গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে তিন সাঁওতাল হত্যার ‘মূল হোতা’ সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সহ হত্যা মামলার
বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। আজ শনিবার (২৫ জানুয়ারি)
দুপুরে গাইবান্ধা নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থার সামনে আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের আয়োজনে
এ কর্মসূচি হয়।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল
শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে তির-ধনুক, বাদ্যযন্ত্রসহ বিভিন্ন দাবি সংবলিত
ফেস্টুনসহ অংশ নেন সাঁওতাল নারী-পুরুষেরা।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির
আহ্বায়ক আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম। এতে বক্তব্য দেন সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার
সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাস্কে, গাইবান্ধা পরিবেশ আন্দোলনের আহ্বায়ক ওয়াজিউর
রহমান, আইনজীবী মোহাম্মদ আলী প্রামাণিক, বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘ জেলা শাখার সাধারণ
সম্পাদক রজতকান্তি বর্মণ, গাইবান্ধার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জনউদ্যোগের সদস্যসচিব প্রবীর
চক্রবর্ত্তী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ২০১৬ সালের ৬
নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ এলাকায় আখ কাটা নিয়ে পুলিশ ও চিনিকলের কর্মচারীদের
সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়। এতে সাঁওতাল সম্প্রদায়ের শ্যামল, মঙ্গল ও রমেশ নিহত হন।
আহত হন ২০ জন। এ ঘটনার পর থোমাস হেমব্রম বাদী হয়ে তৎকালীন সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদসহ
৩৩ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। তবে মামলার বিচার হওয়া তো দূরের কথা, মামলার আসামি
সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাকিল আকন্দসহ
অন্য আসামিদের কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
বক্তারা অনতিবিলম্বে আসামিদের
গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
বক্তারা আরও বলেন, অতিসম্প্রতি
রাজাহার ইউনিয়নের রাজাবিরাট এলাকায় আদিবাসী সাঁওতাল পল্লির ব্রিটিশ সরেনের বাড়িতে ভূমিদস্যু
রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় রফিকুল চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
হলেও অন্য দুর্বৃত্তরা এখনো গ্রেপ্তার হননি। অবিলম্বে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার ও বিচার
করতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন