আদিবাসী মানে ভূখণ্ডে আদিতে
আসছে—এরকম মূর্খ ব্যাখ্যা প্রদান করা হচ্ছে। যারা এ ধরণের ভুল ব্যাখ্যা প্রদান করছে
সেই স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টিকে উন্মুক্ত বাহাসে আমন্ত্রণ জানাই। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি),
বিকেলে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা
বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস।
এনসিটিবির সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তিনজন শিক্ষার্থী, সংক্ষুদ্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা ও
সাংবাদিকদের ওপর হওয়া হামলার ঘটনার নিন্দা ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিভাগটির
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভে অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস
বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৩ জন শিক্ষার্থীসহ যাদের
ওপর হামলা করা হয়েছে, যারা এখন হাসপাতালে কাতরাচ্ছে, এই হামলার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের
ঘৃণা ও ধিক্কার জানানোর ভাষা আমাদের নাই। আমরা তাদের গ্রেপ্তার ও যৌক্তিক শাস্তির দাবি
জানাই।
তিনি আরও বলেন, আজকে পাঠ্যবই
থেকে আদিবাসীদের যে স্বীকৃতি তা ছিড়ে ফেলা হয়েছে। এমনকি তাদের সহ্য করাও হচ্ছে না।
বাংলাদেশের ৬১টি জেলায় সিভিল শাসন কিন্তু তিন পার্বত্য জেলায় নির্জলা সেনা শাসন। এটা
কোনোদিন আমরা বরদাস্ত করতে পারি না। একটা নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী যাদের নিজস্ব ভাষা,
সংস্কৃতি আছে তাদের আদিবাসী বলে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে না এই বলে যে তারা বিচ্ছিন্নতাবাদী। পাহাড়ে
তাদের জমি উৎখাত করা হচ্ছে আবার এখন সমতলেও তাদের উপর হামলে পড়া হচ্ছে। দ্রুত এই হামলাকারীদের
গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রচার
ও প্রকাশনা সেলের সদস্য মীর আরশাদুল হক বলেন, তারা রূপাইয়্যা শ্রেষ্ঠার ওপর এমনভাবে
হামলা করেছে যে তার মাথায় ১২টি সেলাই লেগেছে। এই রূপাইয়্যা অভ্যুত্থানের সময় মোহাম্মদপুর
থেকে নিয়মিত আন্দোলন করেছে। তাঁর ভাইকে স্থানীয় কাউন্সিলর তুলে নিয়ে নির্যাতন করেছে।
বিক্ষোভ সমাবেশে গণযোগাযোগ
ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক খান, সহযোগী অধ্যাপক খোরশেদ আলম,
সাইফুল আলম চৌধুরী, কাজলী শেহরীন ইসলাম, সাবরিনা সুলতানা চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক মার্জিয়া
রহমানসহ বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন