অস্তিত্ব সংকটে থাকা মুন্ডা জনজাতির একজন সদস্য হয়েও শ্যামনগর উপকূলের সাথীর হাতে এখন লাল সবুজের পাতাকা। যা স্বাভাবিকভাবেই গর্ব করেছে আদিবাসীদের।
আজ বিকেলে নেপালের মাটিতে বাংলাদেশ জাতীয় দলের নারী ফুটবল দল অনূর্ধ্ব-১৬ দলের হয়ে লড়েছেন পনেরো বছরের এ কিশোরী।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালীনি এলাকার প্রদীপ মুন্ডা ও প্রতিমা মুন্ডার মেয়ে তিনি। বর্তমানে বিকেএসপিতে ৮ম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত এ কিশোরী স্থানীয় বুড়িগোয়ালীনি ফরেস্ট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে দু’বছর আগে বিকেএসপিতে পাড়ি জমায়।
সাথীর পিতা প্রদীপ মুন্ডা জানান, মেয়ের অর্জনে তারা শুধুমাত্র পরিবার না, বরং গোটা মুন্ডা জাতি ও এলাকাবাসী দারুণ খুশি।
সাথীর মা প্রতিমা মুন্ডা জানান, অভাবের কারণে তারা স্বামী-স্ত্রী কাজের জন্য দিনের বেশিরভাগ সময় বাড়ির বাইরে থাকেন। সে সুযোগে স্কুল ফাঁকি দিয়ে সাথী স্থানীয় বিজি কলেজ মাঠে ফুটবল খেলতেন। এক পর্যায়ে স্থানীয় প্রশিক্ষক মাসুম বিল্লাহর চোখে পড়লে তিনি সাথীর দায়িত্ব নেন। প্রায় দু’বছর প্রশিক্ষণের পর বিকেএসপিতে সুযোগ মিলে যাওয়ায় তারা রীতিমত বিস্মিত হন। এখন মেয়ে দেশের জার্সি গায়ে চড়িয়ে মাঠে নামছেন জেনে আনন্দে ভাসা হারিয়ে ফেলছেন।
সাথীর প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালনকারী মাসুম বিল্লাহ জানান, ২০২৩ সালে সাথী অনূর্ধ্ব-১৬ পর্যায়ে দেশের হয়ে ভারতের সুব্রত কাপে খেলেছে। দেশের হয়ে দ্বিতীয়বারের মত বিদেশ সফরের অংশ হিসেবে বর্তমানে সে নেপালে রয়েছে।
এদিকে, বাবা প্রদীপ মুন্ডা দেশের সকল মানুষের কাছে মেয়ে সাথীর জন্য
দোয়া ও আর্শিবাদ চেয়েছেন।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন