অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হলেন সুপ্রদীপ চাকমা


নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত ৯টায় বঙ্গভবনে তারা শপথ নেন।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা। ঢাকার বাইরে অবস্থান করায় তিনি শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেননি।

সুপ্রদীপ চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে কর্তব্যরত ছিলেন। ২০২৩ সালের ২৪ জুলাই তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

১৯৬১ সালে খাগড়াছড়ির কমলছড়িতে সুপ্রদীপ চাকমার জন্ম। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ছাত্র ছিলেন। তিনি সপ্তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডারে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। এরপর মেক্সিকো ও ভিয়েতনামে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।  

সুপ্রদীপ চাকমা ছাড়াও উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, মানবাধিকারকর্মী আদিলুর রহমান খান, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হাসান আরিফ, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন, পরিবেশ আইনবিদ সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম, আরেক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

এছাড়াও রয়েছেন ফরিদা আখতার, বিধান রঞ্জন রায়, আ ফ ম খালিদ হাসান, নুরজাহান বেগম, শারমিন মুরশিদ ও ফারুকী আযম।

আয়নাঘর থেকে মাইকেল চাকমা মুক্ত, কল্পনা চাকমা কোথায়–প্রশ্ন

 


গোপন বন্দীশালা আয়নাঘর থেকে ইউপিডিএফ নেতা মাইকেল চাকমার মুক্তির পর কল্পনা চাকমাকে নিয়ে সরব হয়েছেন সচেতন নাগরিকেরা। এই রাজনৈতিকর্মী কোথায়তুলছেন সেই প্রশ্ন।

এ নিয়ে নিপ্পন চাকমার একটি লেখা ফেইসবুকে সয়লাব হয়ে গিয়েছে। তিনি লিখেছেন, আঁধাপাকা চুল, একটু বয়সের ছাপ, বয়সটা গত ২৮ বছরে অনেকখানি হয়েছে ‘কল্পনা চাকমা’ নামে এমন কোনো ভদ্রমহিলাকেও যদি পাওয়া যেতো পাহাড় আজ কিছুটা হলেও আনন্দে কেঁদে উঠতো!

হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেত্রী কল্পনা চাকমাকে নিয়ে সরব হয়েছেন সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট হোসেইন সোহেল। তিনি বলেন, মাইকেল চাকমাকে পেলাম আয়নাঘর থেকে। পেলাম আরও ভাইদের কিন্তু আমাদের পার্বত্য জেলার কল্পনা চাকমা কই? তাকে ফেরত দিন দয়া করে।

একইসাথে যারা প্রতিবাদহীন চুপ রয়েছেন তাদেরও সমালোচনা করেছেন তিনি। হোসেন সোহেল লিখেছেন, পাহাড়ের ভ্লগার ভয়েজার ইউটিউবার ইত্যাদি তারা কোন কথা বলছেন না কেন? বর্তমান সময় নিয়ে ভয়ে লেপের তলে ঘুমিয়ে থাকবেন?

গারো জাতিসত্তার কবি ও লেখক নিগূঢ় ম্রং বলেন, অনেকেরই তো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে। আয়নাঘর ভেঙে দেখো, কল্পনা চাকমা কথা বলছে!

প্রতিবাদী গানের দল মাদল-এর অন্যতম সদস্য অন্তর স্কু নিজের ফেইসবুক ওয়ালে লিখেছেন, মাইকেল চাকমাকে পাওয়া গেলো আয়নাঘর থেকে। কল্পনা চাকমা কি ফিরবেন?

রাজনৈতিককর্মী কল্পনা চাকমা ১৯৯৬ সালের ১২ জুন রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার নিজ বাড়ি থেকে পরিবারের সদস্যদের সামনে অপহৃত হন। তিনি হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

পরিবারের সদস্যদের স্পষ্ট অভিযোগ, সেই রাতে কল্পনাকে নিরাপত্তা বাহিনীর লেফটেন্যান্ট পদধারী একজন কর্মকর্তার নেতৃত্বে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এ মামলার বাদী কালিন্দী কুমার চাকমা তাঁর জবানবন্দিতেও সেই একই অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। দীর্ঘ ২৮ বছর পর চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল রাঙ্গামাটির আদালত অপহরণের মামলাটি খারিজ করে দেয়।

‘আদিবাসী-সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করেই গঠিত হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার’

 

নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধি, শিক্ষক, ছাত্র প্রতিনিধি, সংখ্যালঘু, আদিবাসী আলেম সমাজের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার ( আগস্ট) সকালে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে এ তথ্য জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।

এর আগে, প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের বিচারপতিবৃন্দের পদত্যাগ দাবি করেন আসিফ মাহমুদ। 

বুধবার দিবাগত রাতে দেওয়া পোস্টে তিনি বলেন, আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, বিচারবিভাগে এখনো আগের সরকারকে টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করা বিচারপতিরা বিচরণ করছেন। আমরা শুনতে পেলাম, অভ্যুত্থানের আগে আমাদের যেভাবে আদালতের নামে টালবাহানা করা হতো, ঠিক একই কায়দায় অভ্যুত্থান পরবর্তী ছাত্র-জনতার সরকার ব্যাহত করার প্রচেষ্টা চলমান।

এই ছাত্রনেতা অচিরেই প্রধান বিচারপতি, আপিল বিভাগের বিচারপতিবৃন্দের অপসারণ দাবি করেন।

 

‘আদিবাসী-সংখ্যালঘুদের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে’

 

আদিবাসী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগনের মনে আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতা বিরাজ করছে। রাজশাহী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, দিনাজপুর জেলায় আদিবাসীদের উপর হামলা, স্থাপনা ভাংচুর, সম্পদ লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ।

মঙ্গলবার সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি বিচিত্রা তির্কী ও সাধারণ সম্পাদক নরেন চন্দ্র পাহান এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

আদিবাসী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় সচেতন জনগণকে পাশে দাঁড়াতে আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। সেই সঙ্গে আদিবাসী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়।

ছাত্র জনতার ঐক্যবদ্ধ গণঅভ্যুত্থান ও আন্দোলনে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনকে মুক্তিকামী জনগণের বিজয় বলে উল্লেখ করেছে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ।

আয়নাঘর থেকে মুক্ত হলেন মাইকেল চাকমা


গুমের শিকার হওয়া ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) নেতা মাইকেল চাকমা দীর্ঘ বছর মাস পর অবরুদ্ধদশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। বুধবার ভোরের দিকে চট্টগ্রামের একটি স্থানে তাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় ছেড়ে দেয়া হয়।

এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ইউপিডিএফ।

২০১৯ সালের এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে সাংগঠনিক কাজ শেষে ঢাকায় ফেরার পথে মাইকেল চাকমা গুমের শিকার হন। এরপর থেকে তাঁর কোন হদিস মেলেনি।

মাইকেল চাকমাকে উদ্ধার মুক্তির দাবিতে ইউপিডিএফ তার সহযোগী সংগঠনসমূহ, প্রগতিশীল মানবাধিকার সংগঠন, শিক্ষক-নাগরিক সমাজসহ পরিবারের লোকজন নানা কর্মসূচি পালন করেছেন।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, সিএইচটি কমিশনসহ মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিগণও মাইকেল চাকমা গুমের উদ্বেগ প্রকাশ করে তাঁর সন্ধান দেয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছিলেন।

সংশ্লিষ্ট নারায়ণগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের মাইকেল চাকমার সন্ধান চেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করা হলেও এতদিন সরকারের পক্ষ থেকে তাকে উদ্ধারে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

ছাত্র-গণ অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ার পর তাকে মুক্তি দেওয়া হলো।

ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি নুতন কুমার চাকমা এক বিবৃতিতে মাইকেল চাকমাকে মুক্তি দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের নির্দেশে মাইকেল চাকমাকে তুলে নিয়ে দীর্ঘ বছরের অধিক বন্দী করে রাখে। তিনি এই গুমের সাথে জড়িতদের বিচারের দাবি জানান।

তিনি মাইকেল চাকমার সন্ধান তাকে উদ্ধারের দাবিতে যেসব সংগঠন ব্যক্তি সাহায্য-সহযোগিতা প্রদান করেছেন, প্রতিবাদসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

তাড়াশে আদিবাসী সুফলভোগীদের পুকুর দখলের অভিযোগ

 

ছবি: কালবেলা

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে আদিবাসী সুফলভোগীদের পুকুর দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) এর প্রতিকার চেয়ে তাড়াশ ইউএনও সুইচিং মং মারমা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বটগাড়ী সপ্তমী পুকুর সুফলভোগী দলের সভাপতি বলরাম উরাওঁ।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের বস্তুল বটগাড়ি সপ্তমী পুকুরটি নিমগাছি মৎস্য চাষ প্রকল্পের আওতায় সুফলভোগী সদস্যরা ২০১১ সাল থেকে লিজ নিয়ে চাষাবাদ করে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি বটগাড়ি এলাকার প্রভাবশালী মো. সাইফুল ইসলাম ও তার তিন ছেলে মো. আমজাদ হোসেন, মো. শামিম হোসেন, মো. আমিরুল ইসলাম, সাইফুলের ছেলে মো. শফি ও আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে মো. রাঙ্গা ওই জলাশয়ে জাল কাগজ করে পুকুরটি নিজেদের মালিকানা দাবি করে তা দখলের চেষ্টা করেছেন।

সুফলভোগী অমল উরাওঁ, চিত্তরঞ্জন উরাওঁ, প্রদীপ উরাওঁ জানান, বর্তমানে লিজ দেওয়া পুকুরে মাছের খাবার, ওষুধ ও পরিচর্যা করতে দিচ্ছে না। বরং প্রভাবশালীরা জোরপূর্বক পুকুরে থাকা সুফলভোগীদের চাষ করা প্রায় ৩ লাখ টাকার মাছ তুলে বিক্রি করেছেন। এ সময় বাধা দিলে প্রভাবশালীরা লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এ ছাড়াও বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন।

তাড়াশ উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সপ্তমীর পুকুরটি ‘খ তপশিল গেজেট থেকে তা অবমুক্ত করার জন্য আব্দুল কুদ্দুসগং তাড়াশ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর আবেদন করেন। আবেদেনের প্রেক্ষিতে গত ২৮ মার্চ তাড়াশ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তা খালিদ হাসান স্বাক্ষরিত একটি আদেশপত্রে বটগাড়ি মৌজার আরএস ২৪ নম্বর খতিয়ানটি টেম্পারিং খতিয়ান। নালিশি ভূমিতে আবেদনকারীদের কোনো ভোগদখল নাই। টেম্পারিং খতিয়ান হিসেবে নালিশি ভূমিতে সরকারি স্বার্থ জড়িত থাকায় কুদ্দুসগংদের অবমুক্ত করা আবেদনটি বাতিল করা হয়। তারপরও ওই প্রভাবশালীরা সুফলভোগীদের পুকুরটি দখলে নেয়।

বিষয়টি নিয়ে তাড়াশ ইউএনও সুইচিং মং মারমা বলেন, খোঁজ নিয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের বোর্ডিং স্কুলে হাজার আদিবাসী শিশুর মৃত্যু

 

ছবি: আল-জাজিরা

যুক্তরাষ্ট্রের একটি বোর্ডিং স্কুলে কমপক্ষে এক হাজার আদিবাসী শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শারীরিক, মানসিক, যৌন নির্যাতন ও অসুস্থতার কারণে এসব শিশুর মৃত্যু হয়। মার্কিন স্বরাষ্ট্র বিভাগের কর্মকর্তাদের দ্বারা পরিচালিত এক তদন্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

গত মঙ্গলবার প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন অনুসারে, ১৮১৯ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত পরিচালিত প্রায় ৪০০টি মার্কিন বোর্ডিং স্কুলে এসব শিশুদের মৃত্যু হয়।

মার্কিন অভ্যন্তরীণ সচিব দেব হালান্ডের নেতৃত্বে পরিচালিত এ তদন্তে বলা হয়েছে, ১৮১৯ থেকে ১৮৬৯ সাল পর্যন্ত সমগ্র মার্কিন-মল্লুকে ৪০০টিরও বেশি বোর্ডিং স্কুল ছিল। এর মধ্যে ৬৫টিতে ডজন ডজন আদিবাসী শিশুর সমাধি পাওয়া গেছে।

এছাড়াও সেই সব বোর্ডিং স্কুলের সীমানার মধ্যে বহু সমাধিও ছিল যেগুলো আদিবাসী শিশুদের কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এসব বোর্ডিং স্কুল আদিবাসী শিশুদের শ্বেতাঙ্গ সমাজে আত্তীকরণ বা মিশে যাওয়ার দীক্ষা দিতে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এসব স্কুলে আদিবাসী শিশুদেরকে জোর করে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হতো। এতে তারা নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি, জাতিসত্তা একেবাবে ভুলে যেত।

এসব স্কুলগুলোতে শিশুদের ইংরেজি নাম দেওয়া হতো। এমনকি তাদের কৃষিকাজ, ইট তৈরি এবং রেলপথে কাজ করার মতো কায়িক শ্রম করতে বাধ্য করা হতো বলে তদন্ত প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।

ন্যাশনাল নেটিভ আমেরিকান বোর্ডিং স্কুল হিলিং কোয়ালিশন অনুসারে, ১৯৬৯ থেকে ১৯৬০ পর্যন্ত কয়েক হাজার শিশুকে জোর করে বোর্ডিং স্কুলে রাখা হয়েছিল। ১৯২৬ সাল পর্যন্ত দেশটির আদিবাসীর প্রায় ৮৩ শতাংশ স্কুল-বয়সী শিশু স্কুলগুলোতে ভর্তি হয়।

এদিকে, এত সংখ্যক আদিবাসী শিশুর মৃত্যুর জন্য মার্কিন সরকারকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।

© all rights reserved - Janajatir Kantho