ডেস্ক রিপোর্ট: প্রান্তিক আদিবাসী মানুষের জীবনমান উন্নয়নে আসন্ন বাজেটে ১১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি উঠেছে। রোববার (৭ জুন) সকালে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এ দাবি উঠে। বেসরকারি সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) আয়োজিত আলোচনা সভায় সহযোগিতা করে গবেষণা প্রতিষ্ঠান এইচডিআরসি।
‘গ্রামীণ নারী, আদিবাসী জনগোষ্ঠী ও ভূমি সংস্কারের জন্য জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ আবুল বারাকাত। তিনি বলেন, ‘মাথাপিছু গড় বাজেট বরাদ্দের তুলনায় দেশের সব অঞ্চলের আদিবাসীদের জন্য ২৬ থেকে ২৭ শতাংশ কম এবং সমতলের আদিবাসীদের জন্য ৪৬ থেকে ৪৭ শতাংশ কম বরাদ্দ দেওয়া হয়।’
বাজেটে আদিবাসীদের জন্যে যে বরাদ্দ থাকে এর সামান্যই তাদের কাছে পৌঁছায়। আদিবাসী মানুষের জন্যে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রকল্প নেই উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক আরও বলেন, যে নামেই বরাদ্দ দেয়া হোক তার সামান্য অংশই আদিবাসী মানুষের কাছে পৌঁছায়। প্রত্যেক আদিবাসীর জন্য জাতীয় মাথাপিছু গড় বরাদ্দের তিনগুণ বরাদ্দ অর্থাৎ ১১ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা আসন্ন বাজেটে বরাদ্দের প্রস্তাব করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেসরকারি সংগঠন নিজেরা করি’র সমন্বয়কারী খুশী কবির। স্বাগত বক্তব্যে এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী ৫০ বছরে দেশের উন্নয়নে যাদের অবদান সবচেয়ে বেশি সেই শ্রমজীবী, কৃষিজীবী মানুষের কোনো প্রতিফলন নেই জাতীয় পরিকল্পনা, বাজেট বরাদ্দসহ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই। এরজন্য দৃষ্টিভঙ্গির পরির্বতন জরুরি।
আলোচনায় অংশ নিয়ে চাকমা সার্কেলের রাণী য়েন য়েন বলেন, আগামী অর্থ বছরের বাজেটে কোভিড ও কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিকে বিবেচনায় এনে প্রান্তিক আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর মানুষের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া প্রয়োজন। হতদরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের জন্য অন্তত পাঁচ থেকে ছয় মাসের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা এবং পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দুর্গম অঞ্চলগুলোর শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য বর্ধিত হারে বাজেট বরাদ্দ প্রয়োজন।
প্যানেল আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, কবি ও লেখক থিওফিল নিশারন নকরেক, সিরাজুল ইসলাম, শামসুল ইসলাম প্রমুখ।