খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের প্রথম নারী চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা

 

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠনের পর এবারই প্রথমবারের মতো নারী চেয়ারম্যান পেল খাগড়াছড়িবাসী। নতুন অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জিরুনা ত্রিপুরা। গত রোববার (১০ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে জেলা পরিষদের হল রুমে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

এরআগে নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত ৭ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তাসলিমা বেগম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে জিরুনা ত্রিপুরাকে চেয়ারম্যান করে ১৫ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদ গঠন করা হয়।

অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ১৪ জনকে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দীর্ঘদিন পর রাজনৈতিক নিয়োগের বাইরে এবারই প্রথমবারের মতো পুরো পরিষদে নতুন মুখ দেখা গেল।

পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা হলেন, বঙ্গমিত্র চাকমা, অনিময় চাকমা, নিটোল মনি চাকমা, কংজপ্রু মারমা, কুমার সুইচিংপ্রু সাইন, সাথোয়াই প্রু চৌধুরী, ধনেশ্বর ত্রিপুরা, শেফালিকা ত্রিপুরা, প্রশান্ত কুমার ত্রিপুরা, মো. শহিদুল ইসলাম, প্রফেসর আব্দুল লতিফ, মো. মাহবুবুল আলম, জয়া ত্রিপুরা এবং অ্যাডভোকেট মনজিলা সুলতানা।

জিরুনা ত্রিপুরা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের ১০ম অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের চেয়ারম্যান। পরিষদ গঠনের পর থেকে এ পর্যন্ত যে সকল চেয়ারম্যান দায়িত্বে ছিলেন, তাদের মধ্যে তিনিই প্রথম নারী চেয়ারম্যান।

১৯৮৯ সালে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রথম ও একমাত্র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই থেকে আজ অবধি জেলা পরিষদের কার্যক্রম অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে।

প্রজ্ঞাপন জারির পর জেলাজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসা নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা তেমন আলোচনায় না থাকলেও, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। একাদশ সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন তিনি।

জাতীয় নাগরিক কমিটি মধুপুরের সদস্য হলেন জাদিল মৃ

 

জাতীয় নাগরিক কমিটির ঢাকা রাইজিং কর্মসূচির অংশ হিসেবে টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলায় প্রতিনিধি কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছেন গারো জাতিসত্তার তরুণ লেখক জাদিল মৃ।  

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দিবাগত রাতে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য অলিক মৃ’র সুপারিশক্রমে কমিটির আহ্বায়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন এই কমিটির অনুমোদন করেন।

৫৫ সদস্য বিশিষ্ট গঠিত প্রতিনিধি কমিটিতে জাদিল মৃ ছাড়াও আরও ছয়জন আদিবাসী প্রতিনিধি রয়েছেন। তারা হলেন- শোভন মং, সঞ্জীব কুমার কোচ, সঞ্জয় বর্মণ, ইব্রীয় ম্রং, তুষার মাঝি, বিনয় নকরেক।

এই কমিটি জুলাই অভ্যুত্থান চলাকালীন টাঙ্গাইলে শহীদ হওয়া ভাই ও বোনদের আকাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ নির্মাণের লক্ষ্যে কাজ করে যাবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। 





ধর্ষণের পর আদিবাসী নারীকে পুড়িয়ে হত্যা

 

ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্যে ধর্ষণের পর এক আদিবাসী নারীকে পুড়িয়ে হত্যার খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাজ্যটির জিরিবাম জেলায় এ ঘটনা ঘটে।

জিরিবাম পুলিশের কাছে ভুক্তভোগীর স্বামী এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। নিহত নারীর স্বামী যৌন নিপীড়নের দাবি করে বলেন, একদল দুর্বৃত্ত আমাদের ঘরে এসে হামলা করে। পরে আমার স্ত্রীকে ধর্ষণের পর আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে। এতে আশপাশের ১৭টি ঘর পুড়ে যায়।

জিরিবাম জেলার পুলিশ স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, ৩১ বছর বয়সী ওই নারী স্থানীয় একটি স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। ওই নারীর এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর খবর অনুসারে, জিরিবামে এ ধর্ষণ, খুন, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট সহিংসতা গেল দুই মাসের স্থবিরতা ভেঙে দিয়েছে। গত ৭ সেপ্টেম্বর এ জেলায় বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ ধরণের ঘটনা গত বছরের জাতিগত সংঘাতের প্রথম কয়েক সপ্তাহের ভয়াবহতাকে ফিরিয়ে এনেছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামর, জোমি এবং কুকি এই তিন আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীকে সম্মিলিতভাবে ‘জো বলে চিহ্নিত করা হয়। বৃহস্পতিবারের সহিংসতার আগে জিরিবাম জেলার পুলিশ সুপার জো সমাজের প্রতিনিধি ও মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি বৈঠক করানোর লক্ষ্যে অনেকটাই এগিয়েছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে এই সংঘাতের ঘটনা সেই আলোচনাকে সম্পূর্ণ ভেস্তে দিল বলে মনে করা হচ্ছে।

স্থানীয় একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, নির্দিষ্টভাবে আলোচনা ভেস্তে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। জিরিবামে ১৯ অক্টোবরের পর প্রায় দুই সপ্তাহ কোনো সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। এ কারণে মনে হচ্ছিল, আলোচনার একটা বাতাবরণ তৈরি হচ্ছে। কিন্তু বৃহস্পতিবারের সংঘাতের পরে পরিস্থিতি আবার জটিল হয়ে উঠল।

২০২৩ সালের মে মাস থেকে ধারাবাহিক সংঘাতে মণিপুর রাজ্যে এ পর্যন্ত সরকারি হিসাবে প্রায় ২৫০ জন নিহত হয়েছেন। এখনো গৃহহীন অন্তত ৬০ হাজার মানুষ।

আমি থাকলে বাংলাদেশে ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’ ঘটত না: ট্রাম্প

 


বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। বলেছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকলে এটা কখনও ঘটত না।

আগস্টের প্রথম সপ্তাহে গণআন্দোলনে মুখে বাংলাদেশে সরকার পতনের পর থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের মধ্যে বৃহস্পতিবার মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্স-এ পোস্ট করে ট্রাম্প এই কথা বলেন।

ট্রাম্প এবারই প্রথম বাংলাদেশ ইস্যুতে কথা বললেন উল্লেখ করে ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ‘বাংলাদেশে জুলাই-আগস্ট মাসে শত শত হিন্দু নিহত হয়েছে। ওই সময়ে ছাত্রদের আন্দোলন ব্যাপক বিক্ষোভে পরিণত হয়, যার ফলে ৫ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।

যুক্তরাষ্ট্রেও ধর্মীয় বিদ্বেষ থেকে হিন্দুদের সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা আপনাদের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করব। আমার প্রশাসনের সময় আমরা ভারত ও আমার ভালো বন্ধু প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে আমাদের বৃহত্তর অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করব।

২০১৬ সালের নির্বাচনে জিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। হেরে যান পরের নির্বাচনে। যুক্তরাষ্ট্রে পরপর দুইবারের বেশি কেউ প্রেসিডেন্ট থাকতে পারেন না। গত নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় এবার ট্রাম্প আবার ভোটে দাঁড়ানোর সুযোগ পেয়েছেন। সেই হিসেবে পর পর তিনটি নির্বাচনে একই প্রার্থীকে দেখছেন দেশটির ভোটাররা।

 

© all rights reserved - Janajatir Kantho