বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪ পাচ্ছেন নাট্য নির্দেশক, কবি ও লেখক শুভাশিস সিনহা। বৃহস্পতিবার বাংলা একাডেমি নির্বাহী পরিষদের অনুমোদনে মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
শুভাসিস সিনহা নাটক ও নাট্যসাহিত্যে এ পুরস্কার পাচ্ছেন। বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে বইমেলা ২০২৫-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কার প্রদান করবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪ প্রস্তাবক কমিটির প্রস্তাবনার পরিপ্রেক্ষিতে এবং বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার কমিটি ২০২৪-এর সিদ্ধান্তক্রমে বাংলা একাডেমি নির্বাহী পরিষদ ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪’ অনুমোদন করে।
মণিপুরী জাতিগোষ্ঠীর শুভাশিস সিনহা থিয়েটারের মানুষ, সাহিত্যের মানুষ। একই সঙ্গে টেলিভিশন নাট্যকার হিসেবেও পেয়েছেন খ্যাতি। তার লেখা ‘পাগলা হাওয়ার দিন ধারাবাহিক এনটিভিতে প্রচার হয়েছে।
মঞ্চনাটকের পাশাপাশি তার লেখা উল্লেখ্যযোগ্য টিভি নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘সুর-বেসুর’ ‘ক্যাথারসিস’, ‘চোর’, ‘জমিন’, ‘মানুষ ও একটি অমানবিক আখ্যান’ ‘ধোঁয়াঘর, ‘ইঞ্জিন’, ‘পাগলা হাওয়ার দিন’ ইত্যাদি।
তার লেখা উল্লেখযোগ্য মঞ্চনাটকের মধ্যে রয়েছে- ভানুবিল, ইঙাল আধার পালা, ডালিমকুমার, দেবতার গ্রাস ও লেইমা। তিনি মঞ্চে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন, ধ্বজো মেস্তরীর মরণ, রুদ্রচণ্ড, ইঙাল আধার পালা, কহে বীরাঙ্গনা, দেবতার গ্রাস, লেইমা প্রভৃতি নাটক নির্দেশনা দিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
শুভাশিস সিনহার জন্ম ১৯৭৮ সালের ২৯ জানুয়ারি মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার ঘোড়ামারা গ্রামে। পিতা- প্রয়াত লালমোহন সিংহ, মাতা ফাজাতম্বী সিনহা। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি কনিষ্ঠ।
তিনি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ থেকে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন।
মণিপুরী নাটক ও সাহিত্যে অবদানের জন্য শুভাশিস
সিনহা
ইতোমধ্যে ভারতের আসাম থেকে ‘দিলীপ সিংহ স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার’ এবং নাট্য-নির্দেশক হিসেবে বাংলাদেশের মণিপুরী তথ্য ও গবেষণা কেন্দ্র ‘পৌরি’ থেকে গীতিস্বামী এ্যাওয়ার্ড, ‘মণিপুরী যুব কল্যাণ সমিতি’, ‘মণিপুরী গবেষণা পরিষদ’, ভারতের শিলচরের এল. এল. প্রোডাকশন-এর পক্ষ থেকে সম্মাননা
স্মারক
লাভ করেছেন।
২০০৮ সালে অর্জন করেছেন ঢাকার থিয়েটার প্রবর্তিত জাকারিয়া স্মৃতি পদক। ২০১১ সালে সৃজনশীল নাট্যতরুণ হিসেবে নাট্যধারা প্রবর্তিত বহুল আলোচিত তনুশ্রী পদক লাভ করেছেন। ২০১৪ সালে লাভ করেন চলচ্চিত্রকার আব্দুল জব্বার খান স্মৃতিপদক।
এছাড়া ২০১১ সালে ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে শান্তিনিকেতনে ‘রবীন্দ্রসাহিত্যের নাট্যায়ন’ শীর্ষক ১০ দিনের কর্মশালায় অংশ নিয়েছেন। ‘হওয়া না-হওয়ার গান’ কাব্যগ্রন্থের জন্য ২০১১ সালে ‘এইচএসবিসি-কালি ও কলম সাহিত্যপুরস্কার’ অর্জন করেছেন। ‘কুলিমানুর ঘুম’ উপন্যাসের জন্য ২০১২ সালে পেয়েছেন ব্র্যাক-ব্যাংক সমকাল সাহিত্য পুরস্কার (হুমায়ূন আহমেদ পুরস্কার)।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন