ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয়
মণিপুর রাজ্যে জাতীয় পতাকা নামিয়ে সাতরঙা মেইতি পতাকা টাঙিয়ে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
সোমবার স্থানীয় সময় সকালের দিকে মণিপুরের রাজভবন ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে হামলা
চালায় তারা। এ সময় ডিসি অফিসে টানানো পতাকা নামিয়ে সাতরঙা একটি পতাকা উড়ায় তারা।
ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের
উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সংস্করণ ও অনলাইন সংবাদমাধ্যম ইস্টমোজোর প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো
হয়েছে। ইন্ডিয়া টুডে বলেছে, মণিপুরের শিক্ষার্থীরা সোমবার সেখানকার প্রধান প্রধান সরকারি
ভবনে হামলা চালিয়েছে। শিক্ষার্থীদের এই বিক্ষোভ তীব্র আকার ধারণ করেছে।
সোমবার দিনের শুরুতে বিভিন্ন
স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের
দাবিতে মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলের রাস্তায় নেমে আসে। এ সময় রাজ্যের বর্তমান নিরাপত্তা
উপদেষ্টাকে অপসারণ এবং ‘ইউনিফাইড কমান্ডের’ দায়িত্ব রাজ্য সরকারের কাছে
হস্তান্তর করার দাবি জানায় তারা। পাশাপাশি তারা আধাসামরিক বাহিনী প্রত্যাহার সহ ৫০
জন বিধায়কেরও পদত্যাগ দাবি করে।
সম্প্রতি নতুন করে নিরাপত্তা
সংকট দেখা দিয়েছে মণিপুরে। রাজ্যটিতে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা সহ সহিংসতার নতুন
ঘটনায় অন্তত ৮ জন মারা গেছে এবং আহত হয়েছে আরও অন্তত ১২ জন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা
মনে করে, রাজ্যের চলমান সংকট কার্যকরভাবে মোকাবিলা করার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে নিরাপত্তা
অভিযানের দায়িত্ব দেওয়া উচিত।
মণিপুরের শিক্ষার্থীদের সরকারি
অফিসে নতুন পতাকা উত্তোলনের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, শিক্ষার্থীরা মণিপুরে ভারতের তেরঙা জাতীয় পতাকা নামিয়ে নতুন
একটি সাতরঙা পতাকা উত্তোলন করেছে বলে জানা গেছে।
থাউবালের ডেপুটি কমিশনার এ
সুভাষ সিং ইস্টমোজোকে বলেছেন, বিক্ষোভকারীরা একটি পুরোনো সালাই ট্যারেট পতাকা নামিয়ে
সেখানে নতুন পতাকা টানিয়ে দিয়েছে। আর এই ঘটনাটি ডিসি অফিসের প্রধান ভবনে ঘটেনি, বরং
মূল ফটকে ঘটেছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
কাঙ্গলিপাক বা সালাই ট্যারেট পতাকা একটি আয়তাকার
সাত রঙের পতাকা। প্রাচীনকালের মেইতি জাতিগোষ্ঠীর সাতটি বংশের প্রতিনিধিত্বের কথা তুলে
ধরতে মণিপুরে অনেকেই এই পতাকা ব্যবহার করেন।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন