রাষ্ট্র যখন সংস্কার হবে তখন সংবিধান, বিচার ব্যবস্থা
সর্বত্র সেই সংস্কারের প্রতিফলন থাকতে হবে। সংবিধানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মতো শব্দ কেটে
আদিবাসী শব্দটা লিখতে হবে। বুধবার (২১ আগস্ট) মোহাম্মদপুরের ফোক সেন্টারে আয়োজিত এক
আলোচনা সভায় এ কথা বলেন লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ।
সভায় সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রসঙ্গ এনে
তিনি বলেন, এই আন্দোলন মাওলানা ভাসানীর বক্তব্যকে সামনে নিয়ে এসেছে। মনে করিয়ে দিয়েছে
রাষ্ট্রের ধর্মীয়করণ সম্ভব নয়।
এই গবেষক আরও বলেন, জনপরিসরে ছাত্র-জনতার ভেতর একটি ভুল
ধারণা রয়েছে। ‘আদিবাসী’ শব্দটির সঙ্গে ‘আদিবাসিন্দা’ শব্দটিকে গুলিয়ে ফেলা হয়েছে। বন্ধুদের সঙ্গে এই
আলোচনা করা দরকার।
‘আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস’ উপলক্ষে যৌথভাবে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, আদিবাসী যুব
পরিষদ ও জনউদ্যোগ এ সভার আয়োজন করে। বিভূতিভূষণ মাহাতোর সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন
জাতীয় আদিবাসী পরিষদ বৃহত্তর ঢাকা কমিটির সভাপতি হরেন্দ্রনাথ সিং। সভায় ধারণাপত্র পাঠ
করেন জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক নিরলা মার্ডী।
সান্তাল স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সুবোধ
এম বাস্কে বলেন, পাহাড়-সমতল-চা বাগানে বসবাসরত সব আদিবাসীকে একত্রে এগোতে হবে। সবাইকে
সোচ্চার হতে হবে। একটা আন্দোলন কখনোই বহুমাত্রিক অংশগ্রহণ ছাড়া সফল হয় না।
কাপেং ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক পল্লব চাকমা বলেন,
ভয়ের সংস্কৃতির অবসান হয়েছে। সম্প্রতি রাঙ্গামাটিতে আদিবাসীরা বড় বিক্ষোভে সামিল
হয়েছেন। পাহাড় ও আদিবাসী নিয়ে সমাজে অনেক ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। যা দুঃখজনক। পাহাড়-সমতল
আমরা যত বেশি একত্রিত হতে পারব, তত আমাদের দাবি জোরালো হবে। আমাদের দাবির কথা অন্য
কেউ বলে দিলে তা বিকৃত হবে। ‘আদিবাসী’ শব্দটা জোরেশোরে উচ্চারণ করতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন