ময়মনসিংহে ‘মান্দি মিউজিক ফেস্টিভ্যাল’–এর উদ্বোধন

মান্দি মিউজিক ফেস্টিভ্যাল

ময়মনসিংহে দুইদিনব্যাপী আয়োজিত ‘মান্দি মিউজিক ফেস্টিভ্যাল’–এর উদ্বোধন হয়েছে। আজ শনিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা এগারোটায় শহরের কারিতাস অফিস প্রাঙ্গণে আয়োজনের শুভ উদ্বোধন হয়।

উদ্বোধনের আগে গ্রিকার (মান্দি যুদ্ধ নৃত্য) মাধ্যমে অতিথিদের বরণ করে নেন আয়োজনের শিল্পী-কলাকুশলীরা।

এসময় ময়মনসিংহ ধর্মপ্রদেশের বিশপ পল পনেন কুবি সিএসসি, কারিতাস বাংলাদেশ ময়মনসিংহ অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক অপূর্ব ম্রং, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মৃনাল মুর্মু সাংমা, শিল্পী যাদু রিছিল, ছড়াকার ও ছাত্রনেতা লিয়াং রিছিল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

দুইদিনব্যাপী আয়োজিত এ উৎসবের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ মেঘালয়ের জনপ্রিয় ব্যান্ড দল নকপান্থে। মেঘালয় সহ পুরো ইন্ডিয়াতেই তাদের রয়েছে বিশাল ফ্যানবেজ। ইতোমধ্যেই ব্যান্ড দলটির সদস্যরা ফেস্টিভ্যালে যোগ দিয়েছেন। তারা দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ আগামীকাল সন্ধ্যায় পারফর্ম করবেন। 

জানা গেছে, আয়োজনের প্রথমদিন শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও গসেরঙ কম্পিটিশন (মান্দি ছড়া প্রতিযোগিতা); রেরে, সেরেনজিং, আজিয়ার মতো মান্দি লোকগীতি পরিবেশিত হবে। 

এছাড়াও সন্ধ্যায় ব্যান্ড দল দ্য রাবুগা, অন্তু রিছিল, টগর দ্রং, লাক্সমী থিগিদী সহ অনেকেই গান পরিবেশন করবেন।

নদীতে ফুল ভাসিয়ে চাকমা-তঞ্চঙ্গ্যাদের বিজু-বিষু উৎসব শুরু

বিজু-বিষু উৎসব

নদী-হ্রদে ফুল ভাসিয়ে ‘ফুল বিজু উদযাপন শুরু হয়েছে তিন পার্বত্য জেলায়। আজ শুক্রবার থেকে শুরু হল চাকমা জনগোষ্ঠীর তিন দিনের প্রাণের বিজু উৎসব।

পুরাতন বছরকে বিদায় আর নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পার্বত্য চট্টগ্রামের ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী বৈসু, মারমারা সাংগ্রাই, ম্রোরা চানক্রান, খিয়াংরা সাংগ্রান, খুমিরা সাংক্রাই ও তঞ্চঙ্গ্যারা বিষু উৎসব পালন করে।

ফুল বিজুতে সম্মিলিত হয়ে সকালে চাকমা ছেলে-মেয়েরা নদী-হ্রদে ফুল দিয়ে মা গঙ্গাকে পূজা করেন। পুরনো বছরকে বিদায় দিয়ে ও নতুন বছরকে স্বাগত জানায়। এ সময় তারা সবার মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করেন।

এ উৎসবে চাকমারা বিভিন্ন প্রকারের সবজি দিয়ে পাজন নামের একটা তরকারি রান্না করে। এটা তাদের ঐতিহ্যবাহী খাবার।

উৎসবে নতুন কাপড় পরিধান করে দলবেঁধে পুরো গ্রাম ঘুরে বেড়ায় তরুণ-তরুণীরা। তাছাড়া সাধ্য অনুসারে ঘরে ঘরে বিভিন্ন রকমের পিঠা তৈরি করে বন্ধু-বান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন এমনকি কারোর সঙ্গে অতীতে বৈরিতা বা ঝগড়া, মনোমালিন্য থাকলেও এদিন সবাই ভুলে গিয়ে একে অপরকে ক্ষমা করে দিয়ে নিজের বাড়িতে নিমন্ত্রণ করে পিঠাসহ হরেক রকম খাবার পরিবেশন করে।

তিন পার্বত্য জেলায় ১১টি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে, যা দেশের অন্য কোনো জেলায় নেই। এগারোটি জাতিসত্তার নানা বৈচিত্র্যময় জীবনধারা, সংস্কৃতির সম্মিলন উৎসবে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। 

কেএনএফ প্রধান নাথান বমের স্ত্রীকে তাৎক্ষণিক বদলি

নাথান বমের স্ত্রী

কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) প্রধান নাথান বমের স্ত্রী নার্স লাল সমকিম বমকে বান্দরবানের রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে লালমনিরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে।

নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মো. নাসির উদ্দিন স্বাক্ষরিত স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, নার্সিং সেবা-১ শাখার গত ৮ এপ্রিল এক স্মারকের আলোকে রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স লাল সমকিমকে লালমনিরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে বদলির আদেশ দেওয়া হয়।

একই চিঠিতে, একই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নার্স দীপালী বাড়ৈ নামে আরও এক নার্সকে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করা হয়েছে।

পরিপত্রে জানানো হয়, বদলিকৃত সিনিয়র নার্সরা ৯ এপ্রিলের মধ্যে কর্মস্থলে আবশ্যিকভাবে যোগদান করবেন, নাহলে ৯ এপ্রিল তারিখের অপরাহ্নে স্ট্যান্ড রিলিজ বলে গণ্য করা হবে।

বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক লাল সমকিম ও দীপালী বাড়ৈ নামে দুই নার্সকে বান্দরবানের রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে। 

বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি: ‘গোটা বম জাতিকে অপরাধী সাব্যস্ত করা হয়েছে’

বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি

বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি, ম্যানেজারকে অপহরণ-উদ্ধার ও অস্ত্র লুটের পরিপ্রেক্ষিতে গোটা বম জাতিসত্তার জনগণকে অপরাধী সাব্যস্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক থুইলাপ্রু মারমা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, বমদের বিরুদ্ধে বিষোদগার, নির্বিচারে ধরপাকড়, ছুটিতে ঘরমুখী শিক্ষার্থীদের তুলে নেওয়া, হয়রানি ও জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। পাহাড়ে ঐতিহ্যবাহী বৈসু-সাংগ্রাই-বিঝু উৎসবলগ্নে, রুমা ও থানচির মত দুর্গম এলাকায় চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এতে শুধু বম জাতিসত্তাভুক্ত সম্প্রদায়ের লোক নয়, গোটা এলাকার সাধারণ মানুষের জনজীবনের দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিয়েছে।

বিবৃতিতে জাতিগত বিদ্বেষ সৃষ্টি, নির্বিচারে ধরপাকড় ও দমন-পীড়ন সমস্যার সমাধান নয় এবং তা কখনই শুভ ফল বয়ে আনতে পারে না বলে দাবি করা হয়েছে।

যৌথ বিবৃতিতে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) সভাপতি অঙ্কন চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভানেত্রী নীতি চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক রিতা চাকমা এবং গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম সভাপতি জিকো ত্রিপুরা ও সাধারণ সম্পাদক বরুণ চাকমা স্বাক্ষর করেছেন। 

পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘাতের নাটক সাজানো হয়: রাজা দেবাশীষ রায়

রাজা দেবাশীষ রায়

আমাদের অঞ্চলে (পার্বত্য চট্টগ্রাম) মাঝেমধ্যে কৃত্রিমভাবে সংঘাতের নাটক সাজানো হয়। এইসব নাটকের যদি অবসান না হয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন হতে পারে না। জুম্ম হিসেবে, পাহাড়ি হিসেবে, আদিবাসী হিসেবে, বাংলাদেশী হিসেবে আমরা মাথা উঁচু করে থাকতে পারবো না।

আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাঙ্গামাটি পৌরসভা চত্বরে বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিষু, চাংক্রান, বিহু উপলক্ষ্যে আয়োজিত উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন চাকমা সার্কেল চিফ রাজা দেবাশীষ রায়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চাকমা সার্কেল চিফ আরো বলেন, ‘আমাদের যেমন বঞ্চনা রয়েছে, আবার আশার কথাও বলতে হবে। আমরা অবশ্যই যারা বঞ্চিত তাদের পাশে দাঁড়াব, অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলব। কিন্তু আমাদের আশার বাণীও শোনাতে হবে; যাতে পরবর্তী প্রজন্ম নিজেদের শক্তি-উদ্যম নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পারে।’

অনুষ্ঠানে সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ঊষাতন তালুকদার বলেন, ‘আমাদের জীবন আমাদের নয়ন; কারো দ্বারা পরিচালিত হয়। পার্বত্যবাসী জুম্মরা বাংলাদেশের শত্রু নয়, বাংলাদেশের পথের কাটা নয়। বাংলাদেশের আদিবাসীরা বরঞ্চ বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করে। বাংলাদেশের মান সম্মান বাইরে থেকে নিয়ে আসে। আগামী বছর আমরা আরও মন-প্রাণ খুলে বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু উদযাপন করতে পারব সেই প্রত্যাশা করছি।’

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ শিশির চাকমা বলেন, আমরা অবশ্যই পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন চাই। কিন্তু আদিবাসীরা সেই উন্নয়ন চায় না যে উন্নয়ন আমাদের ক্ষতির বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এসময় তিনি বিলাইছড়ি-জুরাছড়ি সীমান্তে পর্যটনকেন্দ্র স্থাপনের নামে দুটি পাহাড়ি গ্রাম উচ্ছেদ প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি জানান।

এদিন সকালে রাঙ্গামাটি পৌরসভা চত্বরে বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রাক্তন সদস্য ও শিক্ষাবিদ নিরূপা দেওয়ান। বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিষু, চাংক্রান ও বিহু উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রকৃতি রঞ্জন চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে নারী অধিকারকর্মী আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুস্মিতা চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট চঞ্চু চাকমা, এম এন লারমা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সভাপতি বিজয় কেতন চাকমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধনের পর আদিবাসী তরুণ-তরুণীদের পরিবেশনায় ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভা শেষে ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিধান করে র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করেন পাহাড়ি তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে নানা বয়সী মানুষ। রাঙ্গামাটি পৌরসভা চত্বর থেকে র‌্যালিটি শুরু হয়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে গিয়ে শেষ হয়। 

লোগাং গণহত্যা দিবস আজ: পাহাড়িদের বর্ষবরণের আনন্দ যেদিন মহাশোকে পরিণত হয়

লোগাং গণহত্যা দিবস

আজ লোগাং গণহত্যা দিবস। পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ কালো দিন। ১৯৯২ সালের ১০ এপ্রিল যখন পুরো পার্বত্য এলাকায় বিজু, বৈসু, সাংগ্রাইং, বিষু, বিহু ও সাংক্রান উৎসবে বিরাজ করছে আনন্দমুখর পরিবেশ; তখন খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার লোগাং এলাকায় সংঘটিত হয় এক নৃশংস গণহত্যা। যা স্থানীয়, জাতীয় পরিসর ছাপিয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও পরিচিতি পায় ‘লোগাং গণহত্যা’ নামে।

সেদিন (১৯৯২ সালের ১০ এপ্রিল) সকালে পার্বত্য চট্টগ্রামে নতুন বসতিস্থাপনকারী সেটেলার বাঙালীরা তাদের একজন রাখাল বালককে শান্তিবাহিনী হত্যা করেছে এমন অভিযোগ তুলে আদিবাসীদের উপর আক্রমন করে। অভিযোগ রয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর প্রত্যক্ষ সহায়তায় তারা এই হত্যাকাণ্ড চালায়।

সেটলাররা ধারালো দা, বটি, কুড়াল দিয়ে নিরীহ আদিবাসীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এ হত্যাকাণ্ডে শিশু, যুবক-যুবতী, বৃদ্ধ, নর-নারী কেউ রেহায় পায়নি। দুই শতাধিক পাহাড়ি আদিবাসী মারা যায়, অনেকেই নিখোঁজ হন। আগুনে পুড়িয়ে ছাই করে দেয়া হয় প্রায় ৭ শ’র বেশি জুম্মদের বাড়িঘর।

এ ঘটনায় পাহাড়িদের ঐতিহ্যবাহী প্রাণের বিজু, বৈসু, সাংগ্রাইং, বিষু, বিহু ও সাংক্রান উৎসবের আনন্দ মুহূর্তে মহাশোকে পরিণত হয়। ১৩ এপ্রিল যেদিন উৎসবে মেতে ওঠার কথা সেদিন খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণে বিক্ষোভ হয়।

সেটেলার বাঙালিরা শান্তিবাহিনী কর্তৃক রাখাল বালককে মেরে ফেলার যে অভিযোগ তুলেছিল, তৎসময়ে প্রকাশিত বিভিন্ন রিপোর্ট বলছে, সেদিন কোন রাখাল বালকের লাশ পাওয়া যায়নি; পাওয়া যায়নি কোন খুনের আলামত।

প্রগতিশীল অনেক লেখক-সাংবাদিকের মতে, এটা ছিল আদিবাসীদের নিজভূমি থেকে বাস্তচ্যুত করার নীলনকশা। যে নীলনকশা বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে লোগাং গুচ্ছগ্রামের আদিবাসীদের উপর নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালানো হয়।

এ গণহত্যায় নিহতদের স্মরণে বিজু, বৈসু, সাংগ্রাইং, বিষু, বিহু ও সাংক্রান উদযাপন কমিটি খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে ১২ ও ১৪ এপ্রিল শোক সভা পালন করে। গোটা পার্বত্য চট্টগ্রামে বিজু, বৈসু, সাংগ্রাইং, বিষু, বিহু ও সাংক্রান উৎসব বর্জন করা হয়।

লোগাং গণহত্যার ৩২ বছর কেটে গেছে অথচ আজো পার্বত্য চট্টগামের আদিবাসী জনগণ এ গণহত্যার বিচার পায়নি। আদৌ এ গণহত্যার বিচার হবে কিনা এ নিয়ে সংশয় রয়েছে আদিবাসীদের মনে। 

থুইনুই মারমা যোগ হচ্ছেন বাফুফের চুক্তিতে

থুইনুই মারমা

গেল সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ ও সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ টুর্নামেন্টে চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্স দেখিয়ে ৬ জন নারী ফুটবলার জায়গা করে নিচ্ছেন বাফুফের বেতনের আওতায়। বয়সভিত্তিক সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ মাতিয়ে যারা বাফুফের বেতনের তালিকায় জায়গা করে নিচ্ছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন থুইনুই মারমা।

বাকি পাঁচজন হলেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের মোসাম্মাৎ সাগরিকা, মুনকি আক্তার এবং অনূর্ধ্ব-১৬ দলের ইয়ারজান বেগম, অপির্তা বিশ্বাস, সুরভী আকন্দ প্রীতি।

পার্বত্য জেলা রাঙামাটির মেয়ে থুইনুই মারমা। লাল-সবুজের জার্সি গায়ে জড়িয়ে উঁচিয়ে ধরেছেন সদ্য অনুষ্ঠিত হওয়া সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা। ভুটান ও ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে টাইব্রেকারে জালে বল পাঠিয়েছিলেন এ কিশোরী।

ঈদের ছুটি কাটিয়ে মেয়েরা ক্যাম্পে ফেরার পর নতুন ৬ জনের সঙ্গে চুক্তি করবে বাফুফে। আর পুরনো যারা থাকবেন তাদের চুক্তি স্বয়ংক্রিয়ভাবেই নবায়ন হয়ে যাবে। তবে শুধু ক্যাটাগরি পরিবর্তন হবে কারো কারো।

জানা গেছে, নতুন চুক্তিতে মোট ৩৫ জন ফুটবলার যুক্ত হচ্ছেন। খেলোয়াড় বাড়লেও টাকার পরিমাণ থাকবে আগের মতোই। তবে ক্যাটাগরি বাড়বে। আগে তিন ক্যাটাগরিতে ৩০ জন ফুটবলার বেতন পেয়েছেন। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ বেতন ছিল ৫০ হাজার এবং ‘সি’ ক্যাটাগরিতে সর্বনিম্ন বেতন ১৫ হাজার টাকা। ‘বি’ ক্যাটাগরির বেতন ৩০ হাজার টাকা।

নতুন চুক্তিতে ক্যাটাগরি বাড়তে পারে জানিয়ে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার বলেন, ‘আগে মোট যে টাকা দেওয়া হয়েছিল, এবারের পরিমাণ সে রকমই থাকছে। ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা বেতন পাবেন মেয়েরা। ১০ এবং ২০ বা ২২ হাজার টাকার আরো দুটি ক্যাটাগরিও থাকতে পারে।’

এ ক্যাটাগরি অর্থাৎ ৫০ হাজার টাকা করে বেতন পাচ্ছেন সাবিনা খাতুন, রুপনা চাকমা, মাসুরা পারভীন, শামসুন্নাহার, শিউলি আজিম, নিলুফার ইয়াসমিন, আনাই মোগিনি, মারিয়া মান্দা, মনিকা চাকমা, শামসুন্নাহার জুনিয়র, ঋতুপর্ণা চাকমা, সানজিদা আক্তার, মার্জিয়া, কৃঞ্চারানী সরকার, তহুরা খাতুন।

বি ক্যাটাগরি অর্থাৎ ৩০ হাজার টাকা করে পাচ্ছেন সোহাগি কিসকু, স্বপ্না রানী, আফঈদা খন্দকার, শাহেদা আক্তার, স্বর্না রানী মন্ডল, আকলিমা খাতুন, সুরমা জান্নাত, সাথী বিশ্বাস, সাতসুশিমা সুমাইয়া, হালিমা আক্তার, কোহাতি কিসকু, নাসরিন আক্তার, ইতি খাতুন এবং ১৫ হাজার টাকা করে মিস রুপা ও আইরিন খাতুন।

তবে সামনের চুক্তিতে পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে কারো কারো ক্যাটাগরি পরিবর্তন হবে। কেউ নিচের ক্যাটাগরিতে চলে যাবেন, কেউ ওপরে উঠবেন। 

© all rights reserved - Janajatir Kantho