আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাঙ্গামাটি পৌরসভা চত্বরে
বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিষু, চাংক্রান, বিহু উপলক্ষ্যে আয়োজিত উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে
এসব কথা বলেন চাকমা সার্কেল চিফ রাজা দেবাশীষ রায়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চাকমা সার্কেল চিফ আরো
বলেন, ‘আমাদের যেমন বঞ্চনা রয়েছে, আবার আশার কথাও বলতে হবে। আমরা অবশ্যই যারা বঞ্চিত
তাদের পাশে দাঁড়াব, অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলব। কিন্তু আমাদের আশার বাণীও শোনাতে হবে; যাতে
পরবর্তী প্রজন্ম নিজেদের শক্তি-উদ্যম নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পারে।’
অনুষ্ঠানে সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ
খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ঊষাতন তালুকদার বলেন, ‘আমাদের জীবন আমাদের নয়ন; কারো
দ্বারা পরিচালিত হয়। পার্বত্যবাসী জুম্মরা বাংলাদেশের শত্রু নয়, বাংলাদেশের পথের কাটা
নয়। বাংলাদেশের আদিবাসীরা বরঞ্চ বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করে। বাংলাদেশের মান সম্মান
বাইরে থেকে নিয়ে আসে। আগামী বছর আমরা আরও মন-প্রাণ খুলে বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু উদযাপন
করতে পারব সেই প্রত্যাশা করছি।’
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ শিশির চাকমা বলেন, আমরা
অবশ্যই পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন চাই। কিন্তু আদিবাসীরা সেই উন্নয়ন চায় না যে
উন্নয়ন আমাদের ক্ষতির বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এসময় তিনি বিলাইছড়ি-জুরাছড়ি সীমান্তে পর্যটনকেন্দ্র
স্থাপনের নামে দুটি পাহাড়ি গ্রাম উচ্ছেদ প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি জানান।
এদিন সকালে রাঙ্গামাটি পৌরসভা চত্বরে বেলুন উড়িয়ে
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রাক্তন সদস্য ও শিক্ষাবিদ নিরূপা
দেওয়ান। বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিষু, চাংক্রান ও বিহু উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রকৃতি
রঞ্জন চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে নারী অধিকারকর্মী আইনজীবী অ্যাডভোকেট
সুস্মিতা চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট চঞ্চু চাকমা,
এম এন লারমা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সভাপতি বিজয় কেতন চাকমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধনের পর আদিবাসী
তরুণ-তরুণীদের পরিবেশনায় ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভা শেষে ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিধান
করে র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন পাহাড়ি তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে নানা বয়সী মানুষ। রাঙ্গামাটি
পৌরসভা চত্বর থেকে র্যালিটি শুরু হয়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে গিয়ে শেষ হয়।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন