সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বিবৃতিতে ক্য শৈ হ্লা বলেন,
গত ২ এপ্রিল রুমায় কেএনএফ পবিত্র রমজান মাসে তারাবির নামাজিদের ওপর হামলা, সরকারি কর্মকর্তা
ও পথচারীদের জিম্মি, অর্থ লুটের উদ্দেশ্যে সোনালী ব্যাংকে হামলা, ব্যাংক ম্যানেজারকে
অপহরণ, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র লুট করে নেয়। ৩ এপ্রিল থানচি উপজেলায় স্থানীয়দের
জিম্মি করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ ও দুটি ব্যাংক লুট করার মতো হীন কাজ করে। তাদের বিরুদ্ধে
শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
শান্তি আলোচনা চলাকালে কেএনএফ এর এ ধরনের অবস্থানে
শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির গৃহীত উদ্যোগ ও কার্যক্রম ব্যর্থ হয়েছে কিনা? এমন প্রশ্নের
উত্তরে এ সময় সাংবাদিকদের শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির আহ্বায়ক বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি
শান্তি আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার। এর মধ্যে সাধারণ বম জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ গ্রামে ফিরতে
প্রশাসনিকভাবে সকল সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তাদের খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসার ব্যবস্থা
করা হয়েছে। তারপরেও এ ধরনের ঘটনায় আমরা বিস্মিত।
কমিটি পুনরায় এই শান্তি আলোচনা চালিয়ে যাবে কিনা
এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ঘটনার পর কেএনএফ এর লিয়াজোঁ কমিটির সব সদস্যের মোবাইল ফোন বন্ধ
পাওয়া যাচ্ছে। আমরা যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলাম, সম্ভব হয়নি।
সশস্ত্র কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সদস্যদের স্বাভাবিক
জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য গত বছরের ২৯ মে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর নেতাদের উপস্থিতিতে জেলার
অরুণ সারকী টাউন হলে মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৯ জুন
স্থানীয় নেতাদের সমন্বয়ে ১৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠন করা হয়।
এদিকে, পাহাড়ের সচেতন মহলের অনেকেই সোশ্যাল
মিডিয়ায় দাবি করেছেন, বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট, চূড়ান্তভাবে কেএনএফ-এর
সাথে সংলাপ বন্ধের ঘোষণা পাহাড়ে বিদ্যমান রাজনীতির দাবার গুটির অংশ মাত্র। যা
পার্বত্য চট্টগ্রামে চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে আরো দীর্ঘায়িত করে তুলতে সাহায্য করবে।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন