খাগড়াছড়িতে বন্যা পরিস্থিতির সুযোগে আদিবাসী গৃহবধূকে ধর্ষণ!

 


খাগড়াছড়ির রামগড়ে বন্যা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে এক আদিবাসী গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সংঘবদ্ধ একদল সেটেলারের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার আনুমানিক রাত ১১টার দিকে উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের তালতলী পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ওই আদিবাসী নারী স্থানীয় একটি গণমাধ্যমকে জানান, গতকাল তিনি তাঁর কিশোরী মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এসময় সেটেলারদের সংঘবদ্ধ একটি দল তাদের বাড়িতে আসে। পরিস্থিতি টের পেয়ে মা-মেয়ে নিজেদেরকে রক্ষায় বাড়িতে থাকা দা হাতে নেয়। এসময় সেটেলাররা তাদের কাছ থেকে দা কেড়ে নিলে তারা দৌঁড়ে পালাতে থাকে।

এক পর্যায়ে পিলাক খালের পারে গিয়ে সেটেলাররা তাদের ধরে ফেলে। বন্যার পানির কারণে তারা খাল পার হতে পারেননি। এ সময় ধস্তাধস্তি করে তার কিশোরী মেয়েটি সেখান থেকে পালিয়ে যেতে পারলেও তিনি পালাতে পারেননি। তাকে পাশের একটি কলাবাগানে নিয়ে দুইজন সেটেলার পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

ভুক্তভোগী আদিবাসী নারীর দেয়া তথ্যমতে, সেটেলাররা আনুমানিক ৮-১০ জন ছিলেন। সেখান থেকে তাকে আবারো ৬ মাইল নামক স্থানের দিকে নিয়ে যাওয়ার সময় আশেপাশের লোকজনের সাড়াশব্দ পেয়ে ধর্ষকেরা তাকে ছেড়ে পালিয়ে যান।


ভুক্তভোগী নারী জানিয়েছেন, তিনি ধর্ষণকারীদের মধ্যে একজনকে চিনতে পেরেছেন। তার নাম মো. ইউসুফ (২২)। তিনি রামগড়ের পাতাছড়া ইউনিয়নের মো ইসমাইলের ছেলে।

এদিকে, আদিবাসী গৃহবধূকে ধর্ষণের প্রতিবাদে এবং ধর্ষক মো. ইউসুফসহ জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ। আজ শুক্রবার বিকাল ৩টায় সাজেক পর্যটন সড়কের উজোবাজার এলাকায় এই বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়।

কোন মন্তব্য নেই

© all rights reserved - Janajatir Kantho