স্টাফ রিপোর্টার: আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এই দিবসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
একুশের প্রথম প্রহরে গারো স্টুডেন্ট ইউনিয়নের (গাসু) নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় সংগঠনটির নেতাকর্মীরা ‘আমানি খু, আংনি রাসং’ যার বাংলা ‘মাতৃভাষা আমার অহংকার’ লেখা সংবলিত ব্যানার তুলে ধরেন।
শ্রদ্ধা নিবেদনকালে গাসুর কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপুন মানখিন, গাসু ঢাকা মহানগর শাখার সাবেক সভাপতি সতীর্থ চিরান, অংকন ঘাগ্রা উপস্থিত ছিলেন।
একইভাবে শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ। সংগঠনটির ঢাকা মহানগর কমিটির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। এসময় জাতীয় আদিবাসী পরিষদ বৃহত্তর ঢাকা কমিটির সভাপতি হরেন্দ্রনাথ সিং, সাধারণ সম্পাদক বিভূতি ভূষণ মাহাতো, প্রচার সম্পাদক বিকাশ মাহাতোর নেতৃত্বে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।
বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠনের (বাগাছাস) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক প্যাট্রিক চিসিমের নেতৃত্বে সকালে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়াও সংগঠনটি ভাষা দিবস উপলক্ষে ময়মনসিংহে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
বাগাছাসের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জনজাতির কণ্ঠকে বলেন, ‘বাংলাদেশে বাংলা ভাষাভাষী মানুষ ছাড়াও আরো অনেক ভাষাভাষীর মানুষ আছে। যাদের ভাষা সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত নয়। ভাষার দেশে ভাষার এমন বৈষম্য সত্যিই দুঃখের।’
দেশের সকল আদিবাসী ভাষার সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছেন এই ছাত্রনেতা।
‘বিশ্বের প্রত্যেক মানুষের মায়ের ভাষা বেঁচে থাকুক সমান মর্যাদা ও গৌরব নিয়ে’ স্লোগানকে ধারণ করে একুশের প্রথম প্রহরে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পন করেছে গারো স্টুডেন্ট ফেডারেশন (জিএসএফ)। সংগঠনটি অধিকার বঞ্চিত সকল আদিবাসী শিক্ষার্থীর নিজ মাতৃভাষায় শিক্ষা লাভের অধিকার রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)। এসময় সংগঠনটির নেতাকর্মীরা অধিকার বঞ্চিত সকল আদিবাসী শিক্ষার্থীর নিজ মাতৃভাষায় শিক্ষা লাভের অধিকারের দাবি সংবলিত ব্যানার তুলে ধরেন।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন