আজ বিকেলে ঢাকার শাহবাগের জাতীয় জাদুঘর প্রাঙ্গণে
কেএনএফ দমনের নামে সাধারণ মানুষকে হয়রানি বন্ধের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তারা
এমন কথা বলেন। আদিবাসী ছাত্র ও যুব সংগঠনসমূহের ব্যানারে এ মানববন্ধন হয়।
সভাপতির বক্তব্যে আন্তোনি রেমা বলেন, পার্বত্য
চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হলে কেএনএফ-এর মতো সশস্ত্র সংগঠনের
সৃষ্টি হতো না। শান্তিচুক্তির এতো বছরের অবহেলার কারনেই কেএনএফ-এর সৃষ্টি হয়েছে। কুচি-চিন
ন্যাশনাল ফ্রন্টের প্রধান নাথান বমকে গ্রেপ্তার করতে না পারার দায় রাষ্ট্রকে নিতে
হবে।
আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি
অলিক মৃ বলেন, দোষ করেছেন একজন আর সেই দোষ চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে গোটা জাতিগোষ্ঠীর
উপর। কেএনএফ দমনের নামে একটা জাতিকে নির্মূল করে দেয়ার ষড়যন্ত্র দেখতে পাচ্ছি
বান্দরবানে।
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি
মশিউর রহমান সংহতি জানিয়ে বলেন, ইরাকে প্রেসিডেন্ট বুশের সন্ত্রাস দমন আর বর্তমান
সরকারের সন্ত্রাস দমনের চরিত্র একই। সন্ত্রাস দমনের নামে যখন গোটা মুসলমানদের ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে পরিচিত করানো হয়, তখন বম জনগোষ্ঠীকেও সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত
করা হচ্ছে। সাধারণ বমদের গ্রেপ্তার করে কেএনএফ বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে। এটা অন্যায়।
বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের ছাত্র-যুব বিষয়ক
সম্পাদক হরেন্দ্রনাথ সিং বলেন, যারা সত্যিকারের অপরাধী তাদের খুঁজে বের করুন।
অপরাধীদের শাস্তি হোক। সবাইকে এক পাল্লায় মাপা যাবে না।
মানববন্ধনে আদিবাসী যুব ফোরাম, আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম
পরিষদ, আদিবাসী যুব পরিষদ, বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস), বাংলাদেশ মারমা
স্টুডেন্ট কাউন্সিলের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন