দেশের আদিবাসী, দরিদ্র কৃষক, প্রান্তিক জনগোষ্ঠিকে অধিকারহীন করে রাখা হয়েছে। তারা নানাভাবে নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। যে কারণে তারা কথা বলতেও ভয় পান। শনিবার (১৮ জানুয়ারী), জাতীয় প্রেসক্লাবে এশিয়ান অ্যালায়েন্স ফর প্রভার্টি ইরাডিকেশন (স্যাপি) আয়োজিত ‘বৈষম্যহীন দক্ষিণ এশিয়া গড়ে তুলতে সবাই ঐক্যবদ্ধ হই’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বর্ষীয়ান রাজনীতিক পঙ্কজ ভট্টাচার্য এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, দেশে শোষণ-বঞ্চনা বাড়ছে। আগে যারা এমন বঞ্চনার বিরুদ্ধে কথা বলতেন, তারাও নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছেন। যেটা আরও ভয়াবহ। এসব বৈষম্যের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলা জরুরি।
দক্ষিণ এশিয়াসহ বাংলাদেশের বৈষম্য ও অসমতা পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরে অর্থনীতিবিদ এমএম আকাশ বলেন, মাত্র তিনশ জন ধনীর আয় বিশ্বের অর্ধেক জনগোষ্ঠির সমান। এ বিষয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ, লজ্জাকর ও অশ্লীল। দেশে বিপদজনক মাত্রায় অসমতা বাড়ছে। জাতীয় সংসদেও এর প্রতিফলন দেখা যায়। আশির দশক পর্যন্তও সংসদে আইনজীবী, শিক্ষকসহ মধ্যবিত্তদের আধিক্য ছিল। কিন্তু এখন ৬০ শতাংশ সংসদ সদস্যই ব্যবসায়ী। এই অবস্থার পরিবর্তনে জনগণের জন্য জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধা রোকেয়া কবীর বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ বিশ্বের মনীষীরা দারিদ্র্য ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধও বৈষম্যের বিরুদ্ধে হয়েছিল। তাই রাষ্ট্র-সরকার ও নাগরিক সমাজ সবাইকে বৈষম্যের বিরুদ্ধে উদ্যোগী হতে হবে।
নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক ও স্যাপির সদস্য সচিব রোকেয়া কবীরের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বিশেষজ্ঞ মত দেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)’র সাবেক সভাপতি ডা. রশিদ-ই-মাহবুব, আইইডি’র নির্বাহী পরিচালক নুমান আহম্মেদ খান, ইনসিডিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মুশতাক আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তানজিম উদ্দীন খান, অক্সফামের ম্যানেজার মঞ্জুর রশিদ, শিশু সংগঠক ডা. লেলিন চৌধুরী প্রমুখ।