শাড়ীর বদলে দেবী দুর্গাকে পরানো
হয়েছে রিনাই-রিসা ও গহনা। এটি ত্রিপুরা আদিবাসীদের নিজস্ব পোশাক। নিজেদের ঐতিহ্যবাহী
পোশাক-অলংকারে দেবীকে সাজিয়ে আরাধনা করার এই চিত্র খাগড়াছড়ির খাগড়াপুর এলাকার পূজা মণ্ডপের। পেছনে পাহাড়, সূর্য, আকাশ আর মেঘের আদলে তৈরি করা মণ্ডপ আকর্ষণ ছড়াচ্ছে
দর্শকদের মাঝে।
দেবীর ডান পাশে লক্ষ্মী ও কার্তিক, বামে সরস্বতী ও গণেশ। তাদের পরনেও ঐতিহ্যবাহী পোশাক আর অলংকার। দেখেই মনে হবে যেন স্বয়ং দেবী দুর্গা এসে বসে আছেন সন্তানদের নিয়ে। প্রতিমার সঙ্গে মিলিয়ে মঞ্চসজ্জা আর মণ্ডপে প্রবেশ পর্যন্ত সবকিছুই পাহাড়ে ত্রিপুরাদের সংস্কৃতির আদলে সাজিয়েছেন শিল্পীরা।
দেবীকে সাজানো হয়েছে ত্রিপুরা
জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী পোশাক রিনাই–রিসা, গলায় মালা হিসেবে পরানো হয়েছে রুপার চন্দ্রাহার
আর পুইসা মালা (যা পয়সা দিয়ে তৈরি বিশেষ মালা), খোঁপায় পরানো হয়েছে সুরাম, কালসি, কানে
পড়ানো হয়েছে ‘য়াংকুং’, হাতে বাংগ্রী এবং পায়ে পরানো
হয়েছে ‘বেংকি’।
দেবী দুর্গা ছাড়াও একই সাজে
সাজানো হয়েছে লক্ষী, সরস্বতীকেও।
স্থানীয়রা জানান, এখানে প্রায়
প্রতিবছরই দেবী দুর্গা মাকে ত্রিপুরাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক রিনাই-রিসা আর চন্দ্রাহার
সহ বিবিধ অলংকারের সাজে সাজানোর চেষ্টা করা হয়। মঞ্চ সাজসজ্জাও করা হয় প্রকৃতির আদলে।
এবারের পূজাতেও তেমনিই করা হয়েছে।
খাগড়াপুর সার্বজনীন শ্রী শ্রী
দুর্গা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক চামেলী ত্রিপুরা জানান, মায়ের রূপকে এবার আমাদের
ত্রিপুরা রমনীদের সাজে রূপ দেওয়া হয়েছে। আমাদের সংস্কৃতি ঐতিহ্য দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে।
তাই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়।