারের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। কোন ভাষায় কথা বলার মানুষ একজন মাত্র থাকলেও সেটাকে অন্যান্য ভাষার মত সমান মর্যাদা দিতে হবে। বাংলাদেশের সংকটাপন্ন আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতিকে পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকারিভাবে টেকসই কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার।"

প্রফেসর ড. সিরাজ উদ দৌল্লাহ বলেন, ‘‘বাংলাদেশের পাহাড় ও সমতলে আদিবাসীদের ভাষা-সংস্কৃতি দিন দিন বিলুপ্তির পথে যাচ্ছে। পাকিস্তান শাসনের সময়ে পূর্ব বাংলায় বাঙালিদের উপর উর্দু ভাষাকে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। বাংলা ভাষাকে হারিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষার জন্য বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন গড়ে ওঠে। আজকের দিনে আদিবাসীদের ভাষা ও সংস্কৃতিগত সচেতন দরকার। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছেন নিজ নিজ ভাষা সংস্কৃতি নিয়ে অধিকতরভাবে কাজ করা সকলের নৈতিক দায়িত্ব।’’

ড. আনন্দ বিকাশ চাকমা বলেন, "আজকের দিনে অনুশীলন ও চর্চার অভাবে আদিবাসীদের সংস্কৃতি সংকটে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য নতুন প্রজন্মের জন্য ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চার সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করা প্রয়োজন।"

জেসী ডেইজি মারাক বলেন, "পৃথিবীতে অনেক ভাষা হারিয়ে যেতে বসেছে। ভাষা একটি জনগোষ্ঠীর জীবনের অংশ। একটা জনগোষ্ঠী তখনই পরিপূর্ণ হয়ে উঠে যখন সে নিজের মাতৃভাষা নিয়ে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে।"

আলোচনা সভা শেষে রঁদেভূর শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এছাড়াও চবি চারুকলা ইনস্টিটিউটের আদিবাসী শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং অনুষ্ঠানে চারুকলায় অধ্যয়নরত আদিবাসী শিক্ষার্থীদের নানা শিল্প ও চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হয়। 

সাবেক ‘মিস ইন্ডিয়া ত্রিপুরা’ রিঙ্কি চাকমা আর নেই

 

সাবেক ‘মিস ইন্ডিয়া ত্রিপুরা’ রিঙ্কি চাকমা

অনলাইন ডেস্ক: মাত্র ২৮ বছর বয়সেই নিভে গেল সাবেক ‘মিস ইন্ডিয়া ত্রিপুরা’ রিঙ্কি চাকমার জীবনের প্রদীপ। ক্যানসারে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।

২০২২ সাল থেকে মারণ ব্রেস্ট ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন তিনি। ফাইলোডস টিউমার ধরা পড়েছিল‌ তাঁর। প্রাথমিকভাবে সেরেও গিয়েছিল ক্যানসার। কিন্তু পরে আবার ফিরে আসে।

মেপাস্ট্যাসিস প্রক্রিয়ায় ক্যানসার ছড়িয়ে পড়ে প্রথমে ফুসফুসে। পরে সেখান থেকে ব্রেনে। কেমো চলছিল। কিন্তু শরীর তাতে সায় দেয়নি। সংবাদমাধ্যম সূত্র অনুযায়ী খবর, গত ২২ ফেব্রুয়ারি তাকে সাকেতের ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু চিকিৎসায় সাড়া দেয়নি শরীর।

সম্প্রতি ইন্সটাগ্রাম পোস্টে নিজের অসুস্থতার কথা ভক্ত অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন রিঙ্কি চাকমা‌। শেষ পোস্টটি তিনি নয়া দিল্লির এইমস থেকে করেন। এর আগে কখনই নিজের শারীরিক অবস্থার কথা খোলাসা করে লেখেননি ইনস্টাগ্রামে।

তবে ২৭ জানুয়ারির ওই পোস্টে লেখেন, ‘আমি একা লড়াই করে চলেছি একটি মারণরোগের সঙ্গে। এতদিন কাউকেই এই কথা জানাইনি। তবে এখন সেই সময় এসেছে‌‌।’ এরপরেই তাঁর ক্যানসার ধরা পড়ার কথা জানান রিঙ্কি।

রিঙ্কি জানিয়েছিলেন, মারণরোগ সারাতে বর্তমানে তাঁকে কেমোথেরাপি নিতে হচ্ছে। কিন্তু তাতেও বাঁচার আশা কম। মাত্র ত্রিশ শতাংশ। চিকিৎসকরা আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। সেটাই সত্যি হল। ক্যানসারের সঙ্গে দুই বছর লড়েও মাত্র আঠাশেই প্রয়াত হলেন তিনি।

২০১৭ সালে ‘মিস ইন্ডিয়া ত্রিপুরা’ খেতাব জেতেন রিঙ্কি চাকমা। সে বছর মানুষি ছিল্লার মিস ইন্ডিয়া হয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে মানুষি মিস ওয়ার্ল্ড খেতাবও জয় করেন।

ফেমিনা বিউটি প্যাগেন্ট তাদের অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে লিখেছে, ‘রিঙ্কি এমন একটি শক্তি ছিলেন, যাঁর কাজের প্রতি উৎসাহ ছিল প্রবল। ত্রিপুরার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।’

গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়ক হলেন অঙ্কন চাকমা

গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট

বাম ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গড়ে উঠা প্ল্যাটফর্ম গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়কের দায়িত্ব পেয়েছেন বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমা। রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে মুনীর চৌধুরী হলরুমে ছাত্র জোটের এক বৈঠকে এ দায়িত্ব হস্তান্তর করেন জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মিতু সরকার। 

সভার শুরুতে জোটের সমন্বয়ক মিতু সরকার বিগত কর্মসূচির ওপর সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা ও সমন্বয়কের দায়বদ্ধতা সম্পর্কে আলোচনা করেন। ছাত্র জোটের নেতারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও হলগুলোতে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতের লক্ষ্যে আন্দোলন জোরদার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

এছাড়া, জাতীয় শিক্ষাক্রমে ভুল-ভ্রান্তি ও অসংগতি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে সব জাতিসত্তার স্ব স্ব মাতৃভাষায় শিক্ষা লাভের অধিকার নিশ্চিতসহ আশু কর্মসূচির রূপরেখা বিষয়ে আলোচনা করেন। 

পরে সভায় উপস্থিত সবার সম্মতিক্রমে আগামী মার্চ-এপ্রিল দুই মাসের জন্য গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নতুন সমন্বয়কের দায়িত্ব পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নিকট হস্তান্তর করেন সদ্য বিদায়ী সমন্বয়ক মিতু সরকার। 

এসময় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাগীব নাঈম, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ছায়েদুল হক নিশান, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সহসম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক শুভাশীষ চাকমা উপস্থিত ছিলেন। 

মাতৃভাষার সাংবিধানিক স্বীকৃতি চায় আদিবাসীরা

গারো স্টুডেন্ট ইউনিয়ন

স্টাফ রিপোর্টার: আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এই দিবসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

একুশের প্রথম প্রহরে গারো স্টুডেন্ট ইউনিয়নের (গাসু) নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় সংগঠনটির নেতাকর্মীরা ‘আমানি খু, আংনি রাসং’ যার বাংলা ‘মাতৃভাষা আমার অহংকার’ লেখা সংবলিত ব্যানার তুলে ধরেন।

শ্রদ্ধা নিবেদনকালে গাসুর কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপুন মানখিন, গাসু ঢাকা মহানগর শাখার সাবেক সভাপতি সতীর্থ চিরান, অংকন ঘাগ্রা উপস্থিত ছিলেন।

একইভাবে শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ। সংগঠনটির ঢাকা মহানগর কমিটির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। এসময় জাতীয় আদিবাসী পরিষদ বৃহত্তর ঢাকা কমিটির সভাপতি হরেন্দ্রনাথ সিং, সাধারণ সম্পাদক বিভূতি ভূষণ মাহাতো, প্রচার সম্পাদক বিকাশ মাহাতোর নেতৃত্বে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।

বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠনের (বাগাছাস) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক প্যাট্রিক চিসিমের নেতৃত্বে সকালে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়াও সংগঠনটি ভাষা দিবস উপলক্ষে ময়মনসিংহে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।

বাগাছাসের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জনজাতির কণ্ঠকে বলেন, ‘বাংলাদেশে বাংলা ভাষাভাষী মানুষ ছাড়াও আরো অনেক ভাষাভাষীর মানুষ আছে। যাদের ভাষা সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত নয়। ভাষার দেশে ভাষার এমন বৈষম্য সত্যিই দুঃখের।’

দেশের সকল আদিবাসী ভাষার সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছেন এই ছাত্রনেতা।

‘বিশ্বের প্রত্যেক মানুষের মায়ের ভাষা বেঁচে থাকুক সমান মর্যাদা ও গৌরব নিয়ে’ স্লোগানকে ধারণ করে একুশের প্রথম প্রহরে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পন করেছে গারো স্টুডেন্ট ফেডারেশন (জিএসএফ)। সংগঠনটি অধিকার বঞ্চিত সকল আদিবাসী শিক্ষার্থীর নিজ মাতৃভাষায় শিক্ষা লাভের অধিকার রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)। এসময় সংগঠনটির নেতাকর্মীরা অধিকার বঞ্চিত সকল আদিবাসী শিক্ষার্থীর নিজ মাতৃভাষায় শিক্ষা লাভের অধিকারের দাবি সংবলিত ব্যানার তুলে ধরেন।

বইমেলায় প্রকাশিত মান্দি লেখকদের বই

 

গারো বইমেলা

স্টাফ রিপোর্টার: অমর একুশে বইমেলায় এবার বিভিন্ন প্রকাশনী থেকে বেরিয়েছে মান্দি লেখকদের বেশ কয়েকটি বই। যে বইগুলোতে উঠে এসেছে জাতিসত্তার নানা স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির কথা। 

মান্দিদের মাঝে সাহিত্য চর্চাকে গতিশীল করতে, উৎসাহ দিতে  এবং নিজস্ব কৃষ্টি, সংস্কৃতি, সাহিত্যকে চর্চার ক্ষেত্র তৈরিতে কয়েকটি প্রকাশনী বেশ উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা রাখছে। যার মধ্যে থকবিরিম, তিউড়ি প্রকাশনীর নাম উপরের দিকে থাকবে।


এবারও থকবিরিম প্রকাশনী থেকে কয়েকজন মান্দি লেখকের বই বেরিয়েছে। যার মধ্যে একটি ‘যৌবনে আত্মপ্রকাশ’। বইটির লেখক ফাদার বাইওলেন চাম্বুগং।


একই প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত আরেকটি বই সুমনা চিসিমের ‘প্রবন্ধ সংগ্রহ’। গ্রন্থটি পাঠকদের মাঝে আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে।


এবারের বইমেলায় কবি ও লেখক পিটারসন কুবির দুইটি বই বেরিয়েছে। যার একটি ‘হৃদ মাঝারে’। এই বইটির প্রকাশনীও থকবিরিম। গ্রন্থ মেলার লিটলম্যাগ চত্ত্বরের ৭৫ নং স্টল থেকে বইটি সংগ্রহ করা যাবে।


আরেকটি ‘জবা নামের ছোট্ট মেয়েটি’। এটি মূলত একটি গল্পের বই। বইটির প্রকাশক তিউড়ি প্রকাশনী। বইমেলার লিটলম্যাগ চত্ত্বরের কথা স্টল (স্টল নং ১০৬) থেকে বইটি সংগ্রহ করা যাবে।


থকবিরিমের আলোচিত আরেকটি বই ‘চায়েন সিনো খেয়েই মরবো’। বইটির লেখক মিঠুন রাকসাম।


মান্দি লেখক গৌরব জি. পাথাং এর প্রকাশিত বই ‘ভালোবাসায় ভালো থাকা’। এটি মূলত একটি কবিতার বই। নব সাহিত্য প্রকাশনী থেকে বইটি প্রকাশিত হয়েছে।

এই প্রথম তরুণ লেখক জাদিল মৃ’র বই ‘আমি এক শূন্য জবা ফুল’ বেরিয়েছে। বোধ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত এ বইটির পরিবেশক আনন্দম প্রকাশনী।  

বইটি নিয়ে তরুণ লেখক জাদিল মৃ জানান, আমি শূন্য, আমরা শূন্য, তুমি শূন্য ও তোমরা শূন্য এবং আমাদের শূন্যতা সব মিলিয়ে ‘আমি এক শূন্য জবা ফুল। বইমেলার ৪৮২ নং স্টলে বইটি পাওয়া যাচ্ছে।

বিপুল চাকমা সহ ৪ নেতার হত্যার বিচার দাবি

বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও ইউনাইটেড ওয়ার্কার্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট

স্টাফ রিপোর্টার: ছাত্র-যুবনেতা বিপুল, সুনীল, লিটন, রুহিনের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সমমনা কয়েকটি সংগঠন। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।

বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও ইউনাইটেড ওয়ার্কার্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট যৌথভাবে এ সমাবেশের আয়োজন করে।

সমাবেশে পিসিপি’র সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরার সঞ্চালনায় ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি জিকো ত্রিপুরার সভাপতিত্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভাপতি কনিকা দেওয়ান, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অংকন চাকমা, ফাহিম আহমেদ চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ‘বিপুল চাকমাদের হত্যার দুই মাস পরেও খুনিদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। উল্টো প্রশাসন খুনিদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের মতো পার্বত্য চট্টগ্রামে খুন, গুম করা হচ্ছে।’

এসময় তারা অবিলম্বে বিপুল চাকমা সহ চার নেতার হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।

সমাবেশ পরবর্তী বিক্ষোভ মিছিলটি দোয়েল চত্বর হয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে যাওয়ার সময় বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সামনে গেলে পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। পুলিশী বাধার এক পর্যায়ে একাডেমির সামনে জিকো ত্রিপুরার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

 

এডিসি হলেন লিটুস চিরান ও ইলিশায় রিছিল

 

ক্ষুদ্র নৃৃগোষ্ঠীর সরকারি কর্মকর্তা

জ.ক. ডেস্ক: অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) পদে পদোন্নতি পেলেন গারো জনগোষ্ঠীর দুইজন কৃতি সন্তান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদে পদায়িত হওয়া এই দুইজন হলেন লিটুস লরেন্স চিরান এবং ইলিশায় রিছিল।

গত রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি সাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

এরআগে, ইলিশায় রিছিল নালিতাবাড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি ৩৩তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেন। নিজের সেরাটা নিংড়ে দিয়ে প্রশাসনের সকল দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি মানুষের তরে ছুটে চলেছেন বিরামহীনভাবে। প্রাণপণে চেষ্টা করছেন মানুষের কল্যাণের জন্য নাগরিক সেবা দিতে। পদোন্নতির পর তিনি ঝিনাইদহ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।  

অন্যদিকে, লিটুস লরেন্স চিরান নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। পদোন্নতির পর তিনি সিরাজগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। জনবান্ধব ও পরিশ্রমী এ সরকারি কর্মকর্তা কর্মক্ষেত্রে গণমাধ্যম, ফেসবুক, মুঠোফোনের মাধ্যমে পাওয়া বিভিন্ন অভিযোগ দ্রুত সমাধান ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন।

এদিকে, একসাথে দুজনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদে পদায়িত হওয়ার খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় জানাজানি হতেই গারো জনগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নানা শ্রেণী পেশার মানুষ এই দুইজনকে উষ্ণ অভিনন্দন জানাচ্ছেন।

© all rights reserved - Janajatir Kantho