স্টাফ
রিপোর্টার: ময়মনসিংহ হালুয়াঘাটের দক্ষিণাঞ্চলের মান্দি অধ্যুষিত গ্রামে
বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। দর্শাপাড়, বাউশা কুমুরিয়া, কড়ইকান্দা ও আশেপাশের
এলাকায় নৌকা ছাড়া যাতায়াত করা যাচ্ছে না। এখানকার অধিবাসীরা গির্জায় আশ্রয় নিয়েছেন।
ত্রাণের জন্য দেখা দিয়েছে হাহাকার। এইসব এলাকায় ছাত্র সংগঠনগুলো সীমিত পরিসরে শুকনো
খাবার পৌঁছে দিলেও সরকারি-বেসরকারিভাবে এখনো সহযোগিতা করা হয়নি।
এছাড়াও নলুয়া, ভালুকাপাড়া,
কালিয়ানিকান্দা, সংড়ার কিছু অংশে এখনো পানি রয়েছে। নলকূপ ডুুবে আছে বন্যার পানিতে।
দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির সংকট।
হালুয়াঘাটের বন্যার্ত এলাকায় গারো স্টুডেন্ট ইউনিয়নের (গাসু)
উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সতীর্থ চিরান
বলেন, ‘হালুয়াঘাট ধারা বাজারের দিকে যে মান্দি গ্রামগুলো আছে, সেগুলো এখনো পানির নিচে
অবস্থান করছে। তারা গির্জায় আশ্রয় নিয়েছে।’
গাসুর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক
আরও বলেন, ‘নৌকা ছাড়া হালুয়াঘাটের দক্ষিণাঞ্চলের মান্দি গ্রামগুলোতে যাতায়াত করা যাচ্ছে
না। ভেলা নিয়ে তারা ত্রাণ নিতে আসছে। শুকনো খাবারের পরিবর্তে ভারি খাবার নিয়ে গেলে
ভালো হত।’
বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠনের (বাগাছাস) উদ্যোগে রুহিপাগারিয়া, তালুকপাড়া, দর্শাপাড়, সোনামুহা, চিনাবিল এলাকায় বিশুদ্ধ পানি
ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। অন্যান্য বন্যাদুর্গত এলাকাতেও কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে
সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবীরা।
কমিউনিটি ট্রাস্ট ময়মনসিংহ ফোরামের উদ্যোগেও উপজেলার মান্দিদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। কুমুরিয়া, দর্শাপাড়া, ধোপাজুড়ি, পাগলপাড়া, ঘোষবেড়, বোয়ালমারার প্রায় ১১৪টি পরিবারের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। পরের ধাপে আরও কার্যক্রম চালাবে সংগঠনটি।
হালুয়াঘাট উপজেলার বেশিরভাগ পরিবার কৃষির উপর প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। দর্শা নদী-খাল দখল ও ভরাট করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের কারনে পানিতে তলিয়ে গেছে কৃষকের আমন ফসলের স্বপ্ন। পানিবন্দি হয়ে আছে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ।
উপজেলার কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী এ বছর রুপা আমন চাষাবাদ হয়েছে ২৪ হাজার ৯ শত ৫ হেক্টর, তার মধ্যে নিমজ্জিত আছে ১৩ হাজারের মতো। অসংখ্য পুকুরের মাছ ভেসে গেছে বন্যার পানিতে।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন