আজ মঙ্গলবার কমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ
এমপির সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনস্থ কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, বৈঠকে বান্দরবানের থানচি ও রুমায় কেএনএফের
ব্যাংক ও অস্ত্র লুট এবং তাদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে বলা হয়,
ওই ঘটনার পর থেকে সশস্ত্র ওই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। ঘটনার পর থেকে পাহাড়ে মানুষের
মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অভিযানে যাতে কোনো সাধারণ মানুষ হেনস্তার শিকার না হন, সেদিকে
খেয়াল রাখতে বলা হয়।
কমিটির সদস্য জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু
লারমা) ও সুদত্ত চাকমা বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। আহ্বায়কের বিশেষ আমন্ত্রণে পার্বত্য চট্রগ্রাম
বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এবং পার্বত্য চট্রগ্রাম আঞ্চলিক
পরিষদের সদস্য গৌতম কুমার চাকমা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
কমিটির গত বৈঠকে পার্বত্য অঞ্চলে সেনাবাহিনীর প্রত্যাহার
করা ২৪০টি ক্যাম্পে পুলিশ মোতায়েনের প্রস্তাব দিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজকের
বৈঠকে এই বিষয়ে পুলিশের বদলে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,
বৈঠকে ভূমি সচিব জানিয়েছেন, ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন বিধিমালা প্রণয়নের কাজ দ্রুত
সম্পন্ন করা হবে। পার্বত্য অঞ্চলে ডিজিটাল ভূমি জরিপ কার্যক্রম শুরু করার প্রস্তাব
করেন তিনি। এ ছাড়া বৈঠকে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের শূন্য পদে পার্বত্য অঞ্চলের
স্থায়ী অধিবাসী, যাঁরা বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে কর্মরত আছেন, এমন কর্মকর্তাদের প্রেষণে
পদায়নের কাজ অব্যাহত রাখার সুপারিশ করা হয়।
এ ছাড়া বৈঠকে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তরিত
বিভাগ/দপ্তরগুলোর বিষয়ে সমস্যা ও করণীয় বিষয়ে আলোচনার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক
মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যবিশিষ্ট কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন