জাতীয় পর্যায়ে জিতে চলেছেন একের পর এক পুরষ্কার।
অতি সম্প্রতি জয় করে নিয়েছেন কুল বিএসপিএ স্পোর্টস এওয়ার্ড-২০২৩ এর বর্ষসেরা টেবিল
টেনিস খেলোয়াড়ের পদক। এছাড়াও উদীয়মান এ টেনিস তারকার অর্জনের ঝুড়িতে রয়েছে আরো অনেক
জাতীয় পুরষ্কার এবং আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশগ্রহন ও দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার অভিজ্ঞতা।
বাংলাদেশের টিটি-সম্পৃক্ত অনেকেই রামহিমকে বাংলাদেশের
মা লং বলে ডাকেন। মা লং হচ্ছেন চীনের বিখ্যাত টিটি খেলোয়াড়।
টেবিল টেনিসে রামহিমের হাতেখড়ি তৃতীয় শ্রেণীতে
পড়াকালীন সময়েই। স্কুলে শুরুর সময় প্রশিক্ষণে সহায়তা করেছেন বাংলাদেশ টেবিল টেনিসের
জাতীয় কোচ হাফিজুর রহমান ও ফেডারেশন সদস্য এনায়েত হোসেন। ২০১৬ সালে ঢাকায় আসেন উত্তর
কোরিয়ান টিটি কোচ কিম সুং হ্যান ও প্রশিক্ষণ সহযোগী কিম সুগান। তাঁদের দুজনকে বিকেএসপির
পাশাপাশি কোয়ান্টাম স্কুলেও পাঠানো হয়। বিদেশি প্রশিক্ষকের দেওয়া প্রশিক্ষণের সুফলও
মেলে দুই বছর যেতে না যেতেই। ২০১৮ সালে বিকেএসপি কাপে চ্যাম্পিয়ন হন রামহিম। তখন অনেকের
নজরে আসেন তিনি।
২০২০ সালে এসএসসি পাস করে ঢাকায় চলে আসেন রামহিম লিয়ান
বম। বাংলাদেশ পুলিশের টিটি দলে নাম লেখান। করোনা শেষে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায়
বসে প্রিমিয়ার টেবিল টেনিস লিগ। সেখানে রানার্স আপ হয় রামহিমের দল। একই বছর এপ্রিলে
বাংলাদেশ গেমস টিটিতে ছেলেদের দলগত সোনা জেতে পুলিশ। সেখানেও ভালো খেলেন রামহিম। ফেডারেশন
কাপ টিটিতেও ভালো খেলেছেন। সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালে বাংলাদেশ জাতীয় টেবিল টেনিস
দলে সুযোগ পান। আদিবাসী জনগোষ্ঠীর খেলোয়াড়দের মধ্যে তিনিই প্রথম টেবিল টেনিসে
জাতীয় দলে যুক্ত হন।
জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েই নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে
চলেছেন। ৩৯ তম জাতীয় সিনিয়র টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৩ এ পুরুষ
এককে চ্যাম্পিয়ন, বালক এককে চ্যাম্পিয়ন এবং মিক্স ডাবলস এ রানার্স আপ পুরষ্কার অর্জন
করেন। ফেডারেশন কাপ-২০২১ এ পুরুষ এককে রানার্স আপ এবং পুরুষ দলগত বিভাগে হন চ্যাম্পিয়ন।
নবম বাংলাদেশ গেমস-২০২১ এ পুরুষ দলগত বিভাগে গোল্ড মেডেল অর্জন করেন।
এতো অর্জনের পরেও এখানেই থেমে যেতে চান না এ
উদীয়মান টেনিস তারকা। আরো সামনে এগিয়ে যেতে চান। সেজন্য নিয়মিত করে যাচ্ছেন কঠোর অনুশীলন।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন