এই দিন বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস),
আজিয়া, গারো স্টুডেন্ট ইউনিয়ন (গাসু), মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইয়াকুব
আলী, নারী নেত্রী যষ্ঠিনা নকরেক সহ সর্বস্তরের জনগণ শহীদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা
নিবেদন করেন।
চলেশ রিছিল মধুপুর ইকোপার্ক বিরোধী আন্দোলনের
প্রথম সারির একজন নেতা ছিলেন। যার কারণে তিনি শাসকগোষ্ঠীর রোষানলে পড়েন। ২০০৭ সালের
১৮ মার্চ ময়মনসিংহের একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে মধুপুর আসার সময় ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কের
মুক্তাগাছা উপজেলার কালীবাড়ী থেকে তুলে নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাদা পোশাকধারী সদস্যরা।
তাকে আটক করে মধুপুরের বিএডিসির সেনাক্যাম্পে নেওয়া
হয়। সেখানে তাঁর চোখ বেঁধে নির্যাতন করা হয়। দফায় দফায় নিষ্ঠুর নির্যাতনে চলেশ রিছিল
বিকেলের দিকে নিথর হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে মধুপুর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক
মৃত ঘোষণা করেন।
চলেশ রিছিল হত্যার দীর্ঘ ১৭ বছরেও আজও মামলা রেকর্ডভুক্ত
হয়নি। বিচার বিভাগীয় তদন্ত রিপোর্ট আলোর মুখ দেখেনি। এ নিয়ে আদিবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ
বিরাজ করছে।
হত্যা দিবস উপলক্ষে মাগন্তিনগরে পারিবারিকভাবে প্রার্থনা,
শ্রদ্ধা নিবেদন ও সংক্ষিপ্ত আলোচনার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় আদিবাসী নেতারা চলেশ
রিছিল হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন