আঞ্চলিক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
আঞ্চলিক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের প্রথম নারী চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা

 

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠনের পর এবারই প্রথমবারের মতো নারী চেয়ারম্যান পেল খাগড়াছড়িবাসী। নতুন অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জিরুনা ত্রিপুরা। গত রোববার (১০ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে জেলা পরিষদের হল রুমে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

এরআগে নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত ৭ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তাসলিমা বেগম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে জিরুনা ত্রিপুরাকে চেয়ারম্যান করে ১৫ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদ গঠন করা হয়।

অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ১৪ জনকে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দীর্ঘদিন পর রাজনৈতিক নিয়োগের বাইরে এবারই প্রথমবারের মতো পুরো পরিষদে নতুন মুখ দেখা গেল।

পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা হলেন, বঙ্গমিত্র চাকমা, অনিময় চাকমা, নিটোল মনি চাকমা, কংজপ্রু মারমা, কুমার সুইচিংপ্রু সাইন, সাথোয়াই প্রু চৌধুরী, ধনেশ্বর ত্রিপুরা, শেফালিকা ত্রিপুরা, প্রশান্ত কুমার ত্রিপুরা, মো. শহিদুল ইসলাম, প্রফেসর আব্দুল লতিফ, মো. মাহবুবুল আলম, জয়া ত্রিপুরা এবং অ্যাডভোকেট মনজিলা সুলতানা।

জিরুনা ত্রিপুরা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের ১০ম অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের চেয়ারম্যান। পরিষদ গঠনের পর থেকে এ পর্যন্ত যে সকল চেয়ারম্যান দায়িত্বে ছিলেন, তাদের মধ্যে তিনিই প্রথম নারী চেয়ারম্যান।

১৯৮৯ সালে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রথম ও একমাত্র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই থেকে আজ অবধি জেলা পরিষদের কার্যক্রম অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে।

প্রজ্ঞাপন জারির পর জেলাজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসা নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা তেমন আলোচনায় না থাকলেও, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। একাদশ সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন তিনি।

জাতীয় নাগরিক কমিটি মধুপুরের সদস্য হলেন জাদিল মৃ

 

জাতীয় নাগরিক কমিটির ঢাকা রাইজিং কর্মসূচির অংশ হিসেবে টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলায় প্রতিনিধি কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছেন গারো জাতিসত্তার তরুণ লেখক জাদিল মৃ।  

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দিবাগত রাতে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য অলিক মৃ’র সুপারিশক্রমে কমিটির আহ্বায়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন এই কমিটির অনুমোদন করেন।

৫৫ সদস্য বিশিষ্ট গঠিত প্রতিনিধি কমিটিতে জাদিল মৃ ছাড়াও আরও ছয়জন আদিবাসী প্রতিনিধি রয়েছেন। তারা হলেন- শোভন মং, সঞ্জীব কুমার কোচ, সঞ্জয় বর্মণ, ইব্রীয় ম্রং, তুষার মাঝি, বিনয় নকরেক।

এই কমিটি জুলাই অভ্যুত্থান চলাকালীন টাঙ্গাইলে শহীদ হওয়া ভাই ও বোনদের আকাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ নির্মাণের লক্ষ্যে কাজ করে যাবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। 





বর্ণিল সাজে সাজছে বারোমারীর ফাতেমা রানীর তীর্থস্থান

শেরপুরের গারো পাহাড় পাদদেশে আগামী ৩১ অক্টোবর ও পহেলা নভেম্বর বারোমারী সাধু লিওর খ্রিষ্টান ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হবে ‘ফাতেমা রাণী মা মারিয়ার তীর্থোৎসব। এ উৎসব উপলক্ষে বৃহত্তর ময়মনসিংহের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে বইছে আনন্দ-উচ্ছ্বাস। শেষ মুহুর্তে চলছে তীর্থোৎসবের জোর প্রস্তুতি।

বর্ণিল সাজে সাজানো হচ্ছে তীর্থস্থান। লাখো পুণ্যার্থীর এই উৎসব ঘিরে নেওয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আয়োজকদের আশা, লাখো পুণ্যার্থীর মিলন ঘটবে এ উৎসবে।

এবারের তীর্থোৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন ঢাকা মহাধর্ম প্রদেশের সহকারী বিশপ সুব্রত গমেজ।

শুধু শেরপুর নয়, দেশ-বিদেশের প্রায় লাখো পুণ্যার্থী এই তীর্থযাত্রায় অংশ নেন। তীর্থ উৎসবে মহাখ্রিষ্টযাগ, গীতি আলেখ্য, আলোর মিছিল, নিশিজাগরণ, নিরাময় অনুষ্ঠান, পাপ স্বীকার, জীবন্ত ক্রুশের পথসহ নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়ে থাকে।

ভক্তদের আগমন বাড়ায় বর্তমানে এই তীর্থস্থানে প্রায় ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪৮ ফুট উচ্চতার ফাতেমা রানীর মা মারিয়ার মূর্তি নির্মাণ করা হয়েছে। এই স্থানটি খ্রিষ্টভক্তদের জন্য একটি পবিত্র ধর্মীয় স্থান।

তীর্থ উৎসবের সমন্বয়কারী ফাদার তরুণ বনোয়ারি বলেন, প্রতিবছরের মত এ বছরও আমরা বার্ষিক তীর্থ উৎসব আয়োজন করতে যাচ্ছি। তীর্থ উৎসব ঘিরে নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ করেছি। তারা আমাদের নিরাপত্তার জন্য সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

জানা গেছে, বারমারি সাধু লিওর ধর্মপল্লিতে ১৯৯৮ সাল থেকে ফাতেমা রানীর তীর্থ উৎসব হচ্ছে। ১৯৪২ সালে প্রায় ৪২ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ধর্মপল্লিটি। প্রতিবছরের অক্টোবরের শেষ বৃহস্পতি ও শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয় ফাতেমা রানীর তীর্থ উৎসব।

দুর্গাপুরে সোমেশ্বরীর চোরাবালিতে পড়ে গারো যুবকের মৃত্যু

 


নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সোমেশ্বরী নদীর চোরাবালির গর্তে পড়ে এক গারো যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে নিখোঁজের দুই দিন পর তার মরদেহ ভেসে উঠে।

মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফারংপাড়া বটতলা জিরো পয়েন্ট এলাকায় নিখোঁজ হন রুয়েল রিছিল (২৮)। তিনি একই ইউনিয়নের দাহাপাড়া গ্রামের আদিবাসী কৃষক অনুত সাংমার ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে তিন বন্ধুর সঙ্গে নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে চোরাবালির গর্তে পড়ে যান রুয়েল। তার চিৎকার শুনে বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করতে গেলে তারাও গর্তে পড়ে যান। এসময় পাড় থেকে দেখে নৌকা নিয়ে এসে তিনজনকে উদ্ধার করতে পারলেও রুয়েলকে উদ্ধার করতে পারেনি স্থানীয় বাসিন্দা আলামিন।

রুয়েলের বন্ধু ডারউইন মারাক জানান, ‘আমরা চার বন্ধু মিলে সোমেশ্বরী নদীতে মাছ ধরতে যাই। রুয়েল দুই তিনবার নদীতে জাল ফেলার পর হঠাৎ চিৎকার দেয়। আমরা চিৎকার শুনে দ্রুত তাকে উদ্ধার করতে গেলে আমরাও গর্তে পরে যাই। এরপর স্থানীয় এক ব্যক্তি আমাদের উদ্ধার করেন। কিন্তু তখন বন্ধু রয়েল নিখোঁজ হয়ে যায়।’

পরে স্থানীয়রা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ময়মনসিংহ থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ওইদিন সন্ধ্যা থেকে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। কিন্ত ২ দিনে তারা উদ্ধারে ব্যর্থ হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে রুয়েলের লাশ ভেসে উঠতে দেখে স্থানীয়রা উদ্ধার করে।

নিহত রুয়েল রিছিলের বাবা অনুত সাংমা বলেন, ‘ছোট একটা বাচ্চা রেখে আমার ছেলের বউ কিছুদিন আগে মারা গেল। এখন ছেলেটাও নাই। আমার আর কিছুই রইলো না।’

দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, নিহতের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

হালুয়াঘাটের অনেক মান্দি গ্রাম এখনো পানিবন্দি

 


স্টাফ রিপোর্টার: ময়মনসিংহ হালুয়াঘাটের দক্ষিণাঞ্চলের মান্দি অধ্যুষিত গ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। দর্শাপাড়, বাউশা কুমুরিয়া, কড়ইকান্দা ও আশেপাশের এলাকায় নৌকা ছাড়া যাতায়াত করা যাচ্ছে না। এখানকার অধিবাসীরা গির্জায় আশ্রয় নিয়েছেন। ত্রাণের জন্য দেখা দিয়েছে হাহাকার। এইসব এলাকায় ছাত্র সংগঠনগুলো সীমিত পরিসরে শুকনো খাবার পৌঁছে দিলেও সরকারি-বেসরকারিভাবে এখনো সহযোগিতা করা হয়নি।

এছাড়াও নলুয়া, ভালুকাপাড়া, কালিয়ানিকান্দা, সংড়ার কিছু অংশে এখনো পানি রয়েছে। নলকূপ ডুুবে আছে বন্যার পানিতে। দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির সংকট।

হালুয়াঘাটের বন্যার্ত এলাকায় গারো স্টুডেন্ট ইউনিয়নের (গাসু) উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সতীর্থ চিরান বলেন, ‘হালুয়াঘাট ধারা বাজারের দিকে যে মান্দি গ্রামগুলো আছে, সেগুলো এখনো পানির নিচে অবস্থান করছে। তারা গির্জায় আশ্রয় নিয়েছে।’

গাসুর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আরও বলেন, ‘নৌকা ছাড়া হালুয়াঘাটের দক্ষিণাঞ্চলের মান্দি গ্রামগুলোতে যাতায়াত করা যাচ্ছে না। ভেলা নিয়ে তারা ত্রাণ নিতে আসছে। শুকনো খাবারের পরিবর্তে ভারি খাবার নিয়ে গেলে ভালো হত।’

বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠনের (বাগাছাস) উদ্যোগে রুহিপাগারিয়া, তালুকপাড়া, দর্শাপাড়, সোনামুহা, চিনাবিল এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। অন্যান্য বন্যাদুর্গত এলাকাতেও কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবীরা। 

কমিউনিটি ট্রাস্ট ময়মনসিংহ ফোরামের উদ্যোগেও উপজেলার মান্দিদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। কুমুরিয়া, দর্শাপাড়া, ধোপাজুড়ি, পাগলপাড়া, ঘোষবেড়, বোয়ালমারার প্রায় ১১৪টি পরিবারের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। পরের ধাপে আরও কার্যক্রম চালাবে সংগঠনটি। 

হালুয়াঘাট উপজেলার বেশিরভাগ পরিবার কৃষির উপর প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। দর্শা নদী-খাল দখল ও ভরাট করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের কারনে পানিতে তলিয়ে গেছে কৃষকের আমন ফসলের স্বপ্ন। পানিবন্দি হয়ে আছে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ। 

উপজেলার কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী এ বছর রুপা আমন চাষাবাদ হয়েছে ২৪ হাজার ৯ শত ৫ হেক্টর, তার মধ্যে নিমজ্জিত আছে ১৩ হাজারের মতো। অসংখ্য পুকুরের মাছ ভেসে গেছে বন্যার পানিতে। 

ত্রাণের চেয়েও মাথা গোঁজার ঠাঁই নিয়ে বেশি চিন্তা

 


স্টাফ রিপোর্টার: শেরপুরের সীমান্তবর্তী আদিবাসী অঞ্চলে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি। ভাটার দিকে পানি নেমে পড়ায় ভাসছে ক্ষত চিহ্ন। এরইমধ্যে বন্যা দুর্গত এলাকায় খাবার ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করছে আদিবাসী ছাত্র সংগঠন সহ বিভিন্ন ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবীরা। চলছে বানভাসী মানুষের স্বাভাবিক জীবনে ফেরার লড়াই।  

ঝিনাইগাতীর মরিয়মনগর, দুধনই, ভাটপাড়া, বারোয়ামারী, বাঁকাকুড়া, ধানশাইল, গজারীকুড়া, সন্ধ্যাকুড়া, শালচূড়ার রাস্তাঘাটে বন্যার ক্ষতচিহ্ন স্পষ্ট। এই গ্রামগুলোর বেশিরভাগ গারো পরিবারের মাটির ঘর ভেঙে পড়েছে। বসবাসের অনুপযোগী হওয়ায় এখন অনেকেই আশেপাশের আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে থাকছেন। সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে হতভাগ্য মানুষগুলো।

বন্যার পানিতে ভাটপাড়ার ৩৭টি, গজারীকুড়ার ৬টি, দুধনইয়ের ৮টি, বারুয়ামারীর ১৯টি, শালচূড়ার ৮টি গারো পরিবারের মাটির ঘর ভেঙে পড়েছে। উপজেলার বাঁকাকুড়া, ধানশাইল, সন্ধ্যাকুড়া গ্রামেও দেখা গেছে একই চিত্র।

ভাটপাড়ার বাসিন্দা বিকান্ত তেলসী (৬৫) জানান, একপাশে বেড়া আর আরেকপাশে মাটির দেওয়ালের ঘর ছিল তাঁর। বন্যায় সেটিও ধসে পড়েছে। স্বামী-স্ত্রী দুজনে কোন রকমে টিনের চালা ঘর করে বসবাস করছেন।

একই গ্রামের বাসিন্দা শ্যামলা চাম্বুগং (৩২) জানান, তাঁর একটাই মাটির বাড়ি ছিল। সেটিও বন্যার পানিতে ভেঙে পড়েছে। এখন গরুর সাথে খাটের সমান টিনের ছাপড়ি ঘরে ঘুমান।

বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠনের (বাগাছাস) নেতা সৌহার্দ্য চিরান বলেন, ‘মরিয়মনগর ও আশেপাশের ৩০০ পরিবারের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। আদিবাসী শিক্ষার্থীদের সহায়তায় ২৮০টি পরিবারের মধ্যে প্রদান করা হয়েছে নগদ অর্থ সহায়তা। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় এগুলো খুবই সামান্য। ঘর হারিয়ে কোনমতে টিনের ছাপড়া ঘর করে তারা দিনাতিপাত করছে। খাবার নিয়ে এসব পরিবারের কাছে গেলেও লজ্জায় পড়ে যাই। অনেকেই কান্না করে দিচ্ছে।’

বাগাছাসের এ নেতা আরও বলেন, ‘বন্যার পানি কমে গেলেও আশ্রয়হীন পড়েছে একশোর বেশি পরিবার। ঘর হারিয়ে অনেক পরিবার গোয়াল ঘরে গরু-ছাগলের সাথে মানবেতর জীবনযাপন করছে। রান্না-বান্নার কোন পরিবেশ নেই। বৃষ্টি পড়লে পানি গড়িয়ে পড়ে। খাবার বিতরণ করতে গিয়ে এই দৃশ্য দেখে চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি।’

সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে আদিবাসী অধ্যুষিত এই অঞ্চলগুলোতে ত্রাণ কার্যক্রম বাড়ানো এবং বন্যা পরবর্তী সময়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন বাগাছাসের এই ছাত্রনেতা।

পাহাড়ে ‘নিরাপত্তাহীনতায়’ এবার হচ্ছে না কঠিন চীবর দানোৎসব


পার্বত্য চট্টগ্রামের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে নিরাপত্তাহীনতা ও অনিশ্চয়তার কারণ দেখিয়ে এবার চীবর দান না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্মিলিত ভিক্ষু সংঘ। রোববার দুপুরে রাঙ্গামাটি বনরূপা মৈত্রী বিহারে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পার্বত্য ভিক্ষু সংঘের সভাপতি ভদন্ত শ্রদ্ধালংকার মহাথের। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বনভান্তের শিষ্য সংঘের সহসভাপতি ভদন্ত সৌরজগৎ মহাথের, পার্বত্য ভিক্ষু পরিষদ বান্দরবানের সাধারণ সম্পাদক ভদন্ত তেজপ্রিয় মহাথের, রাজ নিকায় মার্গের সহসভাপতি ভদন্ত জ্ঞানবংশ মহাথেরসহ ১৪টি বৌদ্ধ সংগঠনের প্রধান।

সংগঠনটির সভাপতি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আমরা অনিরাপদ ও অনিশ্চয়তা অনুভব করছি। এই কারণে এ বছর রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কঠিন চীবর দান উদযাপন না করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, গত ১৮, ২০ সেপ্টেম্বর ও এক অক্টোবর খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় শতাধিক দোকানপাট ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগসহ হত্যা সংঘটিত হয়েছে। একই সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে তিন জন আদিবাসী নিহত হন। হামলায় বিভিন্ন মন্দির, বুদ্ধমূর্তি ভাঙচুর ও দানবাক্স লুট করা হয়েছে।

তার অভিযোগ, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় এমন সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এতোদিন যতো সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছে, তার কোনোটির বিচার হয়নি। নামমাত্র তদন্ত কমিটি করা হয়, যা আলোর মুখ দেখে না। প্রশাসনের প্রতি কোনো আস্থা না থাকার পাশাপাশি বৌদ্ধ সমাজ ও ভিক্ষুসংঘ উদ্বিগ্ন ও শঙ্কিত।

আশ্বিনী পূর্ণিমাকে প্রবারণা পূর্ণিমা বলা হয়ে থাকে। প্রবারণা পূর্ণিমার পর থেকে পুরো নভেম্বর মাস কঠিন চীবর দান উদযাপন করা হয়। বৌদ্ধ শাস্ত্র মতে, প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে ভগবান গৌতম বুদ্ধের জীবব্দশায় এই ধর্মীয় আচারের প্রবর্তিত হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সূতা কাটা শুরু করে কাপড় বয়ন, সেলাই ও রং করাসহ যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের দান করা হয়ে থাকে বলে একে কঠিন চীবর দান হিসেবে অভিহিত করা হয়।

ধর্মীয় মতে, এই পদ্ধতিতে চীবর দান করলে কায়িক-বাচনিক এবং মানসিক পরিশ্রম অধিকতর ফলদায়ক হয়। তাই এই নিয়ম অনুসারে মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে আদিবাসী নারীরা জুমে উৎপাদিত তুলা থেকে চরকায় সূতা কেটে বেইনের (কোমড় তাঁত) মাধ্যমে কাপড় তৈরির পর সেলাই ও রঙ করে চীবর তৈরি করেন। এই চীবর আনুষ্ঠানিকভাবে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের দান করা হয়।

কাপ্তাই হ্রদে ডুবে ২ চাকমা শিশুর মৃত্যু

 


রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার টিটিসি এলাকায় কাপ্তাই হ্রদে ডুবে দুই চাকমা শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

মৃত দুই শিশুর নাম নোবেল চাকমা (৬) ও স্টেলা চাকমা (৬)।

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে বাচ্চা দুটোকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে কাপ্তাই হ্রদের মধ্যে শিশুদের পায়ের জুতো ভাসতে দেখা যায়।

পরে স্থানীয়রা পানিতে নেমে দুই শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নেওয়ার পর জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

রাঙ্গামাটি পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কালায়ন চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, টিটিসি রোড এলাকায় কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক।

মধুপুরে আদিবাসীদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি

 


টাঙ্গাইলের মধুপুরে আদিবাসীদের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার সহ বন্দীদের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে, উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে মানববন্ধন শেষে ইউএনও জুবায়ের হোসেনের মাধ্যমে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদ, সার্বিক মানব উন্নয়ন সংগঠন, আচিক মিচিক সোসাইটি, ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন, কোচ আদিবাসী সংগঠন, বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন ও গারো স্টুডেন্ট ফেডারেশন এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

এতে জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সাবেক সভাপতি অজয় এ মৃ, জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সহ-সভাপতি থমাস চাম্বুগং, গারো স্টুডেন্ট ফেডারেশনের মধুপুর শাখার সভাপতি তুষার নেকলা, বাগাছাসের মধুপুর শাখার লুসি রিছিল, কোচ আদিবাসী সংগঠনের নেতা ভরত বর্মন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মধুপুরের জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইউজিন নকরেকসহ সার্বিক মানব উন্নয়ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলকভাবে গাছ চুরির মামলা করায় ৫ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল কোর্টে হাজিরা দিতে গেলে তাকে সহ ১২ জনকে জেল হাজতে প্রেরণ করে।

বক্তারা, এই মামলাকে মিথ্যা ও ভূমিহীন আদিবাসী জনগনের ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে দমন করার অপচেষ্টা বলে দাবি করেন।

ঠাকুরগাঁওয়ে বিএসএফের গুলিতে কিশোর জয়ন্ত সিংহের মৃত্যু

 


ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে বিএসএফ-এর গুলিতে এক বাংলাদেশি কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কিশোরের বাবাসহ দুই বাংলাদেশি। রবিবার গভীর রাতে উপজেলার ধনতলা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সীমান্তের মেইন পিলার ৩৯৩-এর পাশের ভারতীয় ডিংগাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত কিশোর জয়ন্ত কুমার সিংহ (১৫) বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ফকির ভিঠা গ্রামের শ্রী মহাদেব কুমার সিংহের ছেলে। আহত দুইজন হলেন- ফকির ভিঠা বেল পুকুর গ্রামের শ্রী মহাদেব কুমার সিংহ ও নিটালডোবা গ্রামের দরবার আলীর ছেলে বাংঠু মোহাম্মাদ।

জানা গেছে, গতকাল রাতে ধনতলা সীমান্ত এলাকার ৩৯৩ নম্বর মেইন পিলার এলাকা দিয়ে একদল লোক স্থানীয় দালালের সহযোগিতায় ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। রাত তিনটার দিকে ভারতের কাঁটাতারের বেড়া পার হওয়ার সময় বিএসএফের ডিঙ্গাপাড়া ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালান। এতে জয়ন্ত ঘটনাস্থলে মারা যায়। বিএসএফের সদস্যরা তার লাশ নিয়ে যান।

গুলিতে জয়ন্তের বাবা মহাদেব কুমার সিংহ ও দরবার আলীও আহত হন। তাঁরা দুজন বাংলাদেশ সীমান্তে চলে আসেন। পরে স্বজনেরা তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যান।

বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবীর জানান, বালিয়াডাঙ্গীর ধনতলা সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশের একদল লোক ভারতের ওপারে যাওয়ার সময় বিএসএফ সদস্যরা গুলি চালান। এতে এক কিশোর নিহত ও দুজন ব্যক্তি আহত হয়েছেন। আহত দুজন রংপুরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

নাটোরে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের বাইসাইকেল ও বৃত্তি প্রদান

 


নাটোরের লালপুরে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের মাঝে বাইসাইকেল ও উপবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে শিক্ষার্থীদের হাতে বাইসাইকেল ও নগদ অর্থ তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মেহেদী হাসান।

আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মোট ৫ জন শিক্ষার্থীকে বাইসাইকেল ও ৬০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষা বৃত্তির নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।

বৃত্তি প্রদানকালে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ওয়াজেদ আলী মৃধা, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

দিনাজপুরে সিধু-কানুর ভাস্কর্য পুনঃনির্মাণের দাবি

 


দিনাজপুরে সাঁওতাল বিদ্রোহের মহান নেতা সিধু-কানুর ভাস্কর্য পুনঃনির্মাণ ও ভাস্কর্য ভাঙচুরে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও যথাযথ শাস্তির দাবি জানিয়েছে আদিবাসীরা। বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে জেলা শহরের সরকারী কলেজ মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে তারা।

মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সামনে শেষ হয়। পরে সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সারাদেশে আদিবাসীদের ঘরবাড়িতে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, জমি দখলের প্রতিবাদে তীর-ধনুক হাতে নিয়ে রাস্তায় নামে হাজারো আদিবাসী। এসময় তারা আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি, সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় ও ভূমি কমিশন গঠন, অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারে সমতলের আদিবাসী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতকরণের দাবি জানান।

সমাবেশে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মানিক সরেন, আদিবাসী মুক্তিমোর্চার জেলা সাধারণ সম্পাদক মানিক সরকার মুর্মু, কাহারোলের সাওতাল বিদ্রোহ ও তেভাগা আন্দোলন গবেষণা কেন্দ্রের আহ্বায়ক নারায়ণ মার্ডী, অনামিকা মার্ডী ও প্রদীপ খালকো, শিক্ষার্থী বিষ্ণু সরেন, কুপুরাম হাসদা, লাপল কড়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

পাহাড়ের ৩ আদিবাসী নারী ধর্ষণ-নিপীড়নে জড়িতদের শাস্তির দাবি


বন্যা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে খাগড়াছড়ির রামগড়ে এক আদিবাসী নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, রাঙামাটিতে এক স্কুলছাত্রী এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে আরেক আদিবাসী নারীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে।

আজ সকালে রাঙামাটি জেলা শহরের কুমার সুমিত রায় জিমনেশিয়াম প্রাঙ্গণ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শিক্ষার্থীরা সমাবেশ করে। সংঘাত ও বৈষম্যবিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এ সমাবেশ হয়।

সমাবেশে চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্রী নিলা চাকমার সভাপতিত্বে ও বিকাশ চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিপুল চাকমা, রাঙামাটি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী উক্রাচিং মারমা, সুষ্টন চাকমা, শিক্ষার্থী কিকো দেওয়ান ও সংস্কৃতিকর্মী বিজ্ঞান্তর চাকমা।

সমাবেশে বক্তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে সেটেলার কর্তৃক পাহাড়ি আদিবাসী নারী ধর্ষণ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান।

এছাড়াও ৮ দফা দাবি জানানো হয়। শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে সরকারি চাকরিতে ৫ শতাংশ আদিবাসী কোটা পুনর্বহাল, পাহাড়ে ভূমি সমস্যা নিরসন, সবার গ্রহণযোগ্য নিষ্ঠাবান শিক্ষিত ব্যক্তিদের মাধ্যমে শক্তিশালী তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠন, আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি, পার্বত্য চট্টগ্রামকে পানিশমেন্ট জোন হিসেবে ব্যবহার না করা, সৎ ও যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া।

শেরপুরে আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা প্রদান

 


শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর একজন মুক্তিযোদ্ধাকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে ঝিনাইগাতী উপজেলার রাংটিয়া আদর্শ গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

সম্মাননা প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা জ্যোতিষ চন্দ্র বর্মন শ্রীবরদী উপজেলার রাণীশিমুল এলাকার বাসিন্দা। এসময় এসএসসিতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ঝিনাইগাতীর নওকুচি গ্রামের সৌহার্দ্য রায় তারক নামের আরেক আদিবাসী শিক্ষার্থীকেও সংবর্ধণা প্রদান করা হয়।

ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিজেনাস ডে উদযাপন উপলক্ষে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম জনউদ্যোগ শেরপুর, কোচ আদিবাসী ইউনিয়ন, এসআইএল-বাংলাদেশ, আইইডি, হাজং সমাজ কল্যাণ সংগঠন যৌথভাবে এ সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষার্থীর হাতে ফুলেল শুভেচ্ছা, ক্রেস্ট এবং বিভিন্ন উপহার সামগ্রী তুলে দেন। পরে কোচ, বর্মন ও গারো জাতিগোষ্ঠির সাংস্কৃতিক প্রদর্শনী এবং আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

খাগড়াছড়িতে বন্যার পানিতে ডুবে আদিবাসী কিশোরীর মৃত্যু

 

পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে বন্যার পানিতে ডুবে রুষা চাকমা নামের এক আদিবাসী কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের জয়ন্ত কারবারি পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে মৃত রুষা চাকমার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়েছে।

মৃত রুষা চাকমা ওই এলাকার পল্টু চাকমার মেয়ে। সে চঙ্গাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বিকেলে বাড়ির পাশে বন্যার পানিতে তলিয়ে যায় রুষা চাকমা। এলাকার লোকজন পানিতে খোঁজাখুঁজি করে সন্ধ্যার দিকে মৃত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করেন।

 

তিন পার্বত্য জেলায় ৩ আদিবাসী নারী নিপীড়নের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

 


চলমান বন্যাকালীন সময়ে তিন পার্বত্য জেলায় তিনজন আদিবাসী নারী নিপীড়নের ঘটনায় বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ১০টায় রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন যৌথভাবে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।

এতে খাগড়াছড়ির রামগড়ে এক আদিবাসী গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণকারী মোহাম্মদ ইউসুফ, রানা ও মোশারফ গং, রাঙামাটির বনরূপায় আদিবাসী শিশু ধর্ষণ চেষ্টাকারী মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ওরফে রাইছ মিয়া এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে আরেক আদিবাসী নারীকে ধর্ষণ চেষ্টাকারী মোহাম্মদ ফারুককে অতিদ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।

বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ সঞ্চালনা করেন পিসিপি, জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন চাকমা ও সভাপতিত্ব করেন হিল উইমেন্স ফেডারেশন, রাঙামাটি জেলা কমিটির অর্থ সম্পাদক হিরা চাকমা।

সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতি রাঙামাটি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুমিত্র চাকমা বলেন, ‘দেশের বর্তমান যে বন্যা পরিস্থিতিতে মানুষ সর্বহারা উদ্বাস্তু, সেই জায়গায় পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় তিনটি ধর্ষণের ঘটনা সত্যিই নিন্দনীয়। সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের পর বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদেরও প্রত্যাশা বৈষম্যহীন সুষ্ঠু রাষ্ট্রের।’

যুব নেতা সুমিত্র চাকমা আরও বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনার থেকে প্রশ্ন জাগে পার্বত্য চট্টগ্রামে কি আবারও সাম্প্রদায়িক শক্তি জেগে উঠছে কিনা? যদি জেগে উঠে তাহলে এই সাম্প্রদায়িক শক্তিকে নির্মূল করতে হবে।’

পিসিপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অন্তর চাকমা বলেন, ‘ধর্ষকদের সুষ্ঠু বিচার না হওয়ায় প্রতিনিয়ত এমন ঘটনা ঘটছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশ রাষ্ট্রেরও অংশ।’

এই ছাত্রনেতা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে পার্বত্য চট্টগ্রামে চলমান বিচারহীন সংস্কৃতি দূরীকরণে বিশেষ দৃষ্টি আরোপ করার দাবি জানান। একইসাথে এই অন্যায় ও ধর্ষকদের সুষ্ঠু বিচার করা না হলে পার্বত্য চট্টগ্রামের জাগ্রত ছাত্র সমাজ বসে থাকবে না বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক উলিচিং মারমা বলেন, ‘দেশের একদিকে মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অন্যদিকে পাহাড়ে চলছে ধর্ষণের ঘটনা। আজও আদিবাসী নারীরা নিরাপদ নয়।’

সভাপতির বক্তব্যে হিরা চাকমা তিন জেলায় তিনটি সংঘটিত ধর্ষণ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি ও পার্বত্য চুক্তি যথাযথ বাস্তবায়নের দাবি জানান।

রাঙামাটিতে আদিবাসী শিশু ধর্ষণ চেষ্টার শিকার

 


রাঙামাটির বনরূপায় সেটেলার কর্তৃক এক আদিবাসী শিশু (৭) ধর্ষণ চেষ্টার হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আজ আনুমানিক বিকেল ৪টায় ব্যস্ততম বনরূপা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, অভিযুক্ত রাইছ মিয়ার (৫৫) বাড়ি শহরের রিজার্ভ বাজার মুখ এলাকায়।

স্থানীয়রা জানান, বিকালে ভুক্তভোগী মেয়েটি মায়ের সাথে বনরূপা বাজারে আসে। তার মা বাজারে সবজি বিক্রি করছিলেন। এ সময় মেয়েটি তার বন্ধুদের সাথে খেলতে খেলতে একটা বিল্ডিংয়ের উপরে উঠে যায়। বিল্ডিংয়ে আগে থেকে অবস্থান করা রাইছ মিয়া মেয়েটিকে বিল্ডিংয়ের একটা কক্ষে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালালে ছাত্রীটির বন্ধুরা দেখতে পায়।

তারা চিৎকার করে বাজারের মানুষদের ডেকে নিয়ে আসে। উপস্থিত লোকজন রাইছ মিয়াকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। উত্তেজিত জনতা ধর্ষণের চেষ্টাকারীকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করার চেষ্টা চলছিল।

খাগড়াছড়ির রামগড়ে বন্যা পরিস্থিতিতে আদিবাসী গৃহবধূ ধর্ষণের পর এ ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় বয়ে যাচ্ছে প্রতিবাদের ঝড়। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফারহা তানজিম তিতিল সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘এই দুঃসময়ে এসব নেওয়া যায় না। বন্যায় আশ্রয়প্রার্থী নারীকে ধর্ষণ! দ্বিতীয় শ্রেণীর শিশুর বিষয়েও এই চেষ্টা করা হয়েছে। ভালো মানুষদের কথা তো শুনছি অনেক। কিন্তু এই জান্তব মানুষদের বিষয়ে কিছু করি আসুন।’

লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট ডেনিম চাকমা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ জানিয়ে লিখেছেন, ‘এই দুর্যোগের সময় সেটেলার বাঙালি দ্বারা আজকে দুইটি পাহাড়ি নারী ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। খাগড়াছড়ি আর রাঙ্গামাটিতে! ভিকটিম একজন দ্বিতীয় শ্রেণীর পড়ুয়া বাচ্চা! এই দুর্যোগের মধ্যে কেমনে সম্ভব?’

খাগড়াছড়িতে বন্যা পরিস্থিতির সুযোগে আদিবাসী গৃহবধূকে ধর্ষণ!

 


খাগড়াছড়ির রামগড়ে বন্যা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে এক আদিবাসী গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সংঘবদ্ধ একদল সেটেলারের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার আনুমানিক রাত ১১টার দিকে উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের তালতলী পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ওই আদিবাসী নারী স্থানীয় একটি গণমাধ্যমকে জানান, গতকাল তিনি তাঁর কিশোরী মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এসময় সেটেলারদের সংঘবদ্ধ একটি দল তাদের বাড়িতে আসে। পরিস্থিতি টের পেয়ে মা-মেয়ে নিজেদেরকে রক্ষায় বাড়িতে থাকা দা হাতে নেয়। এসময় সেটেলাররা তাদের কাছ থেকে দা কেড়ে নিলে তারা দৌঁড়ে পালাতে থাকে।

এক পর্যায়ে পিলাক খালের পারে গিয়ে সেটেলাররা তাদের ধরে ফেলে। বন্যার পানির কারণে তারা খাল পার হতে পারেননি। এ সময় ধস্তাধস্তি করে তার কিশোরী মেয়েটি সেখান থেকে পালিয়ে যেতে পারলেও তিনি পালাতে পারেননি। তাকে পাশের একটি কলাবাগানে নিয়ে দুইজন সেটেলার পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

ভুক্তভোগী আদিবাসী নারীর দেয়া তথ্যমতে, সেটেলাররা আনুমানিক ৮-১০ জন ছিলেন। সেখান থেকে তাকে আবারো ৬ মাইল নামক স্থানের দিকে নিয়ে যাওয়ার সময় আশেপাশের লোকজনের সাড়াশব্দ পেয়ে ধর্ষকেরা তাকে ছেড়ে পালিয়ে যান।


ভুক্তভোগী নারী জানিয়েছেন, তিনি ধর্ষণকারীদের মধ্যে একজনকে চিনতে পেরেছেন। তার নাম মো. ইউসুফ (২২)। তিনি রামগড়ের পাতাছড়া ইউনিয়নের মো ইসমাইলের ছেলে।

এদিকে, আদিবাসী গৃহবধূকে ধর্ষণের প্রতিবাদে এবং ধর্ষক মো. ইউসুফসহ জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ। আজ শুক্রবার বিকাল ৩টায় সাজেক পর্যটন সড়কের উজোবাজার এলাকায় এই বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়।

রাঙামাটিতে পানিতে ডুবে আদিবাসী শিশুর মৃত্যু

প্রতীকি ছবি


রাঙামাটির নানিয়ারচরে পানিতে ডুবে এক আদিবাসী শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার বুড়িঘাট ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুড়িঘাট এলাকার বাসিন্দা সিএনজি অটোরিকশাচালক মৃদুল কুমার চাকমার তিন বছর বয়সী ছেলে শ্রেষ্ঠ চাকমা বিকালে বন্ধুদের সঙ্গে বাড়ির পাশে খেলছিল। সে সময় শিশুদের চিৎকার শুনে পাশের লোকজন সেখানে আসেন। তখন শ্রেষ্ঠ নদীর স্রোতে ভেসে যায়।

পরে এলাকাবাসী শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নানিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. আরাফাত হোসেন জানান, শ্রেষ্ঠ চাকমা নামে তিন বছরের এক শিশুকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। তবে শিশুটি হাসপাতালে আনার আগেই পানিতে ডুবে মারা যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

গ্রাফিতি মুছে ফেলা ও বাঁধা প্রদানের প্রতিবাদে বান্দরবানে বিক্ষোভ

 


বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকায় গ্রাফিতি মুছে ফেলা, বাঁধা প্রদানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী আদিবাসী ছাত্র সমাজ। বুধবার (২১ আগস্ট) বিকেলে বান্দরবান শহরের রাজার মাঠ এলাকা থেকে বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রেসক্লাব চত্ত্বরে সমাবেশ করে তারা।

সমাবেশে জন ত্রিপুরা, জেমস বম, পার্বত্য চট্টগ্রাম গ্রিন ভয়েসের প্রধান সমন্বয়ক সাচিংনু মারমা, ঢাকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সম্পৃক্ত অং মারমা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।  

সারাদেশের ছাত্র আন্দোলনের অংশ হিসেবে তিন পার্বত্য জেলায় আদিবাসী শিক্ষার্থীরাও বিভিন্ন গ্রাফিতি এঁকে প্রতিবাদ জানান। যেখানে কল্পনা চাকমার সন্ধান সহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া সংবলিত লেখা তুলে ধরা হয়। কিন্তু এসব গ্রাফিতি আঁকায় বাঁধা প্রদান ও মুছে দেওয়ার অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভ সমাবেশে আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, ১৯৯৭ সালে সম্পাদিত পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়িত না হওয়ায় পার্বতাঞ্চলে বসবাসকারী আদিবাসীরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন এবং ১৯০০ সালে প্রণীত হিলট্র্যাক্টস রেগুলেশন বাতিলের ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবি জানানো হয়।

পাশাপাশি সংবিধানে আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতির দাবি করে স্লোগান দেন আন্দোলনকারীরা।

© all rights reserved - Janajatir Kantho