রাঙামাটির বনরূপায় সেটেলার কর্তৃক এক আদিবাসী শিশু
(৭) ধর্ষণ চেষ্টার হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আজ আনুমানিক বিকেল ৪টায় ব্যস্ততম বনরূপা
বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত রাইছ মিয়ার (৫৫) বাড়ি শহরের
রিজার্ভ বাজার মুখ এলাকায়।
স্থানীয়রা জানান, বিকালে ভুক্তভোগী মেয়েটি মায়ের
সাথে বনরূপা বাজারে আসে। তার মা বাজারে সবজি বিক্রি করছিলেন। এ সময় মেয়েটি তার বন্ধুদের
সাথে খেলতে খেলতে একটা বিল্ডিংয়ের উপরে উঠে যায়। বিল্ডিংয়ে আগে থেকে অবস্থান করা
রাইছ মিয়া মেয়েটিকে বিল্ডিংয়ের একটা কক্ষে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালালে ছাত্রীটির
বন্ধুরা দেখতে পায়।
তারা চিৎকার করে বাজারের মানুষদের ডেকে নিয়ে আসে।
উপস্থিত লোকজন রাইছ মিয়াকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। উত্তেজিত জনতা ধর্ষণের চেষ্টাকারীকে
গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, মেয়েটির পরিবারের পক্ষ
থেকে থানায় মামলা দায়ের করার চেষ্টা চলছিল।
খাগড়াছড়ির রামগড়ে বন্যা পরিস্থিতিতে আদিবাসী গৃহবধূ
ধর্ষণের পর এ ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় বয়ে যাচ্ছে প্রতিবাদের ঝড়। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফারহা তানজিম তিতিল সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘এই দুঃসময়ে এসব নেওয়া যায়
না। বন্যায় আশ্রয়প্রার্থী নারীকে ধর্ষণ! দ্বিতীয় শ্রেণীর শিশুর বিষয়েও এই চেষ্টা
করা হয়েছে। ভালো মানুষদের কথা তো শুনছি অনেক। কিন্তু এই জান্তব মানুষদের বিষয়ে কিছু
করি আসুন।’
লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট ডেনিম চাকমা সোশ্যাল মিডিয়ায়
প্রতিবাদ জানিয়ে লিখেছেন, ‘এই দুর্যোগের সময় সেটেলার বাঙালি দ্বারা আজকে দুইটি পাহাড়ি
নারী ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। খাগড়াছড়ি আর রাঙ্গামাটিতে! ভিকটিম একজন দ্বিতীয় শ্রেণীর
পড়ুয়া বাচ্চা! এই দুর্যোগের মধ্যে কেমনে সম্ভব?’
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন