জনজাতির কন্ঠ ডেস্ক: সৌদি আরবে মিশনের কাজে পাঠানো হয়েছে বলে প্রতারিত ও একই সাথে নির্যাতনের শিকার হওয়া এক আদিবাসী নারীকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে স্বজনেরা। মিনতি ওরাঁও নামের নির্যাতিত ওই আদিবাসী নারীর পরিবার তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছে বলে জানা গেছে। সান মিশন অনলাইনের খবর।
দিনাজপুর ঘোড়াঘাটের চৌধুরী গোপালপুর এলাকার কোমল ওরাঁওয়ের ছেলে ও প্রবাসে নির্যাতিতার বোনের ছেলে সোহেল ওরাঁও বাদী হয়ে গত ১৪ মার্চ (রবিবার) প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহা-পরিদর্শক (আইজিপি) ও জনশক্তি কর্মসংস্থানের মহা-পরিচালক সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মিনতি ওরাঁও ২০১৭ সালের ২৩ এপ্রিল তারিখে বিএমইটি’র বহির্গমন ছাড়পত্র (নং-এসএ-আই-২০১৭-০৩০৩৩৮১) নিয়ে রিক্রুটিং এজেন্সি এমএইচ ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের (আর এল নং-১১৬৬) মাধ্যমে সৌদি আরব যান। যাওয়ার আগে তাকে মিশনের কাজে পাঠানো হচ্ছে বলে জানানো হয়। এজন্য তিনি রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক মকবুল হোসেন এবং স্টাফ আকমল হোসেনের কাছে ৮০,০০০ টাকা দেন। সৌদি আরব যাওয়ার পর তাকে গৃহকর্মীর কাজে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানতে পারেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হয়ে নিয়োগকর্তার বাসায় কাজ করলেও তাকে ঠিকমতো বেতন দেয়া হয় না। বেতন চাইলে মারধর করা হয়। এ পর্যন্ত তার ৯ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। গত ৯ মাস ধরে পরিবারের লোকজন তার সাথে কোন ধরণের যোগাযোগ করতে পাচ্ছে না।
এদিকে, তার দুই বছরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়নি। এ ব্যাপারে সোহেল ওরাঁও বলেন, আমরা তাকে নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। খালাকে দেশে ফেরত আনার কথা বলে রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক ও তার কর্মচারী আকমল হোসেন আমাদের কাছ থেকে ৩০,০০০ টাকা নিলেও এখনও তাকে দেশে ফেরত আনা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, গত বছর আমার খালা গোপনে ফোন করে বলে যে আমাকে জেদ্দায় পাঠিয়ে দিয়েছে। তাই যে ভাবেই হোক আমাকে বাংলাদেশে নেওয়ার ব্যবস্থা কর। এই কথা বলার পরে আমার খালার সাথে আর কোন যোগাযোগ হয়নি।
মিনতির পরিবার প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছে তার বকেয়া বেতন আদায়সহ দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে রিক্রুটিং এজেন্সি এমএইচ ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মালিক মকবুল হোসেনের বক্তব্য জানতে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।