দুটি ব্যাঙের মধ্যে একটির নাম রাখা হয় শিমুল, আর অপরটির
নাম মেঘলা। ব্যাঙের বিয়ের খবরে ভুগরইল আদিবাসী পল্লীতে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে। শিমুল
আর মেঘলার বিয়ে দেখতে ভিড় করেন গ্রামবাসী।
শিমুলকে সাজিয়ে-গুজিয়ে বাদ্যযন্ত্রের তালে-তালে নাচে
গানে কনে মেঘলার বাড়িতে রওনা হয় গ্রামবাসী। ডনবক্স চার্চ থেকে প্রায় ২০০ গজ দূরে কনে
পক্ষের বাড়ি। কনে মেঘলার বাড়িতে অতিথিদের নিয়ে বর শিমুল পৌঁছালে সেখানে বিয়ে পড়ানো
হয় দুজনার। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতায় শিমুলের হাত দিয়ে মেঘলার কপালে সিঁদুর দিয়ে দেওয়া হয়।
গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে এ বিয়ের আয়োজন করেন অঞ্জলী
বিশ্বাস। তিনি স্থানীয় ডনবক্স চার্চে শিশুদের শিক্ষাদান কর্মসূচির শিক্ষক এবং বর শিমুলের
অভিভাবক।
অন্যদিকে, আদিবাসী পরিবারের অনার্স পড়ুয়া জয়া বিশ্বাস
কনে পক্ষের অভিভাবক। তার বাড়িতেই বিয়ে পর্বের আয়োজন করা হয়।
বিয়ে শেষে শিমুল ও মেঘলাকে চার্চে নিয়ে এনে মাটির
একটি গর্তে পানি দিয়ে তাতে আয়োজন করা হয় বর-কনের বাসরের। এর মধ্য দিয়ে শেষ হয় ব্যাঙের
বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা।
অঞ্জলি বিশ্বাস বলেন, ‘পুরো বিয়েটাই আয়োজন করা হয়েছে
আদিবাসী রীতিতে। বৃষ্টির প্রয়োজন আছে। রোদ আর গরমে মানুষজন ও পশুপাখি থাকতে পারছে না।
এজন্য আমরা চাচ্ছি যাতে অন্তত বৃষ্টিটা হয়।’
অনাবৃষ্টি বা খরা দেখা দিলে বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে যুগ যুগ ধরে এভাবেই ব্যাঙের
বিয়ে দিয়ে বৃষ্টির প্রত্যাশা করা হয়।