সর্বশেষ

আঞ্চলিক

মুক্তমত

সম্পাদকীয়

রাজনীতি,মুক্তমত

জনপ্রিয়

Videos

ঝিরিতে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে আদিবাসী কিশোরী ধর্ষিত

 


বান্দরবানের কুহালং ইউনিয়নের বাকীছড়া বটতলীপাড়ায় রাতে ঝিরিতে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে ম্রো জনগোষ্ঠীর এক আদিবাসী কিশোরী (১২) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। শনিবার ( জুন) রাতে কুহালং ইউনিয়নের বাকীছড়া এলাকায় ঘটনা ঘটে।

ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একই জনগোষ্ঠীর এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। আটক মেনয়া ম্রো (৪০) কুহালং ইউনিয়নের বাকীছড়া বটতলী গোদার পাড় এলাকার বাসিন্দা।

শিশুটির মা গণমাধ্যমকে জানান, “শনিবার সন্ধ্যায় দুই শিশুকে নিয়ে মেনয়া ম্রো ঝিরিতে কাঁকড়া ধরতে যান। কাঁকড়া খুঁজতে গিয়ে রাত হয়ে যায়। তখন মেনয়া বাড়ি থেকে অনেক দূরে এসেছি বলে দুই শিশুকে টংঘরে ঘুমিয়ে সকালে বাড়ি ফেরার কথা বলেন।’’

গভীর রাতে মেনয়া এক শিশুকে ধর্ষণ করেন। সময় শিশুটি চিৎকার করে রাতেই বাড়িতে রক্তাক্ত অবস্থায় ফিরে আসে। জিজ্ঞাসা করা হলে সে বলে, ‘মেনয়া তাকে ধর্ষণ করেছে।পরে পাড়ার লোকজন মিলে ভোরে তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বান্দরবান সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) দিলীপ চৌধুরী জানিয়েছেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে শিশুটির শরীর ফ্যাকাশে হয়ে গিয়েছিল। তাৎক্ষণিক স্থানীয় কয়েকজন যুবকের রক্ত সংগ্রহ করে শিশুটিকে জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।

অস্ত্রোপচারের পর তিনি বলেন, “শিশুটির পায়ুপথ ও জরায়ুর ভেতরে ও বাইরে ৯০ ভাগ কাটাছেঁড়া পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। যদি ধর্ষণ না হয়, তাহলে শিশুটির স্পর্শকাতর স্থানে এতটা ক্ষত হওয়ার কোনও কারণ নেই।

বান্দরবান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু নাছের বলেন, কিশোরী ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে এবং চিকিৎসকদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়া গেছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নেওয়া হচ্ছে।

 

বাংলাদেশ ত্রিপুরা যুব সংসদের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল সম্পন্ন

 


বাংলাদেশ ত্রিপুরা যুব সংসদের কেন্দ্রীয় সম্মেলন ও দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে। আজ (৬ জুন) শুক্রবার, খাগড়াছড়ি সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট হল রুমে এ কাউন্সিল হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বিশিষ্ট সমাজ সেবক মাচাং দীনময় রোয়াজা ও গেস্ট অফ অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ দীপা ত্রিপুরা। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ত্রিপুরা যুব সংসদের উপদেষ্টা মাচাং রামেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে ৪ নং লতিবান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাচাং ভূমীধর রোয়াজা, কার্বারি এসোসিয়েশনের সভাপতি মাচাং রনিক ত্রিপুরা, মাচাং প্রার্থনা কুমার ত্রিপুরা, ত্রিপুরা শ্রমিক সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাচাং উপামোহন ত্রিপুরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রথম অধিবেশনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীনময় রোয়াজা বলেন, ‘‘যুব সংসদ সহ ত্রিপুরাদের  সকল সামাজিক সংগঠন একে অপরের সাথে কাজ করতে কোন ধরনের সাংঘর্ষিক হবে না বলে আমি মনে করি। কারণ এ সংগঠনগুলো একেকটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ঠিক রেখে কাজ করতে পারলে জাতির কল্যাণে ভূমিকা রাখতে পারবে।’’

এসময় তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামাজিক সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে যুব সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

ডাঃ দীপা ত্রিপুরা বলেন, ‘‘আমরা হচ্ছি এখন ঝড়াপাতার মতো। আর তরুণ যুব সমাজ হচ্ছে তেজোদীপ্ত। তাদের শক্তি ও মনোবলকে জাতির পেছনে শ্রম দিয়ে কাজ করতে হবে। তখন জাতি হিসেবে এগিয়ে যেতে পারবো।’’

দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রথম কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে মাচাং রুপক ত্রিপুরাকে সভাপতি ও মাচাং সাগর ত্রিপুরাকে সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করেন সংগঠনটির উপদেষ্টা রামেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। নতুন কমিটির শপথ বাক্য পাঠ করান বিদায়ী কমিটির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মাচাং তনয় ত্রিপুরা।

পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বের মাধ্যমে দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও আলোচনা সভা শেষ হয়।

আগামী ১৩ জুন বাহাছাস’র জাতীয় ছাত্র সম্মেলন

 


আগামী ১৩ জুন (শুক্রবার) বাংলাদেশ হাজং ছাত্র সংগঠনের (বাহাছাস) নবম জাতীয় ছাত্র সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আশীষ হাজং সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।  

নেত্রকোনা দুর্গাপুরের বিরিশিরি কালচারাল একাডেমি প্রাঙ্গণে হবে এই সম্মেলন। বাহাছাসের এবারের জাতীয় ছাত্র সম্মেলনের মূলসুর ‘কালজয়ী সংগ্রামী ঐতিহ্যই আমাদের একবিংশ শতাব্দীর প্রেরণা’। সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন বিশিষ্ট হাজং লেখক ও গবেষক মতিলাল হাজং।

সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি জিতেন্দ্র হাজংয়ের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবার কথা রয়েছে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাভিদ রেজওয়ানুল কবীরের। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে বাহাছাসের প্রতিষ্ঠাতা শরদিন্দু সরকার স্বপন হাজং, দুর্গাপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় হাজং সংগঠনের সভাপতি পল্টন হাজং, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের কার্যনির্বাহী সদস্য রিপন চন্দ্র বানাই, বাংলাদেশ হাজং যুব সংগঠনের সভাপতি বিপুল হাজং প্রমুখ উপস্থিত থাকবেন।

বাংলাদেশে বসবাসরত আদিবাসীদের অধিকার আদায় সহ নিজস্ব জাতিত্ববোধ লালন করা কিছু শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের দ্বারা ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ হাজং ছাত্র সংগঠন (বাহাছাস)। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সংগঠনটি হাজং জাতিসত্তার আত্মপরিচয়, অধিকার আদায় ও সংস্কৃতি রক্ষার লড়াইয়ে কাজ করে চলেছে।

মেক্সিকোর প্রধান বিচারপতির নির্বাচনী দৌড়ে এগিয়ে আদিবাসী প্রার্থী

 

হুগো আগুইলার। ছবি: রয়টার্স

মেক্সিকোর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন একজন আদিবাসী প্রার্থী। তিনি বিশিষ্ট অধিকারকর্মী সাবেক জাপাতিস্তা উপদেষ্টা হুগো আগুইলার। এই পদে সাধারণত অভিজাত শ্রেণির আইনজ্ঞদেরই স্থান হয়ে থাকে।

মেক্সিকো সিটি থেকে এএফপি জানায়, রোববার দেশটির বিচার বিভাগে নজিরবিহীনভাবে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রথমবারের মতো জনগণের ভোটে সব বিচারপতি নির্বাচিত হন। ধরনের নির্বাচন বিশ্বের আর কোনো দেশে চালু নেই।

জাতীয় নির্বাচনী প্রতিষ্ঠান (আইএনই) জানায়, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির পদের জন্য ৯৬ শতাংশ ভোট গণনা শেষে মিক্সটেক আদিবাসী গোষ্ঠীর সদস্য হুগো আগুইলার সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন।

নির্বাচনি প্রচারে আগুইলার বলেন, ‘এবার আমাদের সময়।তিনি আদিবাসী জনগোষ্ঠীরবর্জন অবহেলারবিরুদ্ধে সোচ্চার হন।

মেক্সিকোর প্রায় ২০ শতাংশ মানুষ নিজেদের আদিবাসী বলে পরিচয় দেন। আদিবাসী পটভূমি থেকে সুপ্রিম কোর্টে আগেই এসেছেন বেনিতো জুয়ারেজমেক্সিকোর প্রথম আদিবাসী প্রেসিডেন্ট, যিনি ১৮৫৭-৫৮ সালে দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

সাংবিধানিক আইন বিশেষজ্ঞ আগুইলার প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাউমের মোরেনা দলের সদস্য লেনিয়া বাত্রেসের চেয়ে অল্প ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে আছেন।

আইএনআই প্রেসিডেন্ট গুয়াদালুপে তাদেই জানান, 'সাংবিধানিক সংস্কারে এটা স্পষ্ট বলা হয়েছে, যে প্রার্থী সর্বোচ্চ ভোট পাবেন, তিনিই প্রথম দুই বছরের জন্য সুপ্রিম কোর্টের প্রেসিডেন্ট হবেন।'

তবে এর আগেই প্রেসিডেন্ট শেইনবাউম ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ভোটের ফলের বাইরেওনারী প্রতিনিধিত্বের নীতিরকারণে একজন নারীও এই পদে মনোনীত হতে পারেন।

হুগো আগুইলার ১৯৯৪ সালে সশস্ত্র অভ্যুত্থানের পর জাপাতিস্তা গেরিলা গোষ্ঠীর সঙ্গে সরকারের আলোচনায় আইনি উপদেষ্টা হিসেবে যুক্ত ছিলেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেস ওব্রাদরের শাসনামলে তিনি আদিবাসী জনগণের জাতীয় ইনস্টিটিউটে কাজ করেছেন।  

আঞ্চলিক

আঞ্চলিক

রাজনীতি

রাজনীতি

অর্থনীতি

অর্থনীতি

সংস্কৃতি

সংস্কৃতি

মুক্তমত

মুক্তমত

খেলাধুলা

খেলাধুলা

বহির্বিশ্ব

বহির্বিশ্ব
© all rights reserved - Janajatir Kantho