নিজস্ব প্রতিবেদক: আবারো গরীব মেধাবী দুই গারো শিক্ষার্থীর শিক্ষার সার্বিক দায়িত্ব নিল সামাজিক সংগঠন বাংলাদেশ গারো সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন (বিজিএসডব্লিউএ)। এর মাধ্যমে সংগঠনটি ওই দুই গারো শিক্ষার্থীর পড়াশোনার যাবতীয় খরচ বহন করবে। বিজিএসডব্লিউএ-র সাধারণ সম্পাদক বিপুল ঘাগ্রা জনজাতির কন্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী দিগন্ত মানখিনের বাড়ি ময়মনসিংহ হালুয়াঘাটের পাগল পাড়া গ্রামে। সে নবম শ্রেণীর ছাত্র। অন্যজন সপ্তম শ্রেণী পড়ুয়া সীমা হাজংয়ের বাড়ি সিলেট সুনামগঞ্জের কাঠাঁলবাড়ি গ্রামে। বৃত্তি প্রাপ্ত হওয়ায় তাঁরা দু’জনেই খুশি। এখন নির্ভার হয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে বলে তারা আশা করছে।
বিজিএসডব্লিউএ-র সভাপতি প্রশান্ত চাম্বুগং বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে সাংগঠনিকভাবে এই দুই শিক্ষার্থীর পড়াশোনার খরচ বহনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তাদেরকে এই মাস থেকে (এপ্রিল) বৃত্তির টাকা দেয়া হবে। আশা করি এর মাধ্যমে তারা নির্ধিদ্বায় পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে।
এসএসসি পর্যন্ত সংগঠনটি এই দুই শিক্ষার্থীর শিক্ষার খরচ বহন করবে। তবে ভালো রেজাল্ট ও পড়াশোনায় মনোযোগী হলে ভবিষৎ সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে উচ্চ শিক্ষার জন্যও সহায়তা করা হতে পারে বলে জানান বিজিএসডব্লিএ-র সভাপতি।
এরআগেও সংগঠনটি হালুয়াঘাট ধোপাজুরির টিয়া চিরান নামের অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীর পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছিল। তাকে তিন মাস পরপর বৃত্তি দেয়া হচ্ছে।
এভাবে সবারই দুয়েকজন গরীব অসহায় শিক্ষার্থীর সাহায্যে এগিয়ে আশা উচিত।
এভাবে সবারই দুয়েকজন গরীব অসহায় শিক্ষার্থীর সাহায্যে এগিয়ে আশা উচিত।