ময়মনসিংহে একটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলার ইচ্ছা আছে: অরণ্য চিরান

স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত অরণ্য চিরান

এ বছর বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পদক’ পেয়েছেন গারো জাতিসত্তার বিশিষ্ট লেখক, কবি ও সমাজসেবক অরণ্য চিরান। গত ২৫ মার্চ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে তিনি এ পুরস্কার গ্রহণ করেন।

পুরস্কার গ্রহণের পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে তাকে দেওয়া হচ্ছে সংবর্ধনা। আদিবাসী লেখক ও সমাজসেবক অরণ্য চিরান ৪৪ বছর বয়সেই সমাজসেবায় রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ এই পদক পেয়েছেন।

পদক পাওয়া নিয়ে দেশের প্রথমসারির একটি গণমাধ্যমকে অরণ্য চিরান বলেন, ‘কাজের স্বীকৃতি হিসেবে রাষ্ট্র আমাকে স্বাধীনতা পদক দেওয়ায় আমি খুবই খুশি। ত্রিশ বছর ধরে আমি আদিবাসীদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে আসছি। মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। তাদের নানা সমস্যায় পাশে থেকেছি। তবে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পদক পাবো, এটা ভাবনাতেই ছিল না।’

সমাজসেবায় স্বাধীনতা পদক পাওয়া অরণ্য চিরান ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে বলেন, ‘পথশিশুদের নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা আছে। তাদের জন্য আবাসনসহ স্বাস্থ্য ও শিক্ষা উন্নয়নে কাজ করতে চাই। এছাড়া যারা সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়ার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহে আসেন তাদের জন্য একটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলার ইচ্ছা আছে। এই আশ্রয়কেন্দ্রে থেকে অসহায় মানুষ ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কিংবা প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিয়ে আবার বাড়িতে ফিরে যাবে।’

অরণ্য চিরানের স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্তিতে ধোবাউড়ার নয়াপাড়া গ্রামের কবি সাহিত্যিক মতেন্দ্র মানখিন বলেন, ‘অরণ্য চিরান একজন ভালো মনের মানুষ। তিনি আমার অসুস্থতার সময় পাশে থেকে সেবা করেছেন। এছাড়া দিঘলবাগ গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ফ্লুরেন রিছিল, রাজ্জাক চিরান, এটিশন মানকিন প্রমুখকে সরকারিভাবে চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবেও সহযোগিতা করেছেন। আদিবাসীদের দাবি আদায়ে তিনি সব সময় আন্দোলনে সোচ্চার ছিলেন।’

জানা গেছে, গ্রামের বাড়ি ধোবাউড়ার দিঘলবাঘে হলেও অরণ্য চিরান ছোটবেলা থেকেই ময়মনসিংহ শহরে থাকেন। এলাকা থেকে শহরে গেলেও নানা সমস্যায় মানুষকে সেবা দিয়ে থাকেন। আদিবাসী শিক্ষার্থীদের সনদপত্র দ্রুত সময়ের মধ্যে পাইয়ে দিতে কাজ করেন।

তবে তার পদক পাওয়ার বিষয়টি অনেকেই মানতে পারেননি বলে নানা বিতর্কের সৃষ্টি হয়। কিন্তু অরণ্য চিরানের স্বাধীনতা পদক পাওয়ায় আদিবাসীদের সম্মান বৃদ্ধি পেয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে।

প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু: মিডিয়ার পক্ষপাতমূলক আচরণের নিন্দা ও তদন্ত দাবি

প্রীতি ওরাং

ঢাকার মোহাম্মদপুরে আদিবাসী কিশোরী প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় মিডিয়ার পক্ষপাতমূলক আচরণের নিন্দা ও ঘটনার দ্রুত তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো ১১৭ বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এএলআরডি) নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদার সই করা ওই যৌথ বিবৃবিতে বলা হয়, প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ডের নামান্তর বলে আমরা মনে করি। কোনো প্রভাবশালী মহলের চাপে তদন্তকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা হলে আমরা তা মেনে নেব না।

এ ঘটনায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা এবং কয়েকটি গণমাধ্যমের পক্ষপাতমূলক আচরণের বিষয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় বিশিষ্ট নাগরিকেরা। সেই সঙ্গে ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিক গুরুতর অপরাধ বিশেষত কন্যা শিশুকে কাজে নিয়োগ করা এবং নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত তাদের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।

বিবৃতি বলা হয়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মোহম্মদপুরে ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় ১৩ বছর বয়সী শিশু প্রীতি উরাং কর্মরত ছিল। অভিযোগ রয়েছে আশফাকুল হকের স্ত্রী তানিয়া হক প্রায়ই তার বাসায় কর্মরত গৃহকর্মীদের মারধর করতেন। সর্বশেষ প্রীতিকে আট তলা থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে।

প্রীতির বাবা অভিযোগ করেছেন, ওই গৃহে কাজ করার সময় সৈয়দ আশফাকুল হকের পরিবার প্রীতিকে মা-বাবার সঙ্গে কথা বলতে দিত না। শিশুটি পড়ে যাবার আগে প্রায় ১৩ মিনিট ঝুলে ছিল এবং বাঁচার আকুতি জানিয়েছিল। কিন্তু আশফাকুল হকের বাসা থেকে কেউ তাকে সাহায্য করেনি। আশ-পাশের মানুষজন সাহায্যের জন্য এগিয়ে যেতে চাইলেও ওই বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীরা তাদেরকে ভেতরে ঢুকতে দেয়নি। ‍

শিশুটি পড়ে যাওয়ার পরে ওই বাড়ির কেয়ারকেটার তাকে হাসপাতালে ফেলে চলে আসে। পরে সে মারা যায়। লক্ষ্যণীয় হলো, প্রীতির প্রাক-স্কুলের নথি এবং ওই ফ্ল্যাটের ওই সময়ের সিসি টিভি ফুটেজ দুটোই গায়েব হয়ে গেছে। এটাও লক্ষ্যণীয়, এজাহারে প্রীতির বয়স ১৩ বছরের বদলে ১৫ বছর বলে উল্লেখ করা হয়েছে এবং সেই সঙ্গে একে অবহেলাজনিত মৃত্যু বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রীতির মৃত্যুর ১০ দিন পর ডেইলি স্টারের সম্পাদক এক বিবৃতিতে বলেন, প্রীতির ঘটনায় তারা দুঃখ প্রকাশ করছে এবং ডেইলি স্টার সবসময় শিশু অধিকার সমুন্নত রাখার নীতিতে অটল আছে।

বিবৃতিতে বিশিষ্টজনেরা সরকার ও সংশ্লিষ্টদের কাছে আটটি দাবি তুলে ধরেন। এগুলো হলো- ক) প্রীতি উরাংসহ পূর্বের সব ঘটনার পুনঃতদন্ত করে দ্রুত দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। 

খ) প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যুকে অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড বিবেচনা না করে এ মামলা অবিলম্বে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।

গ) প্রীতির পরিবারকে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে। সেই সাথে তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। 

ঘ) মৃতবৎ অবস্থায় যে শিশুটি বেঁচে আছে তার যথোপযুক্ত চিকিৎসা ও শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। 

ঙ) শিশুটির শরীরের বিশেষ ক্ষতটি পরীক্ষা করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করতে হবে।

চ) সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় ৩ জন শিশু গৃহসহকারী ছিল। তারা ৭, ৮ এবং ১১ বছর বয়সে কাজে যোগ দেয়। বাংলাদেশের শ্রম আইন অনুযায়ী ১৪ বছর পূর্ণ হয়নি এমন ব্যক্তি শিশু। শ্রম আইনের ৩৪ ধারা অনুয়ায়ী, কোন শিশুকে কোন পেশায় বা প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ করা যাবে না। আশফাকুল হক কিংবা তার পরিবারের কোন সদস্য শিশু যৌন নিপীড়ক কিনা সে বিষয়ে তদন্তের দাবি জানাচ্ছি আমরা।

ছ) যে দারোয়ানরা প্রীতিকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করতে দেয়নি, তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। 

জ) ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অপরাধ বিশেষত কন্যা শিশুকে কাজে নিয়োগ করা এবং নির্যাতন করার অভিযোগে তাকে অবিলম্বে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

মানবাধিকার কর্মী ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল, ‘নিজেরা করি’র সমন্বয়কারী খুশী কবির, মানবাধিকার কর্মী ড. হামিদা হোসাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধাপক ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না রয়েছেন বিবৃতিদাতাদের মধ্যে।

আরো রয়েছেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধাপক মানস চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জোবাইদা নাসরীন কণা, সামিনা লুৎফা নিত্রা, গীতি আরা নাসরিন, দিপ্তী দত্ত, খায়রুল ইসলাম চৌধুরী, লেখক ও গবেষক প্রিসিলা রাজ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফারহা তানজীম তিতিল, লেখক রেহনুমা আহমেদ, সাংবাদিক সাঈদিয়া গুলরুখ, নাগরিক উদ্যোগের নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন।

এছাড়াও জনউদ্যোগের আহ্বায়ক ডা. মুশতাক হোসেন, সংগীত শিল্পী ফারাজানা ওয়াহিদ সায়ান, রাঙামাটির চাকমা রানী য়েন য়েন, আদিবাসী যুব পরিষদের সভাপতি হরেন্দ্রনাথ সিং, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের কেন্দ্রীয় সদস্য দীপায়ন খীসা, বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্কের সমন্বয়ক ফাল্গুনী ত্রিপুরা, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি বিচিত্রা তির্কী, শিল্পী মুনেম ওয়াসিফ, লেখক ও অনুবাদক ওমর তারেক চৌধুরী, বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অলিক মৃ প্রমুখ। 

দুর্গাপুরে আদিবাসী শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টা, যুবক গ্রেপ্তার


আদিবাসী শিক্ষার্থী ধর্ষণ

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সপ্তম শ্রেণী পড়ুয়া এক আদিবাসী শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের নলুয়াপাড়া গ্রামের চায়না মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরে বুধবার সকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।

আসামি ৩৫ বছর বয়সী মো. ইব্রাহিম ওই গ্রামের আব্দুল আলীর ছেলে।

পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার বিকেলে ওই ছাত্রীকে (১৪) বাড়িতে একা পেয়ে প্রতিবেশী ইব্রাহিম তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় চিৎকার শুনে তার মা খেত থেকে দৌড়ে বাড়িতে আসলে ইব্রাহিম ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই ভুক্তভোগীর বাবা দুর্গাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

স্কুল ছাত্রীর বাবা জানান, প্রতিবেশী হওয়ার সুবাদে তাদের বাড়িতে আসা যাওয়া ছিল ইব্রাহিমের। তবে ঘটনার দিন তার স্ত্রী বাড়ির পাশের খেত থেকে ছাগল আনার জন্য যান। সেসময় বাড়িতে মেয়ে একা ছিল। এ সুযোগে বাড়িতে ঢুকে তার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ইব্রাহিম। ‍

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুর্গাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল আলম জানান, ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা রেকর্ডভুক্ত করা হয়। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার রাতে আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার সকালে তাকে আদালতে সোর্পদ করা হয়। 

সাজেকে পাহাড় কেটে সুইমিংপুল নির্মাণ বন্ধে হাইকোর্টে রিট

সাজেকে পাহাড় কেটে সুইমিংপুল

পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির মেঘের রাজ্য সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে পাহাড় কেটে সুইমিংপুল নির্মাণ বন্ধে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদন করেন মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিচ ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)।

রিটে পরিবেশ ও বন ও মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ (ডিজি) সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। রিটে পাহাড় কেটে করা সুইমিংপুল তৈরি বন্ধ এবং জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার আবেদন জানানো হয়।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন এইচআরপিবি-এর চেয়ারম্যান ও সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট মনজিল মোরসেদ। এ বিষয়ে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।  

বাঘাইছড়ি উপজেলার রুইলুই, হামারি এবং কংলাক এই তিনটি পাড়া নিয়ে সাজেক পর্যটনকেন্দ্র। নয়নাভিরাম প্রকৃতির সবুজে ঘেরা ছোট-বড় অসংখ্য পাহাড় ও মেঘের অপূর্ব মিলনের জন্যই সাজেককে বলা হয়ে থাকে মেঘের রাজ্য।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ১ হাজার ৮০০ ফুট উপরে পাহাড় কেটে ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে মেঘপল্লী রিসোর্ট নির্মাণ করছে সুইমিংপুল। প্রকাশ্যে অনিয়ন্ত্রিতভাবে কাটা হচ্ছে পাহাড়। এতে সাজেকের প্রাকৃতিক ভারসাম্য যেমন নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে পাহাড় ধসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ার আশঙ্কা করছেন পরিবেশবিদরা।

পাহাড় কেটে সুইমিংপুল নির্মাণের বিষয়ে মেঘপল্লী রিসোর্টের মালিক মাজহারুল জিয়নকে প্রথমসারির কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা জিজ্ঞেস করলে তিনি বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি। 

সরকারি বাঙলা কলেজে ‘আদিবাসী ছাত্র কল্যাণ সংগঠন’র আত্মপ্রকাশ

সরকারি বাঙলা কলেজে ‘আদিবাসী ছাত্র কল্যাণ সংগঠন’র আত্মপ্রকাশ
মিরপুরের সরকারি বাঙলা কলেজে ‘আদিবাসী ছাত্র কল্যাণ সংগঠন’ নামের একটি নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। আজ সোমবার পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি, শিক্ষা ও নিজস্ব সংস্কৃতি বিকাশের শপথ নিয়ে সংগঠনটি যাত্রা শুরু করে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির কয়েকজন সিনিয়র আদিবাসী শিক্ষার্থীর তত্ত্বাবধানে সংগঠনটির ২৮ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

এতে ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তেনজিং দিব্রা সভাপতি ও ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সুমেধ চাকমা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

এছাড়াও সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে চন্দ্রভেদ চাকমা, সহ-সভাপতি ভুবন বিজয় ত্রিপুরা, সহ-সভাপতি রিপন চাকমা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মংশেচিং মারমা, দপ্তর সম্পাদক উষাল ত্রিপুরা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে ভরণ চাকমা নির্বাচিত হন।

গঠিত কমিটির মেয়াদ এক বছর। 

মান্দি মিউজিক ফেস্টিভ্যালে গাইবে ‘নকফান্থে’

১৫ দিন ধরে নিখোঁজ আদিবাসী নারী, সন্ধান চেয়ে মানববন্ধন

আদিবাসী নারী

নিখোঁজ আদিবাসী নারীর সন্ধান চেয়ে রাজশাহীতে মানববন্ধন হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে মহানগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে ‘সচেতন রাজশাহীবাসী’র ব্যানারে এই মানববন্ধন করা হয়।

জানা গেছে, সাগরী নামের এক আদিবাসী নারী ১৫ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। তাঁর বাড়ি মহানগরীর শাহ মখদুম থানার পবা নতুনপাড়ায়।

মানববন্ধনে আদিবাসী নেতারা জানান, ‘সাগরী নিখোঁজের ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ তাঁর কোনো সন্ধান করতে পারেনি। পুলিশ বলছে তাঁর কাছে ফোন না থাকায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এটা প্রশাসনের কেমন অজুহাত, আমাদের তা বুঝে আসে না। আমরা এত কিছু বুঝি না। আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে আমরা তাঁর সন্ধান চাই।’

নিখোঁজ সাগরীর বাবা শম্ভূ সিং বলেন, তাঁর মেয়ে জীবিকার তাগিদে দুই বাড়িতে কাজ করতেন। ১৩ তারিখে এক বাড়িতে কাজে গিয়ে আর ফিরে আসেননি। খোঁজ করতে গেলে ওই বাড়ির মালিক জানান, কাজ শেষে মেয়ে বাড়ি ফেরার কথা বলে চলে গেছেন। কিন্তু সেদিন থেকেই তাঁর মেয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেননি।

সাগরীর মা নিরদা রানী বলেন, তাঁরা এই ঘটনায় শাহ মখদুম থানায় নিখোঁজের এক দিন পর ১৪ মার্চ সন্ধ্যায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। কিন্তু ১৫ দিন পার হলেও তাঁর খোঁজখবর দেয়নি পুলিশ।

মানববন্ধনে জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গণেশ মার্ডি, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের রাজশাহী শাখার সভাপতি বিমল চন্দ্র রাজোয়াড়, উদীচী রাজশাহীর সাধারণ সম্পাদক ব্রজেন্দ্রনাথ প্রামাণিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

© all rights reserved - Janajatir Kantho