পিসিপি’র তথ্য, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অন্তর চাকমা
প্রেরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৪ মে জুরাছড়ি উপজেলা সদরস্থ যক্ষা বাজার সেনাক্যাম্পের
সেনাসদস্য কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের তিন ছাত্রনেতাকে অন্যায়ভাবে
আটক করা হয়। এ ঘটনায় পিসিপি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে আটককৃত ছাত্রনেতাদের
নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছে।
পিসিপি’র জুরাছড়ি থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক রুপম চাকমা,
সাংগঠনিক সম্পাদক সুরেন চাকমা ও তথ্য, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রনি চাকমা আসন্ন ষষ্ঠ
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সুরেশ কুমার চাকমার নির্বাচনী প্রচারণার
কার্যালয় থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় সেনা গোয়েন্দা রবিউল সুরেন চাকমার হাতে নিষিদ্ধ
ইয়াবা ট্যাবলেট ঢুকানো একটি মানিব্যাগ দেয় এবং বলে সামনে আমাদের লোক আছে তার হাতে
দিয়ে দিও।
তারপর কিছুদূর যেতে না যেতে সেনাবাহিনীর একটি দল জুরাছড়ি
সদর এলাকার ধামাইপাড়া সেতু থেকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে তাকে যক্ষা বাজার সেনাক্যাম্পে
নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর একই চেকপোস্ট থেকে নির্বাচন থেকে বাড়ি ফেরার পথে রূপম
চাকমা ও রনি চাকমাকে আটক করে সেনাক্যাম্পে নিয়ে যায়।
পিসিপি’র অভিযোগ, সেনাসদস্যরা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ছাত্রনেতাদের
ইয়াবা ট্যাবলেট ও চাঁদার রশিদ গুঁজে দিয়ে ছবি তুলে গতকাল জুরাছড়ি থানায় সোপর্দ
করেছে। জুরাছড়ি থানা তাদের তিনজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইন ও চাঁদাবাজির আইনে মামলা
দিয়েছে।
সেনাবাহিনী কর্তৃক তিন ছাত্রনেতাকে অন্যায়ভাবে আটক
ও মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে পিসিপি তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে। একইসাথে আটককৃত
তিন ছাত্রনেতার দ্রুত নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন