আদিবাসী আন্দোলনকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি, ‘আমি আদিবাসী, আমাকে গ্রেপ্তার কর’ পোস্টে গণপ্রতিবাদ

 


আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবিতে আন্দোলনরতদের গ্রেপ্তারের দাবির তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন আদিবাসীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায়আমি আদিবাসী, আমাকে গ্রেপ্তার করপোস্টে গণপ্রতিবাদ জানাচ্ছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনেসার্বভৌম ছাত্র-জনতারব্যানারে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় যারাআদিবাসীস্বীকৃতি চাচ্ছেন কিংবা এই দাবি প্রচার করে বেড়াচ্ছেন, তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবির প্রেক্ষিতে আদিবাসী সচেতন ব্যক্তিরা সরব হয়েছেন।

বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অলিক মৃ ফেইসবুকে লিখেছেন, ‘‘জেলখানায় জায়গা হবে তো?’’

সাংবাদিক বুদ্ধজ্যোতি চাকমা লিখেছেন, ‘‘দরকার কী! আদিবাসীরা তো গ্রেপ্তার এবং কারাগারেই আছে। বরং যারা গ্রেপ্তারের দাবি করছে রাষ্ট্রদ্রোহিতার দায়ে তাদের গ্রেপ্তার করা করলেই রাষ্ট্র নিরাপদ হবে।’’

প্রতিবাদ জানিয়ে তরুণ কবি লেখক নিগূঢ় ম্রং লিখেছেন, ‘‘আমি আদিবাসী, আমাকে গ্রেফতার করুন।’’

হোশেয় সাংমা নামের একজন লিখেছেন, ‘‘আবার নতুন করে সংগ্রাম শুরু করতে হবে তাহলে দেখছি। যায় যবে যাক প্রাণ।’’

 

তিন পার্বত্য জেলায় বাফুফের বিশেষ কর্মসূচি

 


তিন পার্বত্য জেলায় বিশেষ এক ফুটবল কর্মসূচি করছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলার সুবিধাবঞ্চিত ৪৫ নারী ফুটবলারদের অংশগ্রহণে রাঙ্গামাটির চিং হ্লা মং চৌধুরী মারি স্টেডিয়ামে পাবর্ত্য অঞ্চলে নারীর ক্ষমতায়নে ফুটবলের ভূমিকা শীর্ষ এই প্রোগাম করছে বাফুফে।

আজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা প্রশাসক বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) এর সামাজিক দায়বদ্ধতা ইউনিটের প্রধান নেইল স্টা মারিয়া।

কর্মশালা শেষে ৪৫ জন নারী খেলোয়াড়দের নিয়ে একটি প্রীতি ম্যাচ হবে। থেকে বাছাইকৃত ১২ জন ফুটবলার আগামী বছর পাবেন শিক্ষা বৃত্তি। ৪৫ জন নারী খেলোয়াড়কে দেয়া হবে শিক্ষা উপকরণ।

জন প্রশিক্ষক দিন ব্যাপী এই আবাসিক ক্যাম্প করবে। দিনব্যাপী শিশুদের সেফগার্ডিংয়ের পাশাপাশি স্থানীয় আদিবাসী প্রশিক্ষকদের জন্য রয়েছে একদিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা।

বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন শুভাসিস সিনহা

 


বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪ পাচ্ছেন নাট্য নির্দেশক, কবি লেখক শুভাশিস সিনহা। বৃহস্পতিবার বাংলা একাডেমি নির্বাহী পরিষদের অনুমোদনে মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানা যায়।

শুভাসিস সিনহা নাটক নাট্যসাহিত্যে পুরস্কার পাচ্ছেন। বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে বইমেলা ২০২৫-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা . মুহাম্মদ ইউনূস আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার প্রদান করবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‌বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪ প্রস্তাবক কমিটির প্রস্তাবনার পরিপ্রেক্ষিতে এবং বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার কমিটি ২০২৪-এর সিদ্ধান্তক্রমে বাংলা একাডেমি নির্বাহী পরিষদবাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪অনুমোদন করে।

মণিপুরী জাতিগোষ্ঠীর শুভাশিস সিনহা থিয়েটারের মানুষ, সাহিত্যের মানুষ। একই সঙ্গে টেলিভিশন নাট্যকার হিসেবেও পেয়েছেন খ্যাতি। তার লেখাপাগলা হাওয়ার দিন ধারাবাহিক এনটিভিতে প্রচার হয়েছে।

মঞ্চনাটকের পাশাপাশি তার লেখা উল্লেখ্যযোগ্য টিভি নাটকের মধ্যে রয়েছেসুর-বেসুর’ ‘ক্যাথারসিস’, ‘চোর’, ‘জমিন’, ‘মানুষ একটি অমানবিক আখ্যান’ ‘ধোঁয়াঘর, ‘ইঞ্জিন’, ‘পাগলা হাওয়ার দিনইত্যাদি।

তার লেখা উল্লেখযোগ্য মঞ্চনাটকের মধ্যে রয়েছে- ভানুবিল, ইঙাল আধার পালা, ডালিমকুমার, দেবতার গ্রাস লেইমা। তিনি মঞ্চে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন, ধ্বজো মেস্তরীর মরণ, রুদ্রচণ্ড, ইঙাল আধার পালা, কহে বীরাঙ্গনা, দেবতার গ্রাস, লেইমা প্রভৃতি নাটক নির্দেশনা দিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন।

শুভাশিস সিনহার জন্ম ১৯৭৮ সালের ২৯ জানুয়ারি মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার ঘোড়ামারা গ্রামে। পিতা- প্রয়াত লালমোহন সিংহ, মাতা ফাজাতম্বী সিনহা। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি কনিষ্ঠ। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক নাট্যতত্ত্ব বিভাগ থেকে স্নাতক (সম্মান) স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন।

মণিপুরী নাটক সাহিত্যে অবদানের জন্য শুভাশিস সিনহা ইতোমধ্যে ভারতের আসাম থেকেদিলীপ সিংহ স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কারএবং নাট্য-নির্দেশক হিসেবে বাংলাদেশের মণিপুরী তথ্য গবেষণা কেন্দ্রপৌরিথেকে গীতিস্বামী এ্যাওয়ার্ড, ‘মণিপুরী যুব কল্যাণ সমিতি’, ‘মণিপুরী গবেষণা পরিষদ’, ভারতের শিলচরের এল. এল. প্রোডাকশন-এর পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক লাভ করেছেন।

২০০৮ সালে অর্জন করেছেন ঢাকার থিয়েটার প্রবর্তিত জাকারিয়া স্মৃতি পদক। ২০১১ সালে সৃজনশীল নাট্যতরুণ হিসেবে নাট্যধারা প্রবর্তিত বহুল আলোচিত তনুশ্রী পদক লাভ করেছেন। ২০১৪ সালে লাভ করেন চলচ্চিত্রকার আব্দুল জব্বার খান স্মৃতিপদক।

এছাড়া ২০১১ সালে ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে শান্তিনিকেতনেরবীন্দ্রসাহিত্যের নাট্যায়নশীর্ষক ১০ দিনের কর্মশালায় অংশ নিয়েছেন।হওয়া না-হওয়ার গানকাব্যগ্রন্থের জন্য ২০১১ সালেএইচএসবিসি-কালি কলম সাহিত্যপুরস্কারঅর্জন করেছেন।কুলিমানুর ঘুমউপন্যাসের জন্য ২০১২ সালে পেয়েছেন ব্র্যাক-ব্যাংক সমকাল সাহিত্য পুরস্কার (হুমায়ূন আহমেদ পুরস্কার)

© all rights reserved - Janajatir Kantho