লালটান পাংখোয়া পূর্ব-পশ্চিম বিডি‘র চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। পড়াশোনা করছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগে, তৃতীয় বর্ষে।
বাংলাদেশে জনসংখ্যায় পাংখোয়া জাতির লোকজন তিন হাজারের কাছাকাছি। তাঁদের বেশিরভাগ বসবাস করেন রাঙামাটিতে। কিছুসংখ্যক বান্দরবানে। লালটান পাংখোয়ার পরিবার বসবাস করতেন বান্দরবানের রুমা উপজেলায়। লালটানের জন্ম সেখানেই। সাত ভাইবোনের মধ্যে ছোট দুই বোনের জন্ম তখনো হয়নি। বাবা চাকুরি করতেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে বরতলী এলাকায়। দুর্গম এলাকা বলে পরবর্তীতে লালটানের পরিবার শিফট হয়ে চলে আসে রাঙামাটির পাংখোয়াপাড়ায়। বাবা বিদ্যালয়ের চাকুরিটা ছেড়ে দেন। পরে কাজ নেন ব্যাংক এশিয়ায়, বর্তমানে আছেন চট্টগ্রামের অক্সিজেনে। মা গ্রামে বাগান দেখাশোনা করেন।
পরিবারের সদস্যরা চেয়েছিলেন লালটান পাংখোয়া ভর্তি হোক সমাজতত্ত্বে আর পারিবারিক বন্ধু, পড়াশোনার উৎসাহদাতা বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান বখতিয়ার আহমেদ চেয়েছিলেন ভর্তি হোক নৃবিজ্ঞানে। কিন্তু “সাংবাদিকতা ভাল লাগে- ভাল লাগবে” বলে লালটান ভর্তি হলেন সাংবাদিকতা বিভাগে। অর্থনীতি ছাড়া যদিওবা রাষ্ট্রবিজ্ঞান, লোকপ্রশাসন, আন্তর্জাতিক সর্ম্পক, সমাজতত্ত্ব সুযোগ ছিল চারটি বিভাগে ভর্তি হবার।
পাংখোয়াদের মধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ করে প্রথম বেরিয়েছেন রামভাই পাংখোয়া বেশি বছর হয়নি। তিনি পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। পাংখোয়াদের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন মিল্টন কেরি, লালটান এবং নাথান এল রোনাল্ড মোট তিনজন পড়াশোনা করছেন। তাঁরা পরস্পর কথা বলেন পাংখোয়া ভাষাতেই। ‘পাংখোয়া এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’ কাজ করে পাংখোয়া ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে। সাংবাদিকতা বিভাগে পড়াশোনার পাশাপাশি লালটান সাংবাদিকতার হাতেখড়ি নিচ্ছেন।
স্বাভাবিকভাবে পাংখোয়া জাতির সবাই আর বন্ধুবান্ধব- শুভাকাঙ্ক্ষীরা অধীর অপেক্ষায় আছি, কখন নিউজে ‘বড় হেডলাইন’ আর তার পাশে চোখ বড় বড় করে দেখব লেখা— লালটান পাংখোয়া, চট্টগ্রাম থেকে ফিরে…
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন