যুক্তরাষ্ট্রের একটি বোর্ডিং স্কুলে কমপক্ষে এক হাজার
আদিবাসী শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শারীরিক, মানসিক, যৌন নির্যাতন ও অসুস্থতার কারণে এসব
শিশুর মৃত্যু হয়। মার্কিন স্বরাষ্ট্র বিভাগের কর্মকর্তাদের দ্বারা পরিচালিত এক তদন্ত
প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
গত মঙ্গলবার প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন অনুসারে,
১৮১৯ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত পরিচালিত প্রায় ৪০০টি মার্কিন বোর্ডিং স্কুলে এসব শিশুদের
মৃত্যু হয়।
মার্কিন অভ্যন্তরীণ সচিব দেব হালান্ডের নেতৃত্বে পরিচালিত
এ তদন্তে বলা হয়েছে, ১৮১৯ থেকে ১৮৬৯ সাল পর্যন্ত সমগ্র মার্কিন-মল্লুকে ৪০০টিরও বেশি
বোর্ডিং স্কুল ছিল। এর মধ্যে ৬৫টিতে ডজন ডজন আদিবাসী শিশুর সমাধি পাওয়া গেছে।
এছাড়াও সেই সব বোর্ডিং স্কুলের সীমানার মধ্যে বহু
সমাধিও ছিল যেগুলো আদিবাসী শিশুদের কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এসব বোর্ডিং স্কুল আদিবাসী শিশুদের শ্বেতাঙ্গ সমাজে
আত্তীকরণ বা মিশে যাওয়ার দীক্ষা দিতে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ
করা হয়েছে। এসব স্কুলে আদিবাসী শিশুদেরকে জোর করে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হতো।
এতে তারা নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি, জাতিসত্তা একেবাবে ভুলে যেত।
এসব স্কুলগুলোতে শিশুদের ইংরেজি নাম দেওয়া হতো। এমনকি
তাদের কৃষিকাজ, ইট তৈরি এবং রেলপথে কাজ করার মতো কায়িক শ্রম করতে বাধ্য করা হতো বলে
তদন্ত প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
ন্যাশনাল নেটিভ আমেরিকান বোর্ডিং স্কুল হিলিং কোয়ালিশন
অনুসারে, ১৯৬৯ থেকে ১৯৬০ পর্যন্ত কয়েক হাজার শিশুকে জোর করে বোর্ডিং স্কুলে রাখা হয়েছিল।
১৯২৬ সাল পর্যন্ত দেশটির আদিবাসীর প্রায় ৮৩ শতাংশ স্কুল-বয়সী শিশু স্কুলগুলোতে ভর্তি
হয়।
এদিকে, এত সংখ্যক আদিবাসী শিশুর মৃত্যুর জন্য মার্কিন
সরকারকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন