ফুটবলকে বিদায় জানালেন সাফজয়ী আনাই মগিনী!

 


২০২২ সালে সাফে প্রথম শিরোপা জেতার পর হুট করে ফুটবল ছেড়ে দিয়েছিলেন সিরাত জাহান, আঁখি খাতুন, আনুচিং মগিনী। এবার আরও এক ফুটবলার ঝরে পড়লেন। ফুটবলকে বিদায় জানালেন আনাই মগিনী! অনেকের ধারণা, দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়ায় অভিমানেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। জাগো নিউজ।

ছুটি শেষে ১৫ জানুয়ারি আবার শুরু হয়েছে সিনিয়র নারী ফুটবলারদের ক্যাম্প। অক্টোবরে সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে অনির্দিষ্টকালের জন্য সিনিয়র ফুটবলারদের ছুটি দিয়েছিল বাফুফে। সেই ছুটি শেষ হয়েছে ১৪ জানুয়ারি।

৩১ ফুটবলারকে ক্যাম্পে যোগ দিতে বলা হয়েছিল। রোববার দুপুর পর্যন্ত ২৮ জন যোগ দিয়েছেন। বাকি ৩ জন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, আনাই মগিনি ও শামসুন্নাহার জুনিয়র। এই তিন জনের মধ্যে সাবিনা ও শামসুন্নাহার ছুটি বাড়িয়েছেন। আর আনাই ক্যাম্পে যোগ দেবেন না বলে জানিয়েছেন। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন নারী ফুটবল দলের সহকারী কোচ মাহবুবুর রহমান লিটু।

বিষয়টি নিশ্চিত হতে ফোন করে আনাইকে পাওয়া যায়নি। বিকল্প হিসেবে তার বোন আনুচিংকে ফোন করলে তিনি জানান, ‘দিদি (আনাই) এখন বাসায় নেই। আরেক দিদির বাসায় ঘুরতে গেছে। সে কারো সাথে যোগাযোগ করছে না। তার ফোন নম্বরও বদলিয়েছে। নতুন নম্বর কাউকে দিতে বারণ আছে।

খাগড়াছড়ির সাতভাই পাড়া গ্রামের একটি পাহাড়ের পাদদেশে আনাই-আনুচিংদের ঘর। ২০০৩ সালের ১ মার্চ ওই গ্রামের রিপ্রু মঘ ও আপ্রুমা মগিনী দম্পতির ঘরে জন্ম যমজ এই দুই বোনের। বাড়ির পাশে আছে একটি রাবার বাগান। সেখানে এক টুকরো খোলা জায়গায় বল নিয়ে খেলা করতো দুই মিনিট আগে-পরে পৃথিবীতে আসা যমজ বোন আনাই আর আনুচিং।

আনুচিং মগিনি ও আনাই মগিনি দুই বোনই ছিলেন ২০২২ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের দলে। খেলার সুযোগ পাননি কেউ। ক্যাম্পে থাকলেও ২০২৪ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের দলেই নেওয়া হয়নি আনাই মগিনিকে। সাফের আগে বাংলাদেশ ভুটান সফর করেছিল নারী ফুটবল দল। সে সফরেও বিবেচনা করা হয়নি আনাইকে। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস এবং বছরের পর বছর খেলার সুযোগ না পাওয়ার অভিমান থেকেই ছোট বোনের পথ ধরে অভিমান করে ফুটবলই ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আনাই।

কোন মন্তব্য নেই

© all rights reserved - Janajatir Kantho