বান্দরবানের কুহালং ইউনিয়নের বাকীছড়া বটতলীপাড়ায় রাতে ঝিরিতে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে ম্রো জনগোষ্ঠীর এক আদিবাসী কিশোরী (১২) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। শনিবার (৭ জুন) রাতে কুহালং ইউনিয়নের বাকীছড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একই জনগোষ্ঠীর এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। আটক মেনয়া ম্রো (৪০) কুহালং ইউনিয়নের বাকীছড়া বটতলী গোদার পাড় এলাকার বাসিন্দা।
শিশুটির মা গণমাধ্যমকে জানান, “শনিবার সন্ধ্যায় দুই শিশুকে নিয়ে মেনয়া ম্রো ঝিরিতে কাঁকড়া ধরতে যান। কাঁকড়া খুঁজতে গিয়ে রাত হয়ে যায়। তখন মেনয়া বাড়ি থেকে অনেক দূরে এসেছি বলে দুই শিশুকে টংঘরে ঘুমিয়ে সকালে বাড়ি ফেরার কথা বলেন।’’
“গভীর রাতে মেনয়া এক শিশুকে ধর্ষণ করেন। এ সময় শিশুটি চিৎকার করে রাতেই বাড়িতে রক্তাক্ত অবস্থায় ফিরে আসে। জিজ্ঞাসা করা হলে সে বলে, ‘মেনয়া তাকে ধর্ষণ করেছে।’ পরে পাড়ার লোকজন মিলে ভোরে তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।”
বান্দরবান সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) দিলীপ চৌধুরী
জানিয়েছেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে শিশুটির শরীর ফ্যাকাশে হয়ে গিয়েছিল। তাৎক্ষণিক স্থানীয়
কয়েকজন যুবকের রক্ত সংগ্রহ করে শিশুটিকে জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
অস্ত্রোপচারের পর তিনি বলেন,
“শিশুটির পায়ুপথ ও জরায়ুর ভেতরে ও বাইরে ৯০ ভাগ কাটাছেঁড়া পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে
মনে হচ্ছে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। যদি ধর্ষণ না হয়, তাহলে শিশুটির স্পর্শকাতর স্থানে
এতটা ক্ষত হওয়ার কোনও কারণ নেই।”
বান্দরবান থানার উপপরিদর্শক
(এসআই) আবু নাছের বলেন, কিশোরী ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে এবং চিকিৎসকদের কাছ থেকে
পাওয়া তথ্যে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়া গেছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নেওয়া
হচ্ছে।