আঞ্চলিক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
আঞ্চলিক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

আদিবাসী নৃত্য-গীতে রাজশাহীতে চীনা নববর্ষ উদযাপন

 


রাজশাহীতে আদিবাসী নৃত্য-গীতে চীনা নববর্ষ উদযাপিত হয়েছে।  বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে গোদাগাড়ীর কান্তপাশা গ্রামে আয়োজন করা হয়।

পরিবর্তন রাজশাহী, কোস্টাল লাইভলিহুড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (ক্লিন) এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিডব্লিউজিইডি)-এর উদ্যোগে ২০২৫ সালের চাইনিজ নববর্ষ উদযাপন করা হয়েছে।

উদ্যোগটি সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদার এবং টেকসই বাংলাদেশের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ প্রচারের লক্ষ্যে একটি বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

নবায়ন, সমৃদ্ধি এবং টেকসই উন্নয়ন -প্রতিপাদ্যে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, ঐতিহ্যবাহী উৎসব এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি সমাধান নিয়ে আলোচনা ছিল। আয়োজনে বক্তারা চীনের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিমল চন্দ্র রাজোয়াড়, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ছোটন সরদার, জেলার সাধারণ সম্পাদক সুসেন কুমার শ্যামদুয়ার, পরিবর্তন পরিচালক রাশেদ রিপন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

‘‘পার্বত্য চট্টগ্রামকে ‘যেখানে যেমন, সেখানে তেমন’ উপায়ে সাজানো হবে’’

 


পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষা ব্যবস্থায় আধুনিকায়ন পদ্ধতি প্রচলন করা হবে। কোয়ালিটি অ্যাডুকেশন পার্বত্য অঞ্চলের মানুষকে পৃথিবীর আধুনিক মানুষের সাথে চিন্তা চেতনার সাথে এগিয়ে যাবে।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত মি. পার্ক ইয়াং-সিকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে কথা বলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা।

সাক্ষাতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন সম্ভাবনার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশের পার্বত্যঞ্চলের পানি সমস্যা পরিবেশগত অন্যান্য সমস্যা নিরসনে কোরিয়ান পলিসি অনুসরণ করার কথা জানান উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।

সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, “পার্বত্য অঞ্চলের প্রকৃতি পরিবেশযেখানে যেমন, সেখানে তেমনউপায়ে সাজানো হবে।

তিনি বলেন, “প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় পাহাড়ের পরিবেশকে সুন্দরভাবে কাজে লাগানো হবে। পাহাড়ের বন-জঙ্গল, ঝিরি, ঝর্ণা, পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। সরকার এখানে পর্যটকদের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। প্রাকৃতিক পরিবেশকে রক্ষা করতে আমরা বাঁশ ঝাড়ের চাষ বাড়াতে যাচ্ছি।

উপদেষ্টা বলেন, “পরিবেশ রক্ষায় বাঁশ খুবই কার্যকরী। তিনি বলেন, কাপ্তাই লেক, নদী-নালা-ঝিরির পানি সঠিক পদ্ধতিতে ধরে রেখে পানির সমস্যার সমাধান করতে চাই। পরিবেশ সুরক্ষায় আমোদেরকে খুব বেশি সচেতন হতে হবে।

পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের জীবন জীবিকার উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকার তুলা চাষ, ইক্ষু চাষ, বাঁশ চাষ, আম, কলা, আনারস চাষ, কফি কাজু বাদাম ফলনের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।

এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) . রাশিদা ফেরদৌস এনডিসি, অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম এনডিসি, যুগ্মসচিব কংকন চাকমা উপদেষ্টার একান্ত সচিব (উপসচিব) খন্দকার মুশফিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

শেরপুরের আদিবাসীদের মধ্যে শিক্ষায় এগিয়ে হাজংরা

 


শেরপুরের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মধ্যে শিক্ষায় সবার চেয়ে এগিয়ে আছে হাজংরা জনগোষ্ঠীর পুরুষদের মধ্যে ৭৯ দশমিক শতাংশ এবং নারী ৬৮ দশমিক শতাংশ শিক্ষিত। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) কর্তৃক পরিচালিতশেরপুর জেলায় বসবাসরত আদিবাসী জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থা জরিপ ২০২৪’-এর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএস সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে জরিপ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্পটির পরিচালক ফারহানা সুলতানা।

প্রতিবেদনে বলা হয়শেরপুরে ২০ হাজার ৮৪০ আদিবাসী মানুষ বাস করে। প্রত্যেক পরিবারে দশমিক ৮৪ শতাংশ মানুষ বাস করে। এরমধ্যে ১৫ থেকে অধিক বয়সের মানুষের মধ্যে কর্মসংস্থানের হার ৫১ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং বেকারত্বের হার দশমিক ৮০ শতাংশ। অন্যদিকে জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৬৪ দশমিক শূন্য শতাংশ শিক্ষিত। এর মধ্যে পুরুষ ৬৯ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং নারী ৫৯ দশমিক শূন্য শতাংশ শিক্ষিত।

শেরপুর সদর উপজেলায় কর্মসংস্থানে যুক্ত পুরুষ ৭৬ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং নারী ১৯ দশমিক শূন্য শতাংশ। অন্যদিকে শেরপুরের আদিবাসীদের কর্মসংস্থানের হার ১৫ থেকে বেশি বয়সের মানুষের মধ্যে ৫১ দশমিক ৮৪ শতাংশ।

এর মধ্যে ঝিনাইগাতি উপজেলায় কর্মসংস্থানে যুক্ত পুরুষ ৭৩ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং নারী ৪৯ দশমিক ২১ শতাংশ। নকলা উপজেলায় কর্মসংস্থানে যুক্ত পুরুষ ৭৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং নারী ২০ দশমিক ৯২ শতাংশ। নালিতাবাড়ি উপজেলায় কর্মসংস্থানে যুক্ত পুরুষ ৬৩ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং নারী ২৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

শ্রীবরদী উপজেলায় কর্মসংস্থানে যুক্ত পুরুষ ৭৪ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং নারী ২৯ দশমিক ২১ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শেরপুর জেলায় আদিবাসীদের মধ্যে বেকার হার দশমিক ৮০ শতাংশ। এর মধ্যে ঝিনাইগাতি উপজেলায় বেকার পুরুষ দশমিক শূন্য শতাংশ এবং নারী বেকার দশমিক ৪৬ শতাংশ। নকলা উপজেলায় পুরুষ বেকার দশমিক শূন্য শতাংশ এবং নারী দশমিক শূন্য শতাংশ।

নালিতাবাড়ি উপজেলায় পুরুষ বেকার দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং নারী দশমিক ৬১ শতাংশ। শেরপুর সদর উপজেলায় বেকার পুরুষ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং নারী দশমিক ১০ শতাংশ। শ্রীবরদী উপজেলায় বেকার পুরুষ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং নারী দশমিক ৮৪ শতাংশ।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে পরিসংখ্যান তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

© all rights reserved - Janajatir Kantho